পেলবতার মধুস্পর্শে
চিরআবৃতা তীব্র উলঙ্গতার আচ্ছাদনে,
কারণের অকারণে
দু’কুল ছাপানো উচ্ছলতা শেষে
ফেলে রেখে ফেলে যাওয়া প্লাবনভুমি,
ফিরে এসে খোঁজ নিয়েছ কি!
নিজের ছায়া মাড়িয়ে পা ফেলে
হাঁটা পথিক হেঁটে যায় দূরে আরও দূরে;
মৃতেরা লুকায় কাফনে-কফিনে,
অবাস্তব বাস্তবের স্বপ্নচোখে
আশরীরি ভালোবাসা বেড়ায় ঘুরে
নদীটির প্রবল দু’কুলে।
১৪টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
আমি আমরা আমাদের ছায়া মাড়িয়ে সামনে চলি।
আমার এ পথ ভাঙিয়াছে যে,
আমি গড়ি তার পথ।
আনমনা কবিতায় ভাল লাগা রেখে গেলাম। আজ কেন যেন এই শব্দমালাগুলো শুধুই মনে হচ্ছে আমার।
মৃত্যুর মিছিলে আমিও পথযাত্রি।
ছাইরাছ হেলাল
এ মিছিলের ভাবনা এখুনি আপনার না হলেও চলবে।
ভাঙ্গা গড়া নিয়েই সবার চলা, আমরা তাই চলি।
মোঃ মজিবর রহমান
নিজের অজান্তেই নিজের ময়নাদতন্ত পথিক চলে আপন মনে ফেলে রেখে যায় গননায় অতীত ………
ছাইরাছ হেলাল
ভাবনা পথিকের সঙ্গী,
খুব সুন্দর মন্তব্য করে ফেলেছেন দেখছি।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সময়ের পরিক্রমায় আমরা অনেক কিছুইকেই ফেলে আসি বা দেই তা মনে রাখার কি দরকার।জীনতো জীবনের ঠিকানায় চলে যাবে এটা নিশ্চিত তবে কেনো এতো বাহানা।ভাল লাগল।
ছাইরাছ হেলাল
সময় আমাদের সামনে নিয়ে যাচ্ছে, আমরা যাচ্ছি।
পিছু ডাক থাকা সত্বেও।
নীরা সাদীয়া
মর্মস্পর্শী লেখনী। বেশ।
ছাইরাছ হেলাল
এমন কিছু না,
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
দূরে চলে যাওয়া কেউ পুরান পথ খোঁজে না, নতুন দুকুল প্লাবিত করে,
ছাইরাছ হেলাল
প্লাবিত করাই নদীর ধর্ম,
সে তাই করে।
নীলাঞ্জনা নীলা
পুরাতনের সামনেই নতূনের বাসস্থান।
অনেক প্রিয় দুটো লাইন না লিখে পারছি না, “এসেছে নতূন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান।”
বিদ্ধ হলো মন স্থির ধূসরতায়।
ভালো লেগেছে যে সে কথা কি বলতে হবে কুবিরাজ ভাই? 😀
ছাইরাছ হেলাল
ছেড়ে তো দিতেই চাই, দিচ্ছিও, কোথায় ও কাকে সেটি ই বিষয়।
আপনার লেগেছে ভাল যেনে আনন্দিত গুরুলেডি,
নীলাঞ্জনা নীলা
ছাড়াটাই আসল। যাকে পোষাবে না তাকে রেখেও লাভ নেই। আবর্জনা জমে গেলে ডাষ্টবিনে ফেলতে হয়।
আমিও অনেক আবর্জনা ডাষ্টবিনে ফেলেছি। 😀
ছাইরাছ হেলাল
চাইলেও সব কিছু ফেলে দেয়া যায় না,
সুখস্মৃতি তো নয়ই!!