শুরুটা ছিলো কৌমার্যের বিনিময়ে
এক পুটলি তামাকের খোঁজে,
কৌমার্য বেচে বারেবারে
তামাক নিলো নিঃশ্বাসে।
একদিন হঠাৎ চুরি হলো
ঘরের জিনিষ চোরে নিলো,
তরল কিছু সুঁই ছুঁয়ে
রক্তে নিয়ে তামাক ছাড়লো।
সুঁইয়ের ফোঁটাও ছাড়তে হলো
ফুঁটো ফাটা জুড়ে গেলো,
তরল আগুন লাগবে বলে
কৌমার্যের ব্যাপারি হলো।
দিনে রাতে ঘর ছেড়েছে
তামাক হতে তরল আগুনে,
কৌমার্যের বিকিকিনিতে
চৌদ্দ শিখেও রাত দেখেছে।
সব গিয়েছে ভাবের জালে
শরীর ভেঙ্গেছে, মন?
নিরেট দেয়ালে মাথা ঠুকে মনের খেয়ালে।
সবই খুঁইয়েছে উন্মাদনাতে
শোধন সাধন পিছ ছেড়েছে,
খোলা মাঠে চাকার আসনে
ভাবলেশহীন জীবন শেষে।
Thumbnails managed by ThumbPress
৩৬টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
সব খোয়ানোর আগেই ভাবতে হবে, উন্মাদ না হয়েই।
যাক পেলাম আমরা এত্তদিনে।
ভোরের শিশির
যৌনতা নিয়ে যেমন শুরু থেকেই শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন তেমনই মাদক নিয়েও শিক্ষার প্রয়োজন আছে। এই দুটো একে অপরকে টেনে ধরে রাখে।
এখনো স্বরুপে আসতে পারিনি ভাইয়া 🙁
শুভেচ্ছা 😀
জিসান শা ইকরাম
শুরুটা হয় হেসে খেলে
উপলব্দি হয় জীবন গেলে।
মাদককে না বলি
শুভ কামনা।
ভোরের শিশির
ধন্যবাদ জিসান ভাইয়া…
মাদককে না বলি।
শুভেচ্ছা 😀 -{@
জিসান শা ইকরাম
লেখা কিন্তু ভালো হইছে 🙂
ভোরের শিশির
:p থ্যাংকু থ্যাংকু 😀
আবু খায়ের আনিছ
কৌমার্য শব্দের অর্থ আমি জানি অবিবাহিত। এই শব্দের অর্থনিয়ে দ্বিধায় আছি, বুঝতে পারছি না কোন অর্থে এর ব্যবহার।
যাইহোক, যে ভাবেই হোক শুরু জীবন দিয়ে হয় শেষ, মাদক এর হাত থেকে মুক্ত হোক যুব সমাজ।
ভোরের শিশির
‘কৌমার্য শব্দার্থ অবিবাহিত। প্রকৃত অর্থে কৌমার্য বলতে অবিবাহিত অবস্থা, কিন্তু এই শব্দটি যখন কোন একটি লাইনে চলে আসে তখন তা অবিবাহিত অবস্থার মানে পাল্টে দিয়ে কুমার বা কুমারীত্ব অথবা শরীর সঙ্গমে স্পর্শহীনতাকে বুঝিয়ে দেয়। আমি এখানে সেই বিষয়টিই এনেছি।
বাংলা ভাষার মাহাত্ম্য এখানেই যে শুধু শব্দার্থ নিলে এক রকম আবার সেই একই শব্দ অনেক শব্দের সাথে মিলিয়ে লাইনে আনলে ভিন্নতা নিয়ে আসে। আমাদের বাংলা ভাষার শব্দগুলো আসলে আভিধানিক অর্থের চাইতে বেশী ব্যপ্তি পায় ভাবার্থে।
নিচে অপার্থিব এক লাইনেই বলে দিয়েছেন অনেক কথা। যাদের বিয়ে হয়নি কিন্তু মাদক ও শরীরের তীব্র আকর্ষণ একে অপরের সাথে মিশে যায় তখন তা মাদকের জন্য বা শরীরের জন্য বারেবারেই বিনিময় হয়। কেউ মাদক দিয়ে শরীর শিকার করে আবার কেউ শরীর দিয়ে মাদক…
মাদক হতে সবাই মুক্ত হোক। 😀
ধন্যবাদ আনিছ ভাই। শুভ কামনা -{@
আবু খায়ের আনিছ
ধন্যবাদ দাদা, যে বিষয় বুঝতে পারি না সেই বিষয়ে প্রশ্ন করার চেষ্টা করি। সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে দেন এটাও অনেক ভালো লাগে।
ভোরের শিশির
আপনি বুঝতে চান এবং কেউ বুঝিয়ে দেওয়া নিয়েও সহজভাবে গ্রহণ করেন দেখি আপনাকে বলি 😀
শুন্য শুন্যালয়
শিরোনাম টা নিয়ে ভাবছি। মাদক ও তা। অর্থাৎ শুধু মাদক নয়, লেখাতে আরো কিছু বলা হয়েছে। উন্মাদনাতে পড়লে বাকিসব অচল, কিসের জীবন? কিসের মন? কেউ দেখবেনা তামাকের খোঁজ কেন আর কোথায় শুরু হয়েছে। আদোতে সব নেশাতেই জীবন একপ্রকার খুঁইয়ে যায়। চাকাটা থেমে যাবার আগেই বুঝে নেই মন কি। মাদক কে “না”
হুম হুম, ভোরের শিশিরকে চেনা চেনা লাগছে, শুরুটা এমন করেই ছিলো, লেখা বুঝতে বুঝতে যখন মাথা ঠুকতাম।
অনেকদিন পরে লেখা দিলি, বেশ লিখেছিস।
ভোরের শিশির
গত বছর কবিতা চেয়েছিল একটি ম্যাগাজিনে ছাপানোর জন্য। কি লিখবো কি লিখি ভাবতে ভাবতে এটাই লিখে ফেলেছিলাম, যদিও কোথাও কবিতা দিতে বললে আমার মনে সাহারা মরুভূমি গজিয়ে উঠে :p (আপচুচ, সেই ম্যাগাজিনে এই কবিতাটি ছাপালেও ওরা তা জানানোর বিনয়টুকু পর্যন্ত দেখায় নি, সৌজন্য সংখ্যা তো পরে। আজো আমি সেই ম্যাগাজিনের নাম জানি না :p )
মাদক ও তা। আমার ভাবনায় মাদকের ছোঁয়াতে যা হয় সেটাই ‘তা’ এবং এইজন্যেই মনে হয় এই ‘মাদকতা’ শব্দটি এভাবে এসেছে :p
তবে অপার্থিব নিচে মন্তব্যে দারুণ বলেছেন। এক লাইনেই সব কথা বলে দিয়েছেন 😀
আমি বুঝি অবুজ লেখা লিখি!!!!!!! ^:^ কঠিন লিখি :@ যাও, তোমার মাথায় বাড়ি দিলাম :p
শুন্য শুন্যালয়
মাথায় বাড়ি দিলে প্রমাণ স্বরূপ তোর সব প্রথম দিককার লেখা এনে দেখাবো সবাইকে। তখন তোর মাথাতেই বাড়ি পড়বে।
ম্যাগাজিনের নাম পর্যন্ত জানিস না। আজব সব মানুষজন।
হুম অপার্থিবের মন্তব্যটা ভালো হয়েছে।
তুই ফাঁকি দিচ্ছিস ইদানিং।
ভোরের শিশির
ঐগুলা তাহলে পঁচা লেখা :p
আমি আসলেই আজব 😀
অপার্থিবের প্রায় সব মন্তব্যই দারুণ হয় 🙂
আমি ফাঁকি দিচ্ছি কি? ফাঁকিতেই ডুবে আছি…
পাঙ্গাস মাছ খাবো :@
অরুনি মায়া
লেখা পড়ে যা একটু বুঝলাম, কিন্তু মন্তব্য পড়ে মাথা আওলায় গেল | দেখে আরও একটু বোঝার চেষ্টা করি 🙂
ভোরের শিশির
নিজের মতো ভাবুন… এটাই চাই 😀
শুভেচ্ছা অরুনি আপু -{@
অরুনি মায়া
আমার কিন্তু কোন দোষ নাই, আমি কিন্তু চুরি করিনি, মাদক স্পর্শ করিনি | শুধু না ঘুমিয়ে চোখের তলে অল্প একটু কালি পড়েছে | আগের থেকে বলে রাখলাম :p
ভোরের শিশির
আমার চোখে বিস্তর কালি। মণিতেও, পাপড়িতেও আবার চোকের নিচেও :p
লীলাবতী
শিরোনামে চোখ স্থির হয়ে থাকলো। আনমনে পড়লাম লেখাটি। আপনার লেখা বুঝতেও তো মস্তিস্কের অবস্থা ছেড়াবেড়া 😀
লীলাবতীকে আজকাল দেখছি কেউই মনে রাখে না। ভালো লক্ষন এটি :=
ভোরের শিশির
কবিতার মতো কিছু লিখতে গেলে আমি সব খুলে বলে দেওয়ার পক্ষপাতী নই, তাই সহজ করে লিখি তবে এমন ভাবের সাথে যাতে পাঠক নিজের মতো করে চিন্তা করতে উৎসাহী হয়। কবিতায় আমি আমার ভাবকেই একমাত্র ভাব হিসেবে দেখাতে চাই না 😀 এইজন্যেই অনেক ধোঁয়াশা থাকে :p
লীলাপুকে মনে রাখি কি রাখি না তা যদি লীলাপু জানতে চায় তবে গত ক’মাসের অনেক পোস্টে লীলাপুকে চোখ দিতে হবে এবং কান পাততে হবে লীলাপুর নিজের চারপাশে দেয়ালে যেখানে শুধু লীলাপুকে না পাওয়ার হাহা কার প্রতিধ্বনিত হচ্ছে…
অনেকদিন বাদে এলেন, নিয়মিত আপনাকে পেলে সোনেলায় খুব ভাল হবে… -{@
লীলাবতী
হাহা কার প্রতিধ্বনিত হচ্ছে নাকি? ধ্বনিই তো নেই, প্রতিধ্বনি হয় কিভাবে? 🙂 নিয়মিত না পেলে কি খারাপ হবে? ভাল হোক তা তো চাই 🙂
ভোরের শিশির
ধ্বনিত হয়েছে বহু আগেই আর তার রেশ প্রতিটি ইট-বালু-চুনে মিশে প্রতিবারে প্রতিক্ষণে হা হা করে ধ্বনিত হয়ে প্রতিধ্বনিতে নাম নিয়েছে :p
নিয়মিত পাচ্ছি না বলেই উচ্ছ্বাস খুঁজে পাচ্ছি না যা আপনি থাকলে পাই… 😀
অনিকেত নন্দিনী
“শুরুটা ছিলো কৌমার্যের বিনিময়ে
এক পুটলি তামাকের খোঁজে,
কৌমার্য বেচে বারেবারে
তামাক নিলো নিঃশ্বাসে।”
কৌমার্যের বিনিময়ে এক পুঁটলি তামাকের খোঁজ! বিনিময়টা একটু বেশিই হয়ে গেলোনা?
যতদূর জানি কৌমার্য একবারই বেচা যায়, বারেবারে বেচার ব্যাপারটা বুঝি নাই। ;?
মাদক ভয়াবহ জিনিস। জাতি-কুল-মান-সততা-জীবন সব ধরে কঠিন ঝাঁকুনি দেয়। একে পাত্তা না দেয়াই ভালো। পাত্তা দিলেই চৌদ্দ শিকের ভেতর রাত কাটানোর ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হয়।
আসুন আমরা সবাই মাদককে না বলি। (9)
অ.ট. মাদক ও তা! মনে হচ্ছে তা কী জিনিস তা এইখানেই বলা হয়ে গেছে। ;?
ভোরের শিশির
হাইস্কুলে মাদক ও এইচআইভি পজেটিভ নিয়ে একটা রচনা লিখতে বলেছিল। এ’ নিয়ে লিখতে গিয়ে ভালমত তা জানার জন্য পাব্লিক লাইব্রেরী হতে নানান ম্যাগাজিন ও আর্টিক্যাল থেকে জেনেছিলাম মাদকের একটা চরম অনুভূতি হচ্ছে মাদকেরসংস্পর্শে আসার জন্য এবং এরপরে মাদকসেবীকে তীব্রভাবে ধাবিত করে শারীরিক চাহিদার প্রতি। বাইরের দেশে মাদক যে সব কিশোর ও কিশোরীরা গ্রহণ করা শুরু করে তাদের কাছে মাদক আসেই এই শরীরের মাধ্যমে। আবার মাদক নিতে অভ্যস্ত হওয়ার পর মাদক নিলেই তারা তীব্রভাবে শারীরিক সংগমের আকর্ষণ অনুভব করে। সামান্য একটি ইয়াবা ট্যাবলেটের জন্য আজকাল আমাদের দেশেই শরীর দিয়ে দেয় অবাধে-অনেকেই…
শুরুতে আনিছ ভাই জানতে চেয়েছিল ‘কৌমার্য শব্দার্থ অবিবাহিত’ হলে এখানে কি হিসেবে ব্যবহার করেছি। কৌমার্য বা অবিবাহিত অবস্থা শুধু শব্দটির জন্য, কিন্তু এই শব্দটি যখন কোন একটি লাইনে চলে আসে তখন তা অবিবাহিত অবস্থার মানে পাল্টে দিয়ে কুমার বা কুমারীত্ব অথবা শরীর সঙ্গমে স্পর্শহীনতাকে বুঝিয়ে দেয়। আমি এখানে সেই বিষয়টিই এনেছি। নিচে অপার্থিব এক লাইনেই বলে দিয়েছেন অনেক কথা। যাদের বিয়ে হয়নি কিন্তু মাদক ও শরীরের তীব্র আকর্ষণ একে অপরের সাথে মিশে যায় তখন তা মাদকের জন্য বা শরীরের জন্য বারেবারেই বিনিময় হয়। কেউ মাদক দিয়ে শরীর শিকার করে আবার কেউ শরীর দিয়ে মাদক…
অ.ট. দিয়ে যা বলেছেন সেটাই বুঝেছেন যা আসলেই বলতে চেয়েছি এবং এই জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ অনিকেত আপু। 😀
নিজে ধূপমান করলেও কোনদিন মাদকের ধারে কাছে যাই নি, বরং আমার সহকর্মী বা বন্ধুকে ফিরিয়ে এনেছি। তাই মাদককে ‘না’ বলি সব সময়…
অনিকেত নন্দিনী
কৌমার্য বা virginity একবারই বেচা যায় বা খরচ করা যায়, শরীর বেচা যায় যতবার খুশি। সেই অর্থে বলেছিলাম
এক পুঁটলি তামাকের খোঁজে কৌমার্য বিক্রির কথা বলেছেন বলেই জিজ্ঞেস করেছি বিনিময়টা বেশি হয়ে গেলো কিনা। যেহেতু আপনি ধূমপায়ী, তামাক মানেই যে মাদক নয় তা আপনি আমার চাইতেও ভালো জানেন।
ভোরের শিশির
আমার মতে কৌমার্য কোনদিন বেচা যায় না। আদতে এই কৌমার্য শরীরে নয় বরং মনে। যে মন শরীরকে বেচে সেই শরীরের কৌমার্য থাকে না। আবার যে মন কোনদিন শরীরের সাথে শঠতার আশ্রয়ে যায়নি সে যতবারই করুক মন থেকে সে ভার্জিন-এ আমার বিশ্বাস অনিকেত আপু।
মাদকের টান এমন টান যে শরীর তখন ক্ষণিকের আনন্দের জন্য…
তামাক আমি ছাড়বো… বেশ কবার ছেড়ে আবার ধরেছি। কিন্তু চল্লিশেই ছাড়বো এ আমার নিজের কাছে পণ… \|/
অপার্থিব
কৌমার্য আর মাদকের উপমাটা মন্দ না !! এক ধরনের আকর্ষণ থেকে আসক্তি জন্মে দুটোর ক্ষেত্রেই।
ভোরের শিশির
মন্তব্যকারীদের অনেকেই কৌমার্য ও মাদক এক সাথে আসায় ধরতে পারছিলো না এই পোস্টের লেখায় কিসের সাথে কি লিংক করে ঘটনাকে প্রবাহিত করা হয়েছে। আপনার এই মন্তব্য তাদের চিন্তার যোগসূত্র হবে বলে বিশ্বাস করছি।
চমৎকার করে বলে ফেলেছেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা আপনাকে। -{@
ইলিয়াস মাসুদ
খুব শক্ত বিষয়ের উপর কবিতাটা …
অনেক ভাল লাগলো
ভোরের শিশির
ধন্যবাদ ইলিয়াস। লেখায় থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।
শুভেচ্ছা নিবেন। -{@
রুহুল
অন্য ধাচের লেখা। ভাল লেগেছে
ভোরের শিশির
ধন্যবাদ অনেক।
শুভেচ্ছা নিবেন। -{@
মোঃ মজিবর রহমান
অভিভুত হলাম।
দারুন !
ধন্যবাদ।
ভোরের শিশির
থ্যাঙ্কু মজিবর ভাইয়া 😀
কৃতজ্ঞতা রইলো 😀 -{@
মোঃ মজিবর রহমান
-{@ -{@ -{@ -{@
ভোরের শিশির
😀