দূর-দিগন্তে হা হয়ে দাঁড়িয়ে,
উত্তাল-উদ্দীপ্ত-উত্তপ্ত জোয়ার-সমুদ্র মেলে ধরে
থেকে থেকে চোখাতে হবে না বর্ষাসৌরভে মেতে মেতে,
স্বপ্ন-মগ্ন-চৈতন্য অ-চৈতন্যের আকাশ-বাড়ীতে;
শব্দ-নৈশব্দের বেড়াজাল ডিঙ্গিয়ে;
রাত্রিকে ডেকে বলি
দ্বিধার-পর্বতে মাথা না-কুটে
কাছে-তো আসো, বসো, বসি মুখোমুখি,
না-বলা-কথায় কথা বলি, কথকথা বলি,
যাচ্ছোতো বেশ অবেলায়! খুবই ভীষণ তড়িঘড়ি বুঝি!
চোখ মেলে ধরে, চোখ বন্ধ করে,
চোখে চোখ ফেলে, অনুপল-অনুক্ষণ-সারাক্ষন বসে থাকতে রাজি আছি,
কথায় কথায় হা-হা হি-হি, সতেজ লেবু-গন্ধা মাখামাখি,
ধুন ধরে বসে থাকা! তাতেও রাজি,
না-বলা বলায় গভীর যত গপ-শপ, যদি চাও আরও কিছু! তাও মানি;
শেষমেশ শর্ত শুধু একটি, একটি-ই,
শেখাতে হবে অব্যর্থ ‘এছমে আজম’ অবশ্যই;
এ কিন্তু বড্ড ভীষণ বাড়াবাড়ি,
বেশুমার জ্বলন্ত-আগুন-উজ্জ্বল চোখ ছুঁড়ে বলে
দিলাম তোমায় জনম-জনম আড়ি;
১৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
রাত্রির সাথে আড়ি চলবে না, মিছিল করুম প্রয়োজনে।
এছমে আজম’ শর্তে রাত্রি রাজি হবে!
কেমনে লেখেন এত সুন্দর?
ছাইরাছ হেলাল
প্রথমত রাত্রি নিকট দূরে দাঁড়িয়ে সব কিছু মেলে ধরে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টায় রত।
এরপর তাকে কাছে এসে নিবিড়তার আহ্বান জানালে সে সব কিছুতেই রাজি আছে বলে
জানায়, এমনকি নিবিড়তমতায়ও সায় দেয়; কিন্তু জুড়ে দেব অসম্ভব কঠিনতম শর্ত (মন্ত্র গুপ্তি)।
শেষমেশ শর্ত পূরণে অপারগতা জানালে রাত্রি জনম আড়ি দিয়ে দেয়!!
রাত্রি-ই জনম আড়ি দিয়েছে তার অসম্ভব শর্ত পুরন না হওয়ার জন্য।
আপনি ট্রাই করলে আড়ি উইথড্র করলেও করতে পারে।
লেখা সুন্দর!! ব্যাপার না, লেখাকে একটু বেশি ভালুবাসা দিলেই আপছে-আপ ধরা দিয়ে দেয়।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
কিছুটা বুঝলেও মন্তব্য অভিজ্ঞদের মন্তব্যের পর করব। -{@
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, আমিও অপেক্ষা করে দেখি!
ধন্যবাদ।
গালিবা ইয়াসমিন
ভালো লাগলো :c
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে ধন্যবাদ, পড়ার জন্য।
মৌনতা রিতু
‘হুম বসে না হয় থাকা হোক ধুন ধরে,
না বলা কথার মাঝে
এরই মাঝে চোখের কথায় ভালবাসা উথলে উঠুক, ঠোঁট কাঁপুক,
হাতটা পুড়ে যাক স্পর্শের তাপে
অন্তর পুড়ুক, তবু এসমে আজম মনে থাক
কিইবা হবে যেনে সে এসমে আজম!!
আচ্ছা! তবে হোক আজন্ম সে চোখের আড়ি।’
নির্ভয়ে জোড়া দিলাম এ শব্দ। বহুদিন পর। কবিতা, সেই আগের মতোই। এ নির্বোধ মন অতোটা বোঝেনি তবু বোঝার চেষ্টা করেছে সারাটা দিন। উত্তর খুঁজতে ছুটে গেছিলাম কোনো এক লটকোন বনে। তবু তা খোঁজা হলো না। মিষ্টি কিছু লটকোন ছিঁড়ে খেয়েদেয়ে গৃহে ফিরিলাম অবশেষে।
চমৎকার এমন সব শব্দ কোথা থেকে আসে বলুন তো!
ছাইরাছ হেলাল
আপনার এই দুর্বার সূচি শিল্পের কারখানার ঠিকানাটি দিয়ে বাধিত করবেন কবি,
আমিও ভাবি কীভাবে এমন নিপুন করে জুড়ে দেয়!
এত্ত সুন্দর মন্তব্যের উত্তর এখনই দিচ্ছি না, দেখি লটকন পাই কীনা খুঁজে।
বাহবা! কেমন করে কী করে লেখেন!! (বাড়িয়ে বলছি না কিন্তু)।
অনেক তো লেখেন, এখানের পাঠকেরাই শুধু বঞ্চিত।
মায়াবতী
এছমে আজম টা কি ? ^:^
ছাইরাছ হেলাল
প্রশ্নটি কঠিন না, কিন্তু বুঝিয়ে বলা তো কঠিন,
তবে আপনি চাইলে জিশান শা ইকরামের মন্তব্যের উত্তরটি দেখতে পারেন।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
বাব্বাহ! তলে তলে এত্তো!!!
আর কিছু বলবো না। মুখে কুলুপ এঁটেছি।
ছাইরাছ হেলাল
আরে তলে তলে কৈ!!
সবই তো প্রকাশ্যে!!
আমিও কুলুপে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কৈ মাছ হয়েই থাকুন কুলুপে।
ছাইরাছ হেলাল
যথা আজ্ঞা!!
থাকলুম কিন্তু।