অসম্পূর্ণ কিছু পংক্তি

নীলাঞ্জনা নীলা ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫, বৃহস্পতিবার, ১০:০০:১৩পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৪৯ মন্তব্য

*প্রথমা*

প্রতিযোগিতা যন্ত্র এবং   চাঁদের 
প্রতিযোগিতা যন্ত্র এবং   চাঁদের

কতোকাল হয়ে গেলো একটি বিকেল ঘাসফড়িঙের পেছনে ছুটোছুটিতে আর নেই। সন্ধ্যের চাদর জড়িয়ে একটি কৈশোরী বেলা সলজ্জ্ব উঁকি দেয়না, কতো বছর জানি! উত্তপ্ত রাজপথে দৃপ্ত পদক্ষেপে সকল চোখ রাঙানো উপেক্ষা করে, হেঁটে যাওয়া একটি তরুণী বেলা চশমার নীচে ঝাঁপসা হয়ে ভেংচি কাটে। কতোকাল....

*দ্বিতীয়া*

হিসেব কষতে পারিনা, বড়ো ভুল আজকাল অঙ্কে।ভুল, বড়ো ভুল।

*তৃতীয়া*

শিশিরের জলে কবে ধুঁয়ে-মুঁছে গেছে ঘাসের ধূলি ।নিশ্চিন্তে শুয়ে আছে ভোর। শরতের শরীর জুড়ে খেলা করে কচি রোদ, নীল আকাশ চেয়ে দেখে।চিরস্থায়ীভাবে আটকে থাকা সময়ে হৃদয়ের ওভাবেই অবস্থান। দুজন থেকে একে আজ সমান্তরালভাবে ছুটছে। শূন্যে ভেসে ভেসে একদিন হয়তো মৃত্যুর দেশে দেখা হবে। জীবনের কথা অনেক হলো, এবার একটু সত্যিকারের হাসির কথাই ভাবি।

*চতুর্থী*

পৃথিবীটা এখন বড়ো বেশী ক্লান্ত এবং বিপর্যস্ত ।এখানে আর কোনো নির্ভেজাল, নি:স্বার্থ হাসি নেই।অপ্রয়োজনে কেউ শব্দব্যয়ও করেনা। বিষণ্ণ বাতাসে থমকে আছে চারদিক। পৃথিবীটা আজকাল বড়ো বেশী নীরব এবং নিস্তব্ধ। রুটিনমাফিক কেবল ঘুরেই যাচ্ছে।

*পঞ্চমী*

ধরা যাক তোমার চালে ধরা খেলাম। ইস যদি সত্যি ধরা খেতা। মাঝে-মধ্যে বোকাদেরও হোঁচট খাওয়া বুদ্ধি হয়, পাশায় জেতে । কিন্তু বিশ্বাস করো , আমি হেরেই যেতে চেয়েছিলাম আজ।

*ষষ্ঠী*

তবুও ভালোবাসা
তবুও ভালোবাসা

তবুও ভালোবাসা রং ছড়ায়। প্রতিযোগিতা যতোই হোক না কৃত্রিম-অকৃত্রিমে। জয়ী হয় ওই আধখানা চাঁদ-ই। ক্লান্তবিনোদনও একটুকরো হাসিতে মেতে ওঠে। ভালোবাসা রঙ ছড়ায় বলেই আয়না জুড়ে স্বচ্ছ এই মুখশ্রীর হাসিটুকু আলো ছড়ায় সবখানে।

হ্যামিল্টন, কানাডা
তারিখ ভিন্ন ভিন্ন।

0 Shares

৪৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ