ভাস্কর্য নাকি মুর্তি : আসুন জানি প্রকৃত ইতিহাস (পঞ্চম অংশ)

পূর্ব প্রকাশের পর :

নুহ আ. এর পূর্বের নবিগণ-

হযরত ইদরিস আ.

একজন নবি। হযরত আদম আ. এর অধনস্ত সপ্তম পুরুষ এবং হযরত নুহ আ. এর অষ্টম প্রপিতামহ এবং তিনি 365 বছর বয়স লাভ করিয়াছিলেন। তার উপর 30 টি সহিফা নাযিল করা হয়। লিখন পদ্ধতি, জ্যোতি বিজ্ঞান ও অংকশাস্ত্র তার উদ্ভাবন। আরবি লেখকদের বরাত দ্বারা তাকে চিকিৎসা, জ্যোতিবিদ্যা, চিত্রকলার প্রতিষ্ঠাতা এবং সর্বপ্রথম পুস্তক পাঠ দানকারী ও কাপড় সেলাই করে পরিধানকারী বলা হয়েছে। (ইসলামী বিশ্বকোষ পার্ট-3 এর – পৃষ্ঠা নং- 772-74 হতে হযরত ইদরিস আ. সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনাস্থল থেকে কয়েকটি বাক্যবিশেষ)

আদম আ. ও শীছ আ. এর পরে হযরত ইদরীস আ. সর্বপ্রথম আদম সন্তান যাকে নবুওয়াত দান করা হয়েছিল। ইনিই সর্বপ্রথম কলম দ্বারা লেখা আবিষ্কার করেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া (ইসলামের ইহিতাস : আদি-অন্ত) 1ম খন্ড 228 পৃষ্ঠা হতে)

হযরত ইদরিস আ. আদম আ. এর পর প্রথম নবী ছিলেন এবং নুহ আ. বা তার পিতার দাদা ছিলেন।সর্বপ্রথম তিনিই কাপড় সিলাই শুরু করেন। (তাফসির আহসানুল বয়ানে 56 নং আয়াতের ব্যাখ্যায় 89 নং টীকা)

হযরত শীছ আ.

শীছ অর্থ আল্লাহর দান। হাবিলের নিহত হওয়ার পরে এই সন্তান লাভ করেছিলেন বলে আদম আ. ও হাওয়া আ. এর নাম শীছ রাখেন। হযরত শীছ আ. এর উপর 100 খানা সহিফা নাজিল করা হয়।

আদম আ. এর বংশ পরম্পরা সম্পর্কে যা জানা যায়- শীছের যেদিন জন্ম হয় সেদিন আদম আ. এর বয়স একশ ত্রিশ বছর। এরপর তিনি আরো আটশো বছর বেঁচেছিলেন। শীছের ঔরশে আনুশ এর জন্ম হয়। আনুশ এর জন্মের দিন শীছ এর বয়স ছিল একশত পয়ষট্টি বছর। এরপর তিনি আরো আটশ সাত বছর বেঁচেছিলেন। আনুশ ছাড়াও তার আরো কয়েকটি সন্তান ভূমিষ্ট হন। আনূশের বয়স যখন নব্বই বছর তখন তার পুত্র কিনান এর জন্ম হয়। এরপর তিনি আরো আটশ পনের বছর বেঁচেছিলেন। এ সময় তার আরো কয়েকটি ছেলে–মেয়ে জন্ম হয়। কিনানের বয়স সত্তর বছর উপনীত হলে তার ঔরষে মাহলাইল এর জন্ম হয়। এরপর তিনি আরো আটশ চল্লিশ বছর আয়ু পান। এসময় তার আরো কিছু ছেলে-মেয়ের জন্ম হয়। তারপর মাহলাইল পয়ষট্টি বছর বয়েসে উপনীত হলে তার পুত্র য়ারদ এর জন্ম হয়। এরপর তিনি আরো আটশ ত্রিশ বছর বেঁচে ছিলেন। এসময় তার আরো কয়েকটি ছেলে-মেয়ে জন্ম হয়। য়ারদ একশত বাষট্টি বছর বয়সে পৌছালে তার পুত্র খানুখ এর জন্ম হয়। এরপর তিনি আরো আটশ বছর বেঁচে থাকেন। এসময় তার আরো কয়েকটি পুত্র-কন্যা জন্মগ্রহণ করে। খানুখের বয়স পয়ষট্টি বছর হলে তার পুত্র মুতাওয়াশশালি এর জন্ম হয়। তিনি আরো আটশ বছর বেঁচে ছিলেন। এসময় তার আরো কয়েকটি ছেলে-মেয়ে জন্মগ্রহণ করে। তারপর মুতাওয়াশশালি যখন একশত সাতাশি বছর উপনীত হন তখন তার পুত্র লামাক এর জন্ম হয়। তিনি আরো সাতশ বিরাশি বছর হায়াত পান। এসময় তার আরো কয়েকটি ছেলে-মেয়ে জন্মলাভ করে। লামাক এর বয়স একশ বিরাশি বছর হলে তার ঔরষে নুহ আ. এর জন্ম হয়। এরপর তিনি আরো পাঁচশ পচানব্বই বছর বেঁচে থাকেন। এসময় তার আরো কয়েকটি ছেলে-মেয়ে জন্ম হয়। নুহ আ. এর বয়স পাঁচশ বছর হলে তার ঔরশে সাম, হাময়াফিছ এর জন্ম হয়। এ হলো আহলে কিতাবদের গ্রন্থের সুস্পষ্ট বর্ণনা। [আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া (ইসলামের ইহিতাস : আদি-অন্ত) 1ম খন্ড  হতে ]

হযরত আদম আ. ও হযরত নুহ. আ. এর মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যেই রোপিত হয়েছিল শিরকের ভয়াবহ বীজ- এই অংশে সেই আলোচনা থাকছে। (চলবে)

0 Shares

একটি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ