এ এক কঠিন পণ, রৌদ্রোজ্জ্বল উষ্ণতায়, নত মুখের ভান করে নিরন্তর হেঁটে যাওয়া
বিষুব রেখা বরাবর। আহ্নিক গতি বার্ষিক গতির থোরাই কেয়ার করে।
কারো কোন পিছু ডাক শুনব-না শুনছি-না ভাব ধরবো।
(আমার) নাম ভূমিকায় অভিনয় করতে রাজি হয়েছে/রাজি করিয়েছি এক আধ-জনকে।
পালা করে ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধরে। নিষ্কৃতির আশা নিয়ে। খুব যে কাঠখোট্টা হবে, তা না।
ভাগ্যিস তারা বিজ্ঞজন কাঠগোলাপ বলে না, তবে কিছু একটা বানিয়ে-ছানিয়ে বলবেই বলবে, ভাব নিতে হবে যে।
নিঃসঙ্গতার কিছু না মিলাতে পারা অঙ্ক সহসাই পিছু নেবে নাছোড় বান্দা হয়ে। এলিয়ে পড়া
সোমত্ত-বসন্ত-ডাক হিস হিস শব্দ তুলে বিষের নীল ছড়াবে পথ আগলে।
ভান করে করে একটু ধীর গতি নেব শুধু।
ফেটে পড়া বাড়ন্ত প্রাণোন্মাদনা চেপে রাখব নির্ঘুম-ঝর্ণা-জলের বকুনি খেয়ে,
ভান-করে ভান-ধরে হেঁটে হেঁটে পেরিয়ে যাব অযুত সীমান্ত ধার ঘেঁসে ঘেঁসে,
অন্ধকারের নিবিড় রাতে।
১৮টি মন্তব্য
মাহমুদ আল মেহেদী
জড়তা কাটবে এবার
প্রিয়তে রাখতে অনুরোধ
কাছে সবার।
ছাইরাছ হেলাল
কাটুক কাটুক, সব কিছু কেটে-ফেটে ফালা ফালা হয়ে যাক।
আপনার অনুরোধের এ বিরাট বিকট ঢেঁকি কেউ গিলবে বলে মনে হয় না।
সাবিনা ইয়াসমিন
আহা !! গল্প তো নয় ,ঠিক যেন ধানিমরিচ। আদরে আদরে কাছে ডেকে গল্পো বলার ছলে বানানো-ছানানো লঙ্কাগুড়ো মাখিয়ে দেয়ার ছল। বিষে বিষক্ষয় হয় শুনেছি ,ধীরপায়ে চলে গেলে নীল বসন্ত লাল হবে কেমন করে ?? ভান ধরে ঘুমিয়ে পড়লে তারে তোলাবার জন্যে ভান করা জায়েজ আছে।
অনুরোধে শুধু ঢেঁকি নয়, ঢেঁকিঘর শুদ্ধ গেলানো যায়,,,গপ্প-গল্প-কবিতা-কোবতে এটা আর কেই-বা বাছ/বিচার করে ।
গিলে ফেলেছি,,এখন কেউ আবার আমার ফাঁসির হুকুম না দিয়ে বসে,,😂😂
ছাইরাছ হেলাল
সত্যি সত্যি গিলে ফেলেছেন!! দেখবেন উগড়ে যেন না দিতে হয়,
অবশ্য পেটুক হলে অন্য কথা।
আপনাকে ফাঁসি দেবে এমন সাধ্য কার!! ফাঁসির ফাঁসি হয়ে যাবে যে!!
যা দিন কাল তাতে লঙ্কাগুঁড়ো তো বহুত দূর, চিনিগুঁড়ো- ই বা কে কাকে দেয় বা দিতে পারে!!
আপনি কোনটা ছোঁড়েন কে জানে!!
সাবিনা ইয়াসমিন
আপনি হলেন রাজা-মহারাজ,,লঙ্কাগুড়ো, চিনি গুড়ো,, এগুলো কি আপনার উপর ছুঁড়ে দেয়া যায় ? ছুঁড়লে ফুলই ছুঁড়বো,,,আরতো কোনো উপায় নেই। নিন ফুল দিলাম
🌸🌺🏵🌻🌼💐
ছাইরাছ হেলাল
কী কী ফুল দিলেন তা কিন্তু বলেন-নি!!
কাটা-কুটা আছে কী না কে জানে!!
তাও তো দিলেন!! আকালের দিনে এই-তো অন্নেক!!
তেলাপোকা রোমেন
ভান-করে ভান-ধরে হেঁটে হেঁটে পেরিয়ে যাব অযুত সীমান্ত ধার ঘেঁসে ঘেঁসে. দারুণ বলেছেন।
_____________________________________________________________________
বিস্তীর্ণ উজানে একলা হয়ে গেলে
চিনিয়ে নেব পথ চিহ্ন এঁকে এঁকে
পিছু ফিরে তাই ফিরতে যদি হয়
পাড়ি দেব পথ নিমিষে।
ছাইরাছ হেলাল
দারুণ মন্তব্যের জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।
প্রহেলিকা
গল্প শুনতে চেয়ে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার মত মনে হলো। ইনিয়ে বিনিয়ে অনেক কিছুই বলে দিচ্ছে গল্পকার (কবি+গল্পকার)। তবে না শুনার ভাব ধরাটা তেমন সুবিধার হবে বলে মনে হচ্ছে না। অনেকে কেবল পেছন থেকে ডাকার পর না শুনলে সামনে এসে দাঁড়ায়।
নাম ভূমিকায় অভিনয় করবে তা না’হয় ঠিক আছে। তবে গল্পকারের মতিগত সুবিধের মনে হচ্ছে। এই তল্লাটের বাসিন্দারা খুব খারাপ।
ঘেঁসে ঘেঁসে, ঘঁসে ঘঁসে, ধীর ধীর পায়ে অধীর হয়ে যেখানেই যাওয়া হয় না এলইডি লাইট কিন্তু আবিষ্কৃত হয়েছে। খুঁজে বের করা হবে না খোঁজার ভান করেই।
ছাইরাছ হেলাল
লুকিয়ে চুড়িয়েও দেখছি কাম-কাইজ করার জো নেই দেখছি।
এ তল্লাটে গপ্পো লিখিয়েদের বাজার ও মন্দা!! কলি কালের ছোঁয়া এখানেই
ছুঁয়ে আছে দেখছি।
মায়াবতী
কাঠখোট্টা কবি কাঠগোলাপের সাথে মিশিয়ে মিশিয়ে কি সব গল্প কল্প শুনিয়ে যাচ্ছে ভান করে ভানিয়ে ভানিয়ে!!! ফেটে পরা বাড়ন্ত প্রানোন্মাদনা চেপে রেখে বুঝি গল্পকার হবার ফন্দি আঁটা হচ্ছে! ;?
ছাইরাছ হেলাল
ফন্দি আর আঁটতে পারলাম কৈ!! আপনারা কত কিচ্ছু কত সুন্দর করে লেখেন,
তাই ভাবলাম আপনাদের নকল-ফকল করে যদি কিছু-মিছু গপ্পো-টপ্পো লিখতে পারি,
সে গুড়েও কাঁদা ছুঁড়ে দিলেন। আপনাদের হৃদয়ে আস্ত-মস্ত পাথুরে পাহাড়!!
মায়াবতী
😀 😀 😀
ছাইরাছ হেলাল
বাহ বাহ, চৌষট্টি দাঁত দেখিয়ে দিলেন!
মোঃ মজিবর রহমান
পথ, নাম ভুলিকায় যতই কঠিন থেকে কথিন হোক না কেন যে পণ ধরেছেন তা উত্রিয়ে যাবেন নিশ্চিত … এই পণ শুকনো হয়ে না, যাবেই যাবেই যাবে পার হয়ে। যতই আসুক অযুত নিয্যত পার হবেও হবেই এক সময়।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার সহসে বুকে বল পেলাম ভাই,
আপনি যে কৈ থাকেন!!
জিসান শা ইকরাম
এত মনকারা শিরোনাম পাচ্ছেন কৈ?
শিরোনামহীনতায় ভুগছি আমি।
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাপার না, খরা কেটে যাবে অচিরেই।