
কিংবদন্তি অনুসারে, ছোট মহেশখালীর তৎকালীন এক প্রভাবশালী বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ সিকদার, মাঝে মাঝেই পাহাড়ে হরিণ শিকার করতে যেতেন। একদিন হরিণ শিকার করতে গিয়ে সারা দিন এদিক-ওদিক ঘুরেও শিকারের সন্ধান না পেয়ে একটি গাছের নিচে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। হঠাৎ কিছু একটার শব্দে তার তন্দ্রা টুটে যায়। শব্দ অনুসরণ করে তিনি দেখতে পান যে, একটি গাভী একটি মসৃণ শিলাখণ্ডের উপর বাট থেকে দুধ ঢালছে; এই গাভীটি তারই গোয়ালঘর থেকে কিছুদিন আগে হারিয়ে যায়। গাভী আর সেই সুন্দর শিলাখণ্ডটি নিয়ে তিনি বাড়ি ফেরেন। সেদিন রাতেই তিনি স্বপ্নে দেখতে পান, এক মহাপুরুষ তাকে বলছেন যে, শিলাখণ্ডটি একটি দেব বিগ্রহ। এ বিগ্রহ যেখান থেকে নিয়ে এসেছেন সেখানে রেখে তার উপর একটি মন্দির নির্মাণ করতে হবে। মন্দিরের নাম হবে আদিনাথ মন্দির। এ আদিনাথের (শিবের) ১০৮ নামের মধ্যে "মহেশ" অন্যতম। আর এই মহেশ নাম হতেই এই স্থান পরবর্তীতে মহেশখালী হয়ে যায়। আবার, এটি প্রায় ২০০ বছর আগে মহেশখালী নামে পরিচিত হয়ে উঠে, বৌদ্ধ সেন মহেশ্বর দ্বারাই এটির নামকরণ হয়েছিল বলেও অনেকের ধারণা। উইকিপিডিয়া
নাম করণের কারণ যাই হোক এটি ছিল মহেশখালীতে আমার দ্বিতীয় যাত্রা। এবারে আসুন কিছু ছবির মাধম্যে দেখে নেই মহেশখালী দ্বীপকে।
(২) কক্সবাজারের ৬নং ঘাট থেকে ছাড়ে মহেশখালীর স্পীডবোট ও ট্রলার। পাশেই ফিশারী ঘাট থাকায় এখানে সব সময় এমন সাড়ি সাড়ি জেলেদের ট্রলারগুলো লেগেই থাকে।
(৩) মহেশখালীর দিকে ছুটে চলছে একটা স্পীডবোট।
(৪) জেলেদের ট্রলারগুলো মেরামতের কারখানাগুলো এমনই।
(৫) পাীর উপর ভেসে থাকা পথ নির্দেশক একটা বয়া।
(৬) এক সময় দৃষ্টির ভেতর চলে এলো মহেশখালী ঘাট
(৭) ঘাট থেকে দ্বীপে যাওয়ার ব্রীজটা বেশ দৃষ্টিনন্দন।
(৮/৯) রাখাইন পাড়ার বৌদ্ধ মন্দিরটি খুবই চমৎকার এখানকার পরিবেশ খুবই মনোরম।
(১০/১১) মন্দিরের ভেতরের সোনালী বৌদ্ধ মুর্তি, কয়েকটি ঘর ও সোনা রঙের কারুকাজ করা।
(১২/১৩) আর এখানকার শুটকির কিন্তু আলাদা একটা সুনাম আছে।
(১৪) শুটকির সাথে একটু স্মৃতি
(১৫) পাহাড়ের উপর বিখ্যাত আদিনাথ মন্দির
(১৬) আদিনাথ মন্দির পার হয়ে আরো উপড়ে উঠলে পাওয়া যায় এই বৌদ্ধ স্তুপ।
(১৭) পাহাড়ের উপর থেকে নেমে হাপিয়ে উঠে এখন আর আগের মতো ২০ টাকায় ডাব খাওয়া যায়, এখন ওরা বেশ কমার্শিয়াল।
(১৮/১৯) আগেও দেখেছি ভাটার সময় এই মাছগুলো কাঁদায় লাফালাফি করে এবং খেলে বেড়ায়। আর এদের গা থেকে এক ধরণের সোনালী আভা বিচ্ছুরিত হয়।
(২০) ফেরার সময় ৬নং ঘাটের ট্রলার গুলো একেবারে শুকনোতেই দাঁড়িয়ে ছিলো।
১৬টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
অনেক দিন পর সুন্দর একটি ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে হাজির হলেন। কেমন আছে।
ফয়জুল মহী
কেমন আছেন
কামাল উদ্দিন
ধন্যবাদ মহী ভাই, আমি ভালো আছি, আপনি কেমন আছেন?
নাজমুল আহসান
মহেশখালীর পানের খিলি তো দেখালেন না!
কামাল উদ্দিন
ডাব বিক্রেতার সামনে দিয়ে একজন কে পান নিয়ে যেতে দেকা যাচ্ছে ভাইজান, ভালো থাকবেন সব সময়।
আলমগীর সরকার লিটন
কামল দা পান খায় না তাই পানের ছবি তুলেন নি
কামাল উদ্দিন
আপনি ঠিক ধরেছেন লিটন ভাই, শুভ কামনা নিরন্তর
মোঃ মজিবর রহমান
মনরোম দৃশ্যে মহেশখালী
শুধু চক্ষু জুড়ায় মন জুড়ায়। ভালো লাগলো কামাল ভাই।
কামাল উদ্দিন
শুভ কামনা জানবেন মজিবর ভাই
বোরহানুল ইসলাম লিটন
নিরন্তর ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
এই পোষ্টের সুবাদে অনেক কিছু দেখলাম
মহেশখালির নাম শুনলেও যা আগে ছবিতেও দেখার সৌভাগ্য হয়নি।
কামাল উদ্দিন
আমারও এমন অনেক নাম শোনা আছে দেখা হয় নাই, সেসব দেখার অপেক্ষায় আছি, ভালো থাকবেন ভাই।
হালিমা আক্তার
চমৎকার ছবি গুলো মুগ্ধতা ছুঁয়ে গেল। শুভ কামনা রইলো।
কামাল উদ্দিন
আপনার জন্যও শুভ কামনা সব সময় আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনার কল্যাণে ফ্রিতে মহেশখালী ঘুরে বেড়ানো গেলো, এইজন্যই আপনি সোনেলার হিউয়েন সাং 🙂
১৪/ শুটকির সাথে ছবিটা দারুণ হইসে।
কামাল উদ্দিন
হিউয়েং সাং কেডা আপু??
সাবিনা ইয়াসমিন
!!!! এটাও আমাকেই বলে দিতে হবে!!
হিউয়েন সাং লিখে সার্চ দিয়েন। উইকিপিডিয়া/গুগল আপনাকে তার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে 😒