গণতান্ত্রিক সরকার ব্যাবস্থায় রাজনৈতিক নেতাবৃন্দই যদি গণতান্ত্রিক নিয়ম বহির্ভূত আইন-কানুনে অভ্যস্ত হয় তাহলে জনসাধারণ কোন আদর্শিকের আইন-কানুনের দ্বারা অভ্যস্ত হবে।

যারা স্থপতি হবেন,  তারাই যদি সেই স্থাপনার নীতি আদর্শ না মানেন তবে জনতা কাকে আইকন বা ঐ স্থাপনার আদর্শিক মানবেন।

রাজনৈতিক মূল্যবোধ যদি গণতান্ত্রিক হয় তবে ঐ রাষ্ট্র এবং সমাজ গণতান্ত্রিক সমাজ বা রাষ্ট্রে পরিণত হবে তখনই যখন গণতন্ত্র ের প্রঠিস্থাতারা তাঁদেরই আদর্শে সচল বা স্তম্প হয়ে থাকবেন।
● নাগরিকের জীবন রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ হলো গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ।
● গণতন্ত্র হলো জনগণের শাসন।
● গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারণা হলো জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নারী, পুরুষের নির্বিশেষে প্রত্যেকের জন্য সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ব্যক্তিগত ও অর্থনৈতিক সাম্যের প্রতি সম্মান ও কা কার্যকর করতে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
● গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের দৃষ্টিতে রাষ্ট্র হলো জনগণের।
● গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে গহণ করার ইচ্ছা ও সামর্থ্য জনগণের থাকা প্রয়োজন।
● ব্যক্তিগত অধিকার সংরক্ষণের জন্য জনগণকে সদা সতর্ক থাকতে হবে।
● গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা দ্বারা দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।
● গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নাগরিকের মর্যাদাকে বৃদ্ধি করে।
● মূল্যবোধ হলো সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তি।
● সুশাসন হলো জনগণের অংশগ্রহণ, অাইনের শাসন, স্বচ্ছতা, জনমত, সমতা, দক্ষতা, দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছ ও অবাধ তথ্যপ্রবাহ।

যে গণতন্ত্রে মানুষের বিভাজন হয় সেখানে মানুষের স্বাধীনতা বজায় থাকেনা, ব্যাক্তিশ্রেনীর বা সংখ্যাগুরু প্রভাবে লঘুদের জীবন অত্যাচারে বা নির্যাতনে বিফল হয় সেই গণতন্ত্র কাম্য নয়।

সর্বোপরি, মনের ইচ্ছা যে,  যে বা যাহারা নীতি আদর্শ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অগ্রহনী ভুমিকা রাখবেন তারাই যদি ঐ নীতি আদর্শ পায়ে মাড়ান, সেখান থেকে যাইহোক কোন সুফল আসার সম্ভাবনা থাকার কথা নয়। যারা গণতান্ত্রিক মুল্যবোধে বিশ্বাসী তারাই আবার বিনাশকারী হন তবে সেখানে গণতন্ত্র মুল্যহীন।

 

0 Shares

৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ