অর্পিতা : ৮

সঞ্জয় কুমার ২৭ জুন ২০১৪, শুক্রবার, ১১:১৪:১৬পূর্বাহ্ন গল্প ১৯ মন্তব্য


সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল বাবা পাত্র পক্ষ কে বললেন

আর একটু খোঁজ খবর নিলে ভালো হত না?

কি যে বলেন আপনি হলেন রাতুল বাবুর বাবা । আপনাদের মত এমন বংশের মেয়ে পাওয়া তো সৌভাগ্যের ব্যাপার ।

বাবা বললেন
রাজু ওদের চলে যেতে বল , ওরা আমার নয় ঐ কুলাঙ্গারটার পরিচয়ে এখানে এসেছে ।

এরপর থেকে আমারও মন ভেঙ্গে গেছে । হয়ত জীবনে আর বিয়ে করা হয়ে উঠবে না । ছোট ভাইটাকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করতে পারলে আমার দায়িত্ব শেষ । শেষ বয়সে একটা বৃদ্ধাশ্রম করার প্লান আছে ।

আচ্ছা আপনি না বলছিলেন দাদা আপনাকে টাকা পাঠিয়েছিল?

হ্যাঁ মায়ের অসুস্থ হওয়ার সংবাদ আমি দাদাকে বলিনি । কিন্তু রাজুতো ছোট মানুষ ও বলে দিয়েছে । দাদা টাকা দিয়েছে জানলে বাবা খুব রাগ করবে তাই তেমন কাউকে জানাই নি ।

কিছু মনে না করলে একটা ব্যাক্তিগত প্রশ্ন করি

করুন

আপনাদের সংসারে এখন কে উপার্জন করে?

বাবা সরকারী চাকুরি করতেন এককালীন কিছু টাকা একসাথে পেয়েছিলেন ওটা থেকে কিছু দিয়ে আমি একটা সেলাই মেশিন কিনি । দাদা এপারেলস নিয়ে পড়াশুনা করতেন সেই সুত্রে কিছু মানুষের সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল । ওটা দিয়েই অল্পবিস্তর আয় রোজগার হয় । বাবা সারাজীবন কলেজে ছাত্র পড়িয়েছেন এখনও পড়াচ্ছেন । এভাবেই চলছে আমাদের সংসার ।

এখন উঠি অনেক সময় হয়ে গেছে মাকে ঔষধ খাওয়াতে হবে ।

আপনি কি চলে যাচ্ছেন ?

হ্যাঁ

আচ্ছা ঠিক আছে সাবধানে যাবেন ।

কফিশপ থেকে বেরিয়ে একটা রিক্সা নিলাম । গায়ে হাঁটার মত শক্তি অবশিষ্ট নেই ।

হোষ্টেলে এসেই বিছানায় শুয়ে পড়লাম ।

মিলন বলল
কিরে শরীর খারাপ নাকি ব্রেক আপ হয়ে গেছে ।

বাদ দে কোন কিছু ভাল লাগছে না আমাকে একটু একা থাকতে দে ।

চলবে....................

0 Shares

১৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ