আত্নহত্যা সকল সমস্যার সমাধান নয়

সৌরভ হালদার ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রবিবার, ০৮:১৫:১৯অপরাহ্ন বিবিধ ২ মন্তব্য

আপনি যখন আত্নহত্যা করার কথা ভাবছেন,তখন হাসপাতালের আইসিইউতে একজন বাঁচার জন্য লড়াই করছে। আত্নহত্যা সকল সমস্যার সমাধান না। আপনি যদি আপনার বিশাদ সমস্যার কথা চিন্তা করেন তাহলে সমাধান ও খুঁজে পাবেন।

নিংসঙ্গ,হতাসা,বিষন্নতা ,অবসাদ হলো মানসিক চাপের একটা ধাপ।আর মানসিক চাপ কখনো কখনো আত্মহত্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আত্নহত্যার প্রধান কারন কোন একটা সংজ্ঞায় বেঁধে পরিমাপ করা সম্ভব নয়। অথচ আমরা সব কিছু জানা সত্ত্বেও, এই আত্নহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে শিক্ষিত যুবক যুবতীরা।২০২২ সালে আত্নহত্যার পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে ৫৩২ জন শিক্ষার্থী আত্নহত্যা‌ করছে এর ভিতরে ৪৪৬ জন স্কুল কলেজর শিক্ষার্থী আর বাকি ৮৬ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের।

আমরা সামাজিকতার দিক থেকে আন্তরিক হতে ভুলে যাচ্ছি। উৎসাহ দেওয়ার আগে আমরা আরো কঠোর হচ্ছি। শাসনের নামে আমরা তৈরি করছি মানসিক চাপ।এই সব কিছুই আমাদের পরিবারতন্ত্রের একটা প্রভাব।যার ফলে একজন শিক্ষার্থীর মনে এমন ভীতি তৈরি হচ্ছে যেমন মেডিকেলে চান্স না পেলে সে পরিবারের ভয়ে আত্নহত্যার পথ বেঁচে নিচ্ছে।এর পাশাপাশি রয়েছে সামাজিক সমালোচনা।মেডিকেলর মতো এইরকম উদাহরণ অনেক। ভুল মানুষের জন্য, ভুল করলে‌ তার সমাধান খুঁজে বের করা উচিত। পড়াশোনা শেষ করে বাবা মার একটা স্বপ্ন থাকে সন্তানের একটা ভালো চাকরি কিন্তু তাঁর কাঁধে বেকারত্বের ভার। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছেলে মেয়েরা দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসে আর আর্থিক মানসিক চাপ তাদের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসে। পারিবারিক কলহ, প্রেম,পারিবারিক জীবনে ঝামেলা, পিতামাতার মধ্যে সমস্যা, পরকীয়া বা পরিবারে আত্মমর্যাদার অভাবের মতো বিভিন্ন কারণে অনেকে আত্মহত্যা করে।এছাড়াও মাদকাসক্তি এবং কিছু অনলাইন গেম সহ বিভিন্ন কারণে মানসিক অবসাদ, বিষণ্ণতার কারনে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

ব্যাধিটা যখন মনে তখন‌ আত্নহত্যার প্রতিরোধে সহায়তা করে মানসিক শান্তি। মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তির পাসে পরিবার,বন্ধু বান্ধব শিক্ষক, মেসে বা হলের সিনিয়র, জুনিয়র সবাই তাকে বোঝাতে হবে‌। কোন মানসিক অবসাদ বিষণ্ণতার ব্যক্তি দেখলে বোঝা যায় এবং তার সাম্প্রতি আচরন।তখন তার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে কাছের বন্ধু বা তার পাসের কেউ তাকে মানসিক ভাবে সান্ত্বনা দিতে হবে তার সমস্যার কথা‌‌ শুনতে হবে।তার কথা গুলো ইতিবাচক ভাবে তার কাছে তুলে ধরতে হবে। কারন আত্মহত্যা করতে চাওয়া ব্যক্তি কিংবা মানসিক অবসাদ বিষণ্ণতার ব্যক্তি এমনিতেই ভেতরে ভেতরে অনেক লজ্জিত, অপরাধী বা বিব্রত বোধ করেন।কোন দোষ ত্রুটি দিয়ে তার সমস্যা গুলোকে না ধরে সমার্থন দিয়ে তার কথা মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। মানসিক অবসাদ গ্ৰস্থ ব্যক্তির লক্ষ্যেনীয় বেশিরভাগ একা থাকতে পছন্দ করে এবং বিষণ্ণতার জীবন যাপন করতে থাকে । কারোর সাথে কথা বলতে চাই না এমন অবস্থায় তার কাছে থাকা ব্যক্তি বুঝতে পারে।সে ক্ষেত্রে পাস থাকা মানুষগুলো মানসিক ভাবে সমার্থন করা উচিত, তাকে বোঝানো‌ উচিত আত্নহত্যা সকল সমস্যার সমাধান নয়।

শিক্ষার্থী, সৌরভ হালদার (ব্যবস্থাপনা বিভাগ ২০-২১) সরকারি ব্রজলাল কলেজ, খুলনা

0 Shares

২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ