১৮০ কিলোমিটার বেগে আমার দিকে ছুটে আসছিলো ফয়সাল। লুসিবিউটি পার্লারের অতটুকু রাস্তা ওর জন্য নস্যি। সজোরে আমার পাজর এফোঁড়ওফোঁড় করে চলে গেলো রেডিসনের দিকে। বৃদ্ধ শকুনের মত ওর গা থকে ঝড়ে পরছে পুঁজিবাদ বিরুদ্ধ বয়ানের পূর্ণবয়ান। ও এখন রঙচঙে পিৎজ্জা বিজ্ঞাপন বানায়। গোলপাহাড়ের মোড় পেরুতেই এক কমরেড বান্ধবি আমায় উঁচিয়ে ধরলো লাক্সের বিজ্ঞাপনের সুবিশাল বিলবোর্ডে সামনে। আসমানের দিকে পদযুগল তুলে টিকটিকির মত দেখে নিলাম কারিনার স্কীন টোন। “নারী পণ্যকরন” বুঝলি তো বিষয়টা ? আলাপ দিচ্ছিলো ও আমি হাঁটছিলাম ওর স্কীন টোনের ভাটি পথে। টিক যেন রোদে পুড়ে তামাটে। একবার ইয়েলো ওকার ডেলে দিয়েছিলাম ওর মৌখিক অবয়বের ক্যানভাসে। কিছু দিন আগে কমরেড বিয়ে করলেন। আমি ওর বিয়ের ছবিতে সেই নারী পণ্যকরনের শেডহীন নিজেকে ফর্সা করে তোলার বিদেশী পণ্যের থিকনেস মাপলাম বোধের স্কেলে। একটু নোনা জল পড়ে ওর মুখে আষাঢ় মাসের কাদাকাদা রাস্তা নির্মান হলো। সে রাস্তায় হেঁটে বোধ ছেড়ে ফেলে জীবনের দিকে হাঁটা যাক।
৪টি মন্তব্য
শামীম চৌধুরী
পণ্যের প্রসার ঘটে চটকদার বিজ্ঞাপনে।
দারুন লেখা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
পণ্যের প্রসারে বিজ্ঞাপনের প্রয়োজন অস্বীকার করার উপায় নেই। চমৎকার লিখেছেন কবি। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
ফয়জুল মহী
নান্দনিক লেখনী । ।
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ ভাবনাময়