অথচ বুকের নিভৃত গহীনে ভাঙাচোরা আরও এক রাস্তা ডাকে,
ডেকে যায় অশরীরী হয়ে, নিঃশব্দের শব্দে, অউপেক্ষণীয়তায় ক্রমাগত,
সাড়া দিতে মন চায়, পারি না, পারবো-ও না!
অরণ্যের গভীরতায় হেঁটে যেতে যেতে
সবুজে সবুজ হয়েছি, ম্যারাথন বা স্প্রিন্টারদের এড়িয়ে,
রক্তঝরা ফোস্কা ফেলা পায়ে;
চোরাবালির চোরাস্রোতেও পেয়েছি পথের দিশা,
উদ্ধত উন্মত্ত ঝড়ের কবলেও পথ আমাকে ফেলে যায়নি;
সন্ধ্যার মিঠে অনুজ্জ্বল আলো-ফেলে পথের সাথে হেঁটেছি কত পথ,
বারান্দায়/সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খুনসুটির ছলে
সপ্তর্ষিমণ্ডল, স্বাতি, অরুন্ধতি, আদমসুরত ও কালপুরুষ দেখতে দেখতে
শরীরী-প্রাণের উন্মাদনায় নিষিদ্ধ ফল খেয়েছি বারে বারে, অনুতাপ করিনি;
আরও একটি কানা-গলির চোরা-ডাক শুনতে পাই, যাই-ও,
থাকি-না, পরকীয়ার নিষিদ্ধ আনন্দের ডাক শুনতে পাই,
একেবারে মন্দ লাগে তা কিন্তু বলছি না।
অনেক চেনাজানা মুখের অনন্ত-আকাশ আর খুঁজে পাইনা,
আজকের মসৃণ রাস্তা থেকে দূরে সরে দূরে এসে থিতু হয়েছি!
তারাদের কৃষ্ণপক্ষে!
আমার ধুলো-মাখা সোনা-উঠোন রাস্তার ওপাশে এখনও ফাঁকা!
ভাতঘুমে লুম্পেন-বাতাস হামাগুড়ি দিয়ে ডাকে, না।
১৮টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
এটাই আপনি, এটাই আপনার লেখা।
পথের সাথে পথের ডাক, উপেক্ষা, ইচ্ছে অনিচ্ছে, নিজের নিষিদ্ধ আকর্ষন, কোনকিছুই বোধহয় বাদ যায়নি।
পথের সাথে আপনার বন্ধুত্ব এমন হলে, রাস্তা ফাঁকা হলেই বা কি!
ঈর্ষা হচ্ছেই। কতকিছু ভাবি, কিন্তু এভাবে গুছিয়ে লেখাই হয়ে উঠবেনা কখনো হয়তো। হামাগুড়ি দিয়ে ডাকে, এরপর কমার পর না। বিরামের কারনেই লাইনটা অসাধারণ লাগলো।
আসতেছি আবার। পেরে উঠছিনা সব ব্যালেন্স করে। লেখাও আসেনা কিছু। 🙁 লেখকের নাম পালটে চালিয়ে দেব নাকি?
ছাইরাছ হেলাল
এটা আমি খুবই সহি কথা, কিন্তু ঘটনা হইল আপনি রাস্তার পরে অংশটুকু
ষড়যন্ত্রমূলক লুকিয়ে রাখবেন জাতি তা মানবেক নাই, তাই হ্যাকাইলাম!!
সব কিছু ব্যালান্স আপনিই করবেন, ভালভাবেই তা পারবেন, পারতে যে হবেই;
অপেক্ষা করতেই আছি, লেখা আসা না আসা ব্যাপার না, আমরা তো আমরাই;
আমি ও তো আপনার নাম পাল্টেই চালাচ্ছি, আপনি চালালে আর এমুন কী!!
সোনেলার সেরা সোনা-জহুরী আপনি, আপনাকেই বলছি ভাইয়া, যার চৌক্ষুতে শকুন (ভালু) ফেল;
হ্যা, ঐ সামান্য বিরাম চিহ্নটিতেও একটি কল্পনার কিরণ-বুদবুদ লুকিয়ে আছে!
এবারে আমরা একটু বুদবুদটি কল্পনা করি,
এ নয় কোন বিরাম চিহ্ন,
বিরামের চিহ্ন,
হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়া
হঠাৎ ফির দেখা
ফিরে ফিরে চাওয়া
সংকল্পের চিত্ত-স্থিরতা;
গালে হাত দিয়ে মুচকি হাসা…………………
মোঃ মজিবর রহমান
অনেক কিছুই সমাজের তুলে ধরলেন। ইচ্ছা অনিচ্ছা খুবই বক্তি ব্যাপার।
কত শত শব্ব আপনাদের খেলার পাত্র।
ছাইরাছ হেলাল
এ এমন কিছু না,
সামান্য এলো চিন্তা।
অনেক ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
আপনার লেখা এত সহজ? নাকি এই লেখাটি অন্তরের গহীনে অবস্থান নিয়েছে বুঝলাম না,
অদ্ভুত ভাললাগায় মন পুর্ন হলো।
ছাইরাছ হেলাল
নিজের অন্তর-ফন্তর বুড়িগঙ্গার পানিতে চুবাচুবি করে,
তয় অন্যেরডা ফকফকা দেখতে পারি;
তাই একটু লেইখ্যা দেলাম।
ভালোলাগারই কথা।
মৌনতা রিতু
অনুজ্জল সে আলোকে উপেক্ষা করে আনমনে হেঁটে যেতে পারি দিগন্ত পর্যন্ত।
জানি তো এ রাস্তা আমার বুকের গভীরের সেই প্রশস্ত মসৃণ রাস্তা।
দূর থেকে সে আহ্বান, কবে আসবে, আদৌ সে যাওয়া হবে না যেনেও বলে যাওয়া আসবে তো?
চোরাবালিতে পড়ে যাবার ভয়ে সমস্ত ভালবাসাকে উপেক্ষা করে কেটে যায় দিন রাত। রাত দিন।
রাস্তার এপারে আমার এক ছোটো নীড়। এখানে নাড়ির বন্ধন, ভালবাসা, প্রচন্ড শ্রদ্ধাবোধ ও ছোটো খন্ডযুদ্ধের এক সুখের নীড়। এই তো এপারে বেশ থাকা।
ছাইরাছ হেলাল
আনমনে হেঁটে যাই বুকের গভীরে রাখা সেই মসৃণ প্রশস্ত রাস্তা ধরে
দিগন্তের শেষ আলো-রেখায়, উপেক্ষা করি চোরাবালির জানা-অজানা ডাক।
ছোট্ট নীড়ে ভালোবাসার অটুট বন্ধনে।
মৌনতা রিতু
জী গুরুজী।
ছাইরাছ হেলাল
রিতুজী!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার কবিতায় কলম চালানো খুবই কঠিন।
আপনি বলবেন টাইপিং-এর কথা। তাহলে বলবো আঙ্গুল দিয়ে টাইপ কিংবা লেখা দুটোই অনেক ভেবেচিন্তে করতে হয়।
ভাবনার কৌটা শূন্য।
আপনি রাস্তার ওপাশে থিতু হয়েছেন, আর আমার রাস্তায় এতো ভীড় যে থিতু হবার সুযোগই নেই। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আপনি কঠিন কাজটিই বরাবর মাখনে ছুরি চালানোর মত করেই করেছেন!!
অতএব ব্যাপার না, ব্লগের কবিগুরু!!
যাক, অতঃপর কৌটা আছে তাতো জানলাম!
সবার রাস্তায় ভীড় হয় না, ভীড় করেও না, কিছু ভীড় এইইই দিকে দিয়েন!!
থিতু হলে আওয়াজ দিয়েন, প্লিজ!
লেখার অপেক্ষায় থাকি।
নীলাঞ্জনা নীলা
এই তো আবার কঠিন মন্তব্য।
লেখার অপেক্ষায় কিভাবে থাকেন জানলে ভালো হতো। 😀
ছাইরাছ হেলাল
ইতি দ্রুতই অপেক্ষা-বিবরণ জানিতে পারিবেন!!
তৈরি থাকবেন কবিগুরু!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিগুরু বলে খোঁচা/খোটা মারিবেন না।
অপেক্ষা করিতে লইলাম। বইস্যা থাকমু নাকি খাড়াইয়া? কন; \|/ 😀
ছাইরাছ হেলাল
কে যে কাকে/কখন/কিভাবে খোঁচায় কে জানে!!
আমি কিছু জানি না,
শুয়ে/বসে আরাম করুন!!
তৌহিদ ইসলাম
আপনার কবিতায় কমেন্ট করার সাহস আমার নেই। আমি ক্ষুদ্র মানুষ। শুভকামনা ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
এইটা কোন কথা হলো!!
এ কোন কবিতা না।
আপনাকেও শুভকামনা।