অবশেষে চলেই এলাম সোনেলায়

রাত্রি রায় ১৪ নভেম্বর ২০১৫, শনিবার, ১১:৫৩:৪৮পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৩৭ মন্তব্য

শুধু তোমার বাণী নয় গো, হে বন্ধু, হে প্রিয়,
মাঝে মাঝে প্রাণে তোমার পরশখানি দিয়ো।

বন্ধুত্ত্বের স্পর্শ কেমন? তাও প্রাণের ভেতর! এ প্রশ্নের উত্তর খুবই কঠিন। আবার অত্যন্ত সহজও বটে। তা নইলে আজ এখানে কেন? গুগল কি কারো বন্ধু হতে পারে? জানা ছিলোনা। তবে গুগল উপকার কম করেনি। কতোকিছু পাইয়ে দিয়েছে। আমি লেখিকা নই। তবে খুব কড়া টাইপের পাঠিকা। কড়া বলতে কঠিন না কিন্তু। অনেক বাছ-বিচার করি পড়তেও। সহজে কারোও ভক্ত হতে পারিনা, আবার একেবারে এড়িয়েও যেতে পারিনা। তবে অনেক পড়ি। এইরে পরিচয়টুকু দিয়ে নেই আগে।

আমি রাত্রি। এই দেশের মেয়ে। খুব সাধারণ একজন। দেখতে কিংবা কথা বলায় আলাদা কোনো বিশেষত্ত্ব নেই। কিভাবে এখানে এলাম? গুগলে সার্চ দিচ্ছিলাম সোনালি-সোনালু শব্দদুটোর মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরীর লোভে। অমনি চলে এলো সোনেলা। সোনেলা- কখনো এমন শব্দ তো শুনিনি! অভিধান ঘেঁটে কিছুই পাইনি। হাল ছেড়ে দিয়ে অতঃপর ওপেন করলাম পাতাটা।

------সোনেলা দিগন্তে জলসিঁড়ির ধারে---------

এক এক করে পড়া শুরু করলাম। প্রচুর ব্লগ দেখেছি। এখানে ঘরোয়া আসর দেখলাম। আড্ডা পছন্দ করি, তবে নিজে কম বলি তো, ওটাই একটা সমস্যা। তবুও প্রিয় রবীন্দ্রনাথ আছে, বিষ্ণু দে'র কবিতা "ত্রিপদী", "উপোসীর চোখ মেলাও এখানে একটি সোনালী নদী।
-------- জীবন দেখাও স্বচ্ছ আকাশ, মানুষেরা সব পাহাড় মুক্ত শহরে, কেউবা মুক্ত গায়ে।"

কি দারুণ সব পংক্তি! এসব ভাবি আর নিজেকেই প্রশ্ন করি কিভাবে সবাই লেখেন? কেন আমি পারিনা? জীবনের প্রথম লেখা এই আজ, এখন। সাহস পেয়েছি কোথা থেকে? এই ঘরোয়া আসরে এসে বেশ ভাব নিয়েই ফেললাম। না-চেনার ভীড়ে অনেকের লেখা অনেক পরিচিত লেগেছে। রিমি রুম্মানের "বাবাহীন বাবা দিবস আমার" বড়ো গভীর ক্ষতের ভেতর ক্ষত এই বুকের গহীনের নৈঃশব্দে। লীলাবতীর "আসুন প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেই"(জেনে গেলাম সোনেলার নিয়ম-কানুন), "জেগে ওঠা ঘুম" কিভাবে উনার নাম শুন্য হলো? ভেবেছি বহুবার, উত্তর পাইনি। অবাক হয়েছি পাখীকে এভাবে পর্যবেক্ষণ করার পর লেখা এবং ছবি, তারপর জলের মাঝে যে মুগ্ধতা কি বলা যায় জিসান শা ইকরামকে? একজন মায়াবতী কন্যা নাকি রাজকন্যা? কি উনার পরিচয়? অরুনি মায়ার মায়ায় আবেশ ছড়ানো। কার নাম ছেড়ে কার কথা বলি? ছাইরাছ হেলাল উনার লেখা পড়ে আরোও বেশী অবাক কবিতার ভাঁজে ভাঁজে এতো কথা! হুম ভাবায়। মেহরী তাজের নিজের মুখোমুখি হওয়া, ব্লগার সজীবের বানান নাহ শিখতে হবে। আর নীতেশ বড়ুয়া আত্মদর্শনের সাথে প্রাণখোলা হাসি, কিভাবে আর আটকে রাখা যায়? সীমান্ত উন্মাদের লেখা রম্য থেকে রাজনীতি এমন প্রতিভা আমার যদি থাকতো! একটা নাম নীলাঞ্জনা। শুনেছি এ নাম যাদের, তারা নাকি অনেক অহঙ্কারী হয়! তাই কি? জানিনা কিছুই। আবার অরণ্যের আবৃত্তি শোনার পর থেকে জানার ইচ্ছে উনার কন্ঠ শুনে কতোজন এ পর্যন্ত প্রপোজ করেছে? অনেক অনেক প্রতিভাবানদের ভীড়ে নিজের পরিচয় দেয়ার মতো তেমন যোগ্যতা নেই। জানি।
তবে,
লেখিকা হিসেবে আমি আসিনি, আমাকে পাওয়া যাবেও না। আশা করি সোনেলার এই সিঁড়িতে বসে সবার গল্পের সাথে ছন্দ মেলাতে পারবো। আর আমাকে এই সুযোগটুকু দেয়া হবে। তারপরেও যদি প্রশ্ন আসে সবার থেকে, জয় গোস্বামীর কয়েকটি পংক্তি ছাড়া আমার কাছে আর কিছু নেই।

"আজ যদি আমাকে জিগ্যেস করো : ‘এই জীবন নিয়ে তুমি কি করেছো এতদিন ?’
— তাহলে আমি বলবো এর বেশি আর কিছুই আমি বলতে পারবো না।"

0 Shares

৩৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ লেখা

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ