
পাট শাক—
মজাদার এবং সুস্বাদু একটি খাবার। আমাদের কাছে পাটশাক খেতে যেমনই সুস্বাদু লাগে তেমনই এটা অতি সহজলভ্যও বটে। সাধারণত পাটশাক বেশি তেলে রসুন কুচি আর কাচামরিচ দিয়ে একটু মচমচে করে ভেজে নিয়ে গরম ভাতের সাথে খাওয়া হয়। এটি খেতেই শুধু সুস্বাদু নয় পাটের পাতায় রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। পাট শাকে প্রচুর পরিমাণ আয়রন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন সি, ই, কে, বি- ৬ এবং নিয়াসিন রয়েছে। পাট শাকে আমিষ থাকে ৩.৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৯৮ মিলিগ্রাম, লোহা ১১ মিলিগ্রাম ও ক্যারোটিন ৬৪০০ (আইইউ)।
প্রতি ১০০ গ্রাম পাটশাকে ক্যালরি থাকে ৭৩।
তাছাড়া পাট শাকে রয়েছে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যারোটিন এবং খাদ্যআঁশ। এসব পুষ্টি উপাদান রোগবালাই থেকে আমাদেরকে দূরে রাখে।
পাট শাকের উপকারিতা:-
১) হাড়ের বৃদ্ধি সাধন করে –
পাটশাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে যা হাড় ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। তাছাড়া এতে থাকা আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান হাড় গঠন ও ক্ষয়পূরণ করে এবং হাড়ভঙ্গুরতা রোধ করে।
২) হজম শক্তি বড়ায় –
পাটশাকে থাকা খাদ্যআঁশ হজম প্রক্রিয়াকে দারুণভাবে ত্বরান্বিত করে আমাদের হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৩) উচ্চ রক্তচাপ দূর করে –
পাটশাকে বিদ্যমান উচ্চ মাত্রার পটাশিয়াম রক্তসঞ্চালন ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। ফলে উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা দূর হয়। এছাড়া পাটশাক রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। নিয়মিত খেলে হার্ট অ্যাটাক এবং ষ্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।
৪) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় –
পাট শাকের ভিটামিন এ, ই এবং সি শরীরের রোগ পতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ভিটামিন সি ও ক্যারোটিন মুখের ঘা দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়া ভিটামিন-সি রক্তের শ্বেত কনিকা বৃদ্ধি করে এবং ভিটামিন-এ, ভিটামিন ই চোখ, হৃদপিণ্ডসহ অন্যান্য অঙ্গের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫) আয়রণের ভাল উৎস –
পাটশাকে প্রচুর পরিমান আয়রন থাকে যা রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে সহায়তা করে। পাটশাকে থাকা আয়রন দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা এবং কর্মদক্ষতাও বৃদ্ধি করে।
১৫টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভীন
বাহ্ আমার এতো পছন্দের খাবার তো দেখছি
পুষ্টি গুণে ঠাসা। এতো কিছু জানতাম আপু
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
মুক্তা মৃণালিনী
ধন্যবাদ আপু
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনার পাটশাক নিয়ে এতো তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট খুব উপকারী পোস্ট সবার জন্য। খুব ভালো হয়েছে আপু । ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভ রাত্রি
মুক্তা মৃণালিনী
অনেক ধন্যবাদ দিদি
ফয়জুল মহী
অনন্য প্রকাশ।
মুক্তা মৃণালিনী
ধন্যবাদ ভাইয়া
সাবিনা ইয়াসমিন
আমার অনেক পছন্দের শাক এটা। ছোটবেলা থেকে এইবেলায় এসেও আমি এই শাকটাকেই ভালোবেসে খাই 🙂
ভালো পোস্ট দিয়েছো,
রোজ রোজ লেখো না কেন?
মুক্তা মৃণালিনী
পাট শাক আমারও ভিষণ পছন্দের একটি খাবার। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
নীরা সাদীয়া
খপাটশাক খেতাম ঠিকি, কিন্তু এতকিছু জানা ছিলো না। জেনে ভালো লাগলো।
মুক্তা মৃণালিনী
অনেক ধন্যবাদ আপু
মুক্তা মৃণালিনী
ধন্যবাদ আপু। ভাল থাকবেন।
হালিম নজরুল
মাংস-পোলাও বাদ দিয়ে এখন থেকে পাটশাক খাব।
মুক্তা মৃণালিনী
হাহা। আসলেই পাট শাক মাংস- পোলাওর চেয়েও অনেক মজা। অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আরজু মুক্তা
কিন্তু ব্যথা বাড়ায়। ডাক্তারের নিষেধ খাওয়া
মুক্তা মৃণালিনী
আহারে। শরীর সুস্থ হলে খাবেন। আপনার সুস্থতা কামনা করছি আপু। ভাল থাকবেন।