বহুদিন পর জানা গেলো এক আলুথালু বিষন্নতা নিয়ে মোহনগঞ্জের দিকে ছুটে গেলো যে ট্রেনটি সেই ট্রেনেই শহর ছেড়ে চলে গেলো লোকটি।
কেউ কেউ বলে লোকটি আপাদমস্তকে কবি ছিলো,
কেউ বলেছিলো লোকটি ছিলো বদ্ধ উন্মাদ,পাগল।
ঘনিষ্ঠ কয়েকজন জানতো লোকটি ছিলো গার্মেন্টস কর্মী। তবে লোকটির ভেতর যে, কিছুটা পাগলামির বীজ রূপিত ছিলো তা অকপটে সবাই স্বীকার করেছিলো।
গভীর রাতে লোকটি ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়তো শিশুপল্লীর জঙ্গলে, জল জোৎস্নার সঙ্গমে।
লোকটির হার্টের অসুখের কথা গুটিকয়েকজন জানতো। লোকটির ভালোবাসার কথাও জানা গিয়েছিলো। আয়না নামেই তাকে ডাকতো।
এতো অভিমান নিয়ে পাগল ছাড়া আর কে চলে যেতে পারে, কে পারে চোখে চোখ রেখে বলতে- জীবন তোমাকে বিদায় দিলাম।
তারও বহুদিন পর জানা গেলো লোকটি আসলেই বদ্ধ উন্মাদ ছিলো,
লোকটি প্রেমিক ছিলো।
৩টি মন্তব্য
রোকসানা খন্দকার রুকু
উম্মাদনা আর প্রেম বোধহয় ওতোপ্রোত। কেউ কাউকে ছাড়া চলতে পারে না।
শুভকামনা কবি।
আলমগীর সরকার লিটন
প্রেমিক ছিল বলেই উম্মাদ
ভাল থাকবেন———-
হালিম নজরুল
কবিতার প্লট নির্মাণ সুন্দর