ইদানীং অশরীরীরা

ছাইরাছ হেলাল ২১ জুলাই ২০১৮, শনিবার, ১০:০৩:০৯অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২২ মন্তব্য

পিছু নেয় সারাক্ষণ,
সামনা-ও নেয়, ছোঁয়া-ছোঁয়া না-ছোঁয়া-ছোঁয়া ভাবে,
টুপ-টাপ খুট-খাট গুট-গাট ফিক-ফিক খিল-খিল
তিড়িং-বিড়িং হি-হি হা-হা ও হয়, টের পাই।

আমাকে কেন্দ্রে ফেলে চক্রাকারে ঘোরে অশরীরিণী/অশরীরীরা,
লম্বা-লম্বি আড়া-আড়ি উলম্ব-আয়তাকার-বর্গাকার
জ্যামিতিক-অজ্যামিতিক নক্সায়;
ভয়-ও দেখায় কৌণিক-তির্যক-তিরিক্ষি-অতীক্ষ্ণতায়,
শিরশিরানি হয়;

অষ্ট প্রহর নয় ষোল/চব্বিশ প্রহর জুড়ে পিছু নেয়,
শয়নে-স্বপনে তন্দ্রা-জাগরণে, প্রার্থনায়-ও,
ঘাড় মটকানো বা চুমা চাট্টি দেয়নি
দেবে-না তাও জানা যায়-নি।

অনন্যোপায় রাত-দিনের মাঝে ফাঁদ পাতলাম, সুগভীর কঠিন ফাঁদ,
রাতের শেষ-প্রহরে দেখি পেট-পুড়ে চেটেপুটে ফাঁদ খেয়ে ফেলে
আমাকেই চোখ পাকাচ্ছে!! চোখ মারছে! মনের গোপন নিয়েছে চিনে;
মিষ্টি একটা ডাইনী-গন্ধ দেখছে আমাকে ঘিরে!!

ভয়ে-ভয়ে ভয় পাওয়ার কথা ভাবলাম,
কিছু বিচিত্র উপায়ে বীর-বীর ভাব দেখানোর চেষ্টা করে
বিফলের তেতো স্বাধ খেলাম;

কালি-বিহীন সবুজ কলম ও পৃষ্ঠা-বিহীন মনোহর
খাতা ছুঁড়ে দিয়ে বলে ‘ন্যাখো’ এবং ‘ন্যাখো’,
‘নিখে নিখে’ তাবৎ ব্রহ্মাণ্ড ঢেকে ফ্যালো;
সোনেলা-ফোনেলা কিচ্ছু না,
না ‘নিখলে’ চাঁদ-সূর্য কাজ-কাম গুটিয়ে কাঁদতে বসে যাবে!!
কাঁদা-কাঁটার-কাঁপন শেষে মটকা মেরে পড়ে থাকবে!

এমন কথা শুনে-টুনে চোখের-হৃদয় চড়কে না উঠে
বেহেড-হদ্দ-বুড়ো তালগাছের মাথায় চড়ে বসে!!

ভাবছি এবারে ছায়া-অশরীরী বেশে, সবার ঘাড় মটকে
হৃদ-সুধায়  মাতাল হবো রক্ত-পানে।

0 Shares

২২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ