অথচ বুকের নিভৃত গহীনে ভাঙাচোরা আরও এক রাস্তা ডাকে,
ডেকে যায় অশরীরী হয়ে, নিঃশব্দের শব্দে, অউপেক্ষণীয়তায় ক্রমাগত,
সাড়া দিতে মন চায়, পারি না, পারবো-ও না!

অরণ্যের গভীরতায় হেঁটে যেতে যেতে
সবুজে সবুজ হয়েছি, ম্যারাথন বা স্প্রিন্টারদের এড়িয়ে,
রক্তঝরা ফোস্কা ফেলা পায়ে;

চোরাবালির চোরাস্রোতেও পেয়েছি পথের দিশা,
উদ্ধত উন্মত্ত ঝড়ের কবলেও পথ আমাকে ফেলে যায়নি;
সন্ধ্যার মিঠে অনুজ্জ্বল আলো-ফেলে পথের সাথে হেঁটেছি কত পথ,
বারান্দায়/সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খুনসুটির ছলে
সপ্তর্ষিমণ্ডল, স্বাতি, অরুন্ধতি, আদমসুরত ও কালপুরুষ দেখতে দেখতে
শরীরী-প্রাণের উন্মাদনায় নিষিদ্ধ ফল খেয়েছি বারে বারে, অনুতাপ করিনি;

আরও একটি কানা-গলির চোরা-ডাক শুনতে পাই, যাই-ও,
থাকি-না, পরকীয়ার নিষিদ্ধ আনন্দের ডাক শুনতে পাই,
একেবারে মন্দ লাগে তা কিন্তু বলছি না।

অনেক চেনাজানা মুখের অনন্ত-আকাশ আর খুঁজে পাইনা,
আজকের মসৃণ রাস্তা থেকে দূরে সরে দূরে এসে থিতু হয়েছি!
তারাদের কৃষ্ণপক্ষে!

আমার ধুলো-মাখা সোনা-উঠোন রাস্তার ওপাশে এখনও ফাঁকা!
ভাতঘুমে লুম্পেন-বাতাস হামাগুড়ি দিয়ে ডাকে, না।

0 Shares

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ