
গোপালগঞ্জের শেখ বংশ একসময় বিরাট সম্পদের মালিক ছিল। শেখদের নৌকার বহর ছিল। সেসব নৌকা মাল নিয়ে যেতো কলকাতা। তাদের ছিল বিরাট ব্যবসা। মোগল আমলের ছোট ছোট ইটের তৈরি চকমিলান দালানগুলো বাড়ির শ্রী বৃদ্ধি করে রাখত। বাড়ির চার ভিটায় চারটি দালান ও বাড়ির ভেতরে প্রবেশের জন্য একটি মাত্র দরজা। টুঙ্গিপাড়ার সেই শেখ পরিবারেই ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ জন্ম গ্রহণ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
শেখ লুৎফর রহমান ও শেখ সায়েবরা খাতুনের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ লুৎফর রহমান তাঁর বড় চাচা আব্দুল মজিদের ছোট মেয়ে সায়েবরা খাতুনকে বিয়ে করেছিলেন। শেখ মুজিবের দাদা ও নানার ঘর ছিল পাশাপাশি। শিশুকালে বাবার কাছেই তাঁর লেখাপড়ার হাতেখড়ি। বাবার কাছেই ঘুমাতেন। তাঁর গলা ধরে না ঘুমালে ঘুম আসত না। শেখ মুজিব ছিলেন বংশের বড় এবং প্রথম সন্তান তাই তিনিই সমস্ত আদর পেতেন। তাঁর ‘শেখ মুজিবুর রহমান’ নামটি নানা শেখ আবদুল মজিদই রাখেন।
শেখ মুজিবুর রহমান তখন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র।
তিনি খেলাধুলা করতেন, গান গাইতেন এবং ভালো ব্রতচারী করতেন। হঠাৎ (১৯৩৪ সালে) বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর হার্ট দূর্বল হয়ে পড়ে। বাবা শেখ লুৎফর রহমানের সাথে কলকাতায় যান চিকিৎসা করাতে। কলকাতায় বড় বড় ডাক্তার শিবপদ ভট্টাচার্য, এ কে রায় চৌধুরীসহ আরও অনেককেই দেখান এবং চিকিৎসা চলতে থাকে। এভাবে প্রায় দুই বছর চলতে থাকে।
৫টি মন্তব্য
জাহাঙ্গীর আলম অপূর্ব
জাতির জনকের অনন্য জীবন
তার জনম ইতিহাস পড়ে মুগ্ধ হলাম
শুভকামনা রইল সতত
কামাল উদ্দিন
অথচ কিছু লোক রটনা করে শেখ মুজিবের বাবা ছিলেন হিন্দু, তাই হিন্দুদের প্রতি ওনাদের টান বেশী। এই গাজাখুরি গল্পগুলো বিশ্বাস করার লোকও কিন্তু কম নাই…….এগিয়ে যান সাথেই আছি।
তৌহিদ
লেখায় তথ্যসূত্র উল্লেখ করুন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকার যে কুইজের আয়োজন করেছে সেখানেই হুবহু এরকমভাবে আছে।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা একই হতেই পারে, তাই সূত্র উল্লেখ করে নিজের অবস্থান পরিস্কার করাই উত্তম ভাই।
ভালো থাকুন।
আরজু মুক্তা
জেনে ভালো লাগলো
মনির হোসেন মমি
লেখা চলুক।