মায়া এবং মোহ

মাছুম হাবিবী ২৪ নভেম্বর ২০২১, বুধবার, ১০:২৯:৫৭অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৬ মন্তব্য

সৃষ্টিকর্তা একশো ভাগ মায়ার মধ্যে। মাত্র এক ভাগ মায়াকে ৯৯ ভাগ করে শস্য পরিমাণ মায়া দুনিয়ায় দিয়েছেন। অথচ এই শস্য পরিমাণ মায়া পেয়েই আমরা মানবজাতি কত মায়াবী এবং দয়াশীল। একে অন্যকে ছাড়া থাকতে পারিনা। পছন্দের মানুষকে না পেলে আত্মহত্যা করি। কেউ কেউ সারাটি জীবন কাটিয়ে দেয় নির্দিষ্ট একজনের মায়ায়। দুনিয়ার শস্য পরিমাণ মায়ার মোহে পরে, আমরা প্রায় সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে গেছি! একবার চিন্তা করে দেখুন তো 'যদি বাকী ৯৯ ভাগ মায়া পৃথিবীতে দেয়া হত। তাহলে কি সৃষ্টিকর্তা বলতে কেউ একজন আছেন ;এটা কেউ বিশ্বাস করতো? আমার তো মনে হয় বাকী ৯৯ ভাগ মায়া দুনিয়ায় দিলে। মানুষ মৃত্যুকেই ভুলে যেত! সবাই নিজেকে অমর বলে দাবি করতো। কেউ সৃষ্টার ইবাদত করতো না। অতএব, এর থেকে প্রমাণ হয়। মানুষ সৃষ্টির আদিকাল থেকেই স্বার্থপর এবং লোভী। মানুষের চাহিদার শেষ নেই। যার এক টাকা আছে? সে দুইটাকা চায়। যার এক লাখ তার দুই লাখ চাই। যার এক কোটি আছে? সে একশো কোটি চায়। চাহিদা আর লোভের কোনো শেষ নেই।

আল্লাহ্ পাক পবিত্র কুরআনে বলেছেন। আমি মানবজাতিকে সৃষ্টি করার আগে তাদের 'তাকদীর অর্থাৎ ভাগ্য নির্ণয় করেছি। অতঃপর সৃষ্টিকর্তা সেই ৯৯ ভাগ মায়া হাতে রেখে। মাত্র এক ভাগ মায়া দিয়ে গোটা পৃথিবী তৈরী করেছেন। আর আমরা তাতেই দিশেহীন উন্মাদের মত জীবন যাপন করছি। নিজের প্রয়োজন ছাড়া কখনোই সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করিনা। আর এসব স্বার্থপরতার কারণেই সৃষ্টিকর্তা নিজ হাতেই মৃত্যুকে সৃষ্টি করেছেন। এবং মানুষকে ঘুড়ির মত মুক্ত আকাশে উড়িয়ে। নাটাই নিয়ে সেই আরশে আজিমে বসে আসেন। অতএব, একদিন প্রত্যেক প্রাণীকেই সৃষ্টার ডাকে সাড়া দিতে হবে। আর এটাই ধ্রুব সত্য।।

→ মায়া এবং মোহ ←

0 Shares

৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ