মুক্ত কথন(প্রথম পর্ব)

মাসুদ চয়ন ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বুধবার, ০৫:২০:৩০অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২২ মন্তব্য

(১)আদর্শ কে হাতিয়ার করে সমাজে প্রতিষ্ঠা পাওয়া পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজের একটি।কারন,এই সমাজের অধিপতিরা আদর্শহীন কুলাঙ্গার'
যে মানুষেরা চরিত্রহীন আদর্শহীন লম্পটদেরকে বাহ বাহ দিয়ে ক্ষমতার আসনে বসিয়ে দিচ্ছেন-সেই মানুষগুলি এই সমাজের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে সর্বক্ষেত্রে।কারন,তারা আপোষ করে চলতে জানে।
যখন দেখছে সেই কলঙ্ক নিজের মা বোনের বা পরিবারের উপর এসে পরছে।
তখন আদর্শের কাছে গিয়ে মাথা ঠুকে মুক্তির মিনতি করছে।হে প্রভু আমার আদর্শ ফিরিয়ে দাও,এই পাশবিক কলঙ্ক হতে মুক্ত কোরো-
আদর্শ নিরুপায় অসহায় হয়ে অভিমানে দূরে চলে যাচ্ছে।
খুব দ্রুতই আমাদের মানবিক সভ্যতা অন্ধকারে ডুবে যাবে।যে গুটিকয়ের আদর্শ টিকে আছে তারাও নিশ্চিন্নের পথে।তাই আজ স্বাধীন বাঙালী হয়েও গর্বে গৌরবান্বিত হতে পারিনা।কারণ,সব কিছু নষ্ট দালালদের অধিকারে সাব্যস্ত হয়ে গেছে-মানুষ নীরবতায় চেপে যাচ্ছে বাক স্বাধীনতা হারানোর কষ্ট।গনতন্ত্র মরে গেছে স্বচ্ছতার স্বাধীনতা জ্বলে গেছে_আমরা নামমাত্র স্বাধীন জাতি। আমাদের জাতীয় পতাকা নাট্যাভিনয়ের প্রতীকী স্মারক বহন করে যায় তবে কি?
(২)
একেবারে উৎকৃষ্ট এবং একেবারে নিকৃষ্ট যারা,তারা স্পষ্টবাদী দুঃসাহসী-
তারা সবসময় মাথা উঁচু করে বাঁচতে চায়'
যাদের মধ্যে দুটোরই সংমিশ্রণ তারা স্বার্থবাদী,কারনে অকারণে রুপ ও রঙ বদলায়'লজিক্যালি সুবিধাবাদী।
আমাদের সমাজ এখন তৃতীয় শ্রেণীর মানুষদের দখলে-
উৎকৃষ্টরা আলোর পক্ষের মশাল হয়ে জ্বলতে চায়'
নিকৃষ্টরা অন্ধকারের জন্য নিবেদিত হয়'
আর তৃতীয় পক্ষ আলো অন্ধকার উভয়ের চলার পথকে অবরুদ্ধ করে দেয়/
তখন আর আলো অন্ধকারকে পৃথক করা যায়না'এই পক্ষ খুবই বিপদজনক/
(৩)
সভ্যতা যতই প্রগতিশীলতার দিকে ধাবিত হচ্ছে,মানুষ ততো বেশি আত্নকেন্দ্রিক হয়ে ওঠার প্রয়াস চালাচ্ছে।
মানুষের আবেগ ও মনুষ্যত্ব কমে যাচ্ছে।
প্রগতিশীলতা অবশ্যই সভ্যতার জন্য ভালো ফল নিয়ে আসছে-
তবে তার কলকাঠি মানবিক মানুষের তত্ত্বাবধানে নেই-
সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে উচ্চ শ্রেনীর পুঁজিবাদী স্বার্থান্বেষী মহল কতৃক ।
এজন্য পৃথিবী ধন সম্পদে পরিপূর্ণ হয়ে উঠলেও বেশিরভাগ মানুষ এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ।
৯৮ ভাগ মানুষকে অবাঞ্চিত প্রতিপন্ন করে মাত্র ২ ভাগ মানুষের কল্যান সাধনে নিমগ্ন আধুনিক প্রগতিশীলতা..
আশ্চর্য হচ্ছেন তাইতো!
সামনে আরও ভয়ংকর অন্ধকার।
যখন রোবোট দিয়ে শ্রমিকের কাজ সম্পাদন করা হবে,তখন নিম্ন আয়ের মানুষেরা অনাহারে মারা যাবে/

0 Shares

২২টি মন্তব্য

      • মাসুদ চয়ন

        সোনেলা ব্লগ কতৃপক্ষের যদি আমাকে ব্লগার হিসেবে পছন্দ না হয়,আউট করে দেয়ার অনুরোধ রইলো।কিন্তু উদ্দেশ্য প্রনীত ভাবে দলবদ্ধ হয়ে একজন কে একতাবদ্ধভাবে আক্রমন করাটা হীণ চেতনার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে হয়।আমি এখানে স্বাধীনভাবে মুক্তভাবে লেখার জন্যই এসেছি।সত্য সব সময় তিক্ত।আমার এই লেখাটাও অনেকের কাছে তেমন মনে হতে পারে।তেমন মনে হলে নির্দিধায় গেট আউট করে দিতে পারেন।আমার বিন্দুমাত্র আক্ষেপ বা আফসোস থাকবেনা।

      • নাজমুল আহসান

        আপনার পোস্টটা ছিল আক্রমনাত্মক। এবং বহুলাংশেই পরস্পরবিরোধী বক্তব্য। আমি পোস্ট এবং কমেন্টগুলো অনেক লম্বা সময় ধরে পর্যবেক্ষণ করেছি, মন্তব্য করিনি। কারণ কী জানেন? আমি আগের অন্য একটা পোস্ট থেকে আপনার সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেয়েছি। এরপর যখন দেখলাম, এই পোস্টটা হঠাৎ করে হাওয়া হয়ে গেল, তখন ব্যক্তিগতভাবে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছি ঘটনা কী!

        আপনি লিখেছিলেন-

        অনেক সময় আলোচনা সমালোচনা না থাকার কারনে পোষ্টগুলো স্বেচ্ছায় অপ্রকাশিত করে রাখতাম বা মুছে ফেলতাম।

        এটা প্রমাণ করে আপনি ফেইসবুকের লাইক-শিকার মানসিকতা থেকে বের হতে পারেননি। পোস্টে কমেন্ট না করলে, পোস্টই রাখব না!
        সর্বশেষ পোস্টটাও সরিয়ে দিলেন। যুতসই কমেন্ট পেলেন না, সুতরাং পোস্টটাই আর রাখলেন না!

        পরের বাক্যে লিখলেন,

        লেখার গুনগত মান বুঝেই সঠিক এবং প্রতিক্রিয়ামূলক মন্তব্য করা উচিৎ।

        এটা দিয়ে কী বুঝালেন? আপনার লেখার গুণগত মান ভালো, কিন্তু কেউ কদর করল না। ঠিক না?

        এরপর,

        আমি কারো মন রক্ষা করে তালমিলিয়ে চলতে পারিনা।

        ভালো কথা। তাহলে হঠাৎ করে জিসান সাহেবের প্রসঙ্গ কেন তুললেন? বেশ প্রশংসা করলেন! সোনেলার ভালো-মন্দ বলতে গেলে জিসান সাহেবের কথা আসবে কেন? পরোক্ষভাবে (নাকি প্রত্যক্ষভাবে) মন রক্ষা করার চেষ্টা করলেন না?

        তিনি (জিসান সাহেব) কখনোই লেখকের স্বাধীন মতামত প্রকাশ করার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করেননা।যদিও সেই অধিকার ওনার আছে।

        এটার ব্যাখ্যা কী? লেখকের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অধিকার জিসান সাহেবের আছে? কোন আইনে?

        আর মন্তব্যের ব্যাপারটা বলি- আপনার সাথে তো কারও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব নেই, তাহলে আপনার পোস্টে কেউ কমেন্ট কেন করে না (আমি জানি না এরকম আদৌ হয় কি না), সেটা কি ভেবে দেখেছেন?
        একটু সাহস করে বলতে পারবেন, আপনার অদেখা মন্তব্যের সংখ্যা কত?

        এরকম একটা বিষয়ে আমি নাক গলাতাম না। কিন্তু আপনি স্টিকি করা একটা পোস্ট সরিয়ে দিলেন, সেটা ব্লগ কিংবা মডারেটরকে অসন্মান করা হল না? আপনার হিসাব কী বলে?

  • মনির হোসেন মমি

    মানুষ স্বার্থপর এটা প্রমানীত। তাইতো সমাজে সামাজিক অবক্ষয়ের মত বড় বড় সমস্যাগুলো লেগেই আছে।আপনার লেখায় যে ক্ষোভ তাকে সাধুবাদ জানাই কিন্তু কিছুই করার নেই…এ জগৎ সংসারে মানুষ ১০০ ভাগ স্বার্থহীন সৎ ভাবে চলতে পারে না কারন মানুষের বেচে থাকার কিছু চাহিদা থাকে যা তাকে গ্রহন করতেই হয় । তাইতো দেখি ১০০ভাগ ভাল মনের মানুষরা পাগল হয়ে রাস্তায় ঘুরছে আর অসৎয়েরা রাজত্ব করছে। তবে ১০০ভাগ সততার দাম মানুষের ভেতরে থাকে বাহিরে জীবন চলার পথে নয়।
    খুব ভাল লাগল।

    আপনার স্টিকি করা পোষ্টটি ডিলেট করলেন কেন? আমাদেরকেওতো কিছু বলার ছিলো? তবে স্টিকি পোষ্ট ডিলেট করা ঠিক হয়নি এখানে ব্লগের প্রতিও আমাদের কিছু দায় দায়ীত্ব থাকে।এটা ব্লগের অসন্মান। যাক সে কথা আমরা সবায় সবার মন্তব্যের প্রতি বিনয়ী হউ না পারলে এড়িয়ে চলি।

      • মাসুদ চয়ন

        কারো প্রিয় হওয়ার জন্য লেখালেখি করিনা।মানবিকতার তাগিদে আত্নার পরিশুদ্ধির জন্য লিখি।এখন সিদ্ধান্ত আপনাদের হাতে।মন রক্ষা করে আপোষ করে চলার মতো মানুষ আমি নই।যদি উপযুক্ত মনে না হয় আউট করে দিতে পারেন।আপনাদের ইচ্ছে যা সঠিক মনে হয় করতে পারেন।

      • মনির হোসেন মমি

        মাসুদ ভাই একটু ধৈর্য ধরেন সব ঠিক হয়ে যাবে।বিষয়টা ব্লগ কর্তৃপক্ষের নয় বিষয়টা হল ব্লগারদের মন্তব্যে।আমি মনে করি ব্লগ কর্তৃপক্ষের নিকট সব ব্লগারই সমান।ব্লগাররা আপনার লেখায় ভাল মন্দ যাই হোক মন্তব্য করেছেন তাতে আপনি তা উত্তর দিবেন যেহেতু এটা একটা উম্মুক্ত প্লাটফর্ম এখানে আমার কিংবা আপনার লেখায় পাঠকরা মন্দ বা মতের মিল নাও হতে পারে সে ক্ষেত্রে যেহেতু লেখক আপনি তাই পাঠক বা ব্লগারদের প্রশ্নের উত্তর দিবেন এটাই স্বাভাবিক তাই না? যদি তারপরও মতের মিল না হয় তবে এড়িয়ে যাবেন বাস্।এতে ব্লগ কর্তৃপক্ষে নিকট কিছু অনুরোধ করা বোকামী।এটা আমাদের সমস্যা আমাদের সমাধানে আসতে হবে।তবে হ্যা যদি মন্তব্যে ভাষাগত অশালীনতা থাকে তবে ব্লগ কর্তৃপক্ষ অবশ্যই দেখবেন।
        ধন্যবাদ ভাইয়া।

  • মাসুদ চয়ন

    নাজমুল সাহেব আগেই বলছি ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেননা।আমিও করতে পারি।কিন্তু করবোনা।কারণ আপনাকে অপমান করা আমার উদ্দেশ্য নয়।আপনার কিছু বলার থাকলে রিপোর্ট দিতে পারেন এ্যাডমিন প্যানেলে।নতুবা ব্লগ থেকে বাতিল ঘোষনা করতে পারেন আমাকে।আর আমি মানুষ বা লেখক হিসেবে কেমন আমার টাইম লাইন বা ব্লগের লেখাগুলি সেই সাখ্য গ্রহন করুক।

  • মাসুদ চয়ন

    মমি ভাই।নাজমুল সাহেবের মতো বিকৃত চেতনার মানুষের সাথে কিই বা বলার আছে।আমার পক্ষ থেকে কিছু বলার নেই।উনিই বলতে থাকুক।আমি বললে ওনার সন্মান টুকুও থাকবেনা।এ জন্য কিছুই বললাম না।জাস্ট দেখলাম।আর ব্লগ কতৃপক্ষ চাইলে আমাকে ব্লগে না লেখার জন্য বলে দিতে পারেন।কারণ আমি লিখলে সত্যকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি স্বাধীনভাবে।এতে অনেকের মনক্ষুন্ন হওয়ার সম্ভাবণা থাকতে পারে।

  • সাবিনা ইয়াসমিন

    একটা লেখা দেয়ার পর নেগেটিভ/ পজেটিভ দুইরকম মন্তব্য আসবে। সেক্ষেত্রে, মন্তব্যে ভালো না লাগলে যুক্তিগত উত্তর না দিয়ে লেখাটি সরিয়ে নেয়া কতখানি যৌক্তিক বলে মনে করেন?

  • নিতাই বাবু

    মাসুদ চয়ন দাদাকে বলছি!
    দাদা, আমি লিখে যাবো। ব্লগে পোস্ট করবো। প্রকাশিত পোস্ট পড়ে সহ – লেখক সহ পাঠক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবে। আমি প্রত্যুত্তরে জবাব দিবো। কে মন্তব্য করলো আর কে করলো না, কয়টা মন্তব্য পড়লো, কে কে প্রিয়তে নিলো আর কে নিলো না ; এসব হিসেব করে তো আর চলা যায় না দাদা। আমার লেখার বিষয়বস্তু উপেক্ষা করেও অনেকে মন্তব্য করতে পারেন৷তাতে আমার গা জ্বালা হয়ে উঠার দরকার নেই। আমার নগন্য একটা লেখার পোস্ট ব্লগে স্টিক বা বিশেষ নির্বাচিত হলে, অন্য একজন সহ-ব্লগার বা সহ-লেখক মনোক্ষুণ্ণ হলে আমার কিছু যায় আসে না তো! ব্লগের ব্যাপারস্যাপার ব্লগ মডারেটর ভালো বুঝেন। উনারাই বুঝেশুনে লেখা বা পোস্ট বিশেষ নির্বাচিত করে ব্লগে স্টিক করেছেন। তাতে অন্যের কথায় বা অন্যের বিদ্রুপ মন্তব্যে আমি আমার বিশেষ নির্বাচিত লেখাটি সরিয়ে নিতে পারি না দাদা। এটা একরকম ব্লগ সহ ব্লগের সবাইকে অসম্মান করার সামিল বলে আমি মনে করি। আপনি দাদা কী মনে করছেন?

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ