ঘড়িহীন ভালোবাসার ছায়া-মায়া নীড়ে শূন্য থেকে পূর্ণের শহরে
বোঁচকাবুঁচকিহীন নগ্নতায় অপেক্ষার আরশি নগর হাজার বছরে।
ঘূর্ণির আলোকিত বিকেলে বরফ ঝর্ণার দীর্ঘ পথ হাঁটতে চাই না,
ভাঙ্গা পায়ের ব্যথা-ফোলা পা নিয়ে জনারণ্যের আঁকে বাঁকে;
খুউব ভয় করে, উঁচুর প্রাচীরে দাঁড়িয়ে থাকে সময় রণ পায়ে
লুকোচুরি সময় আমাকে ছায়া দেয়, বাঁচিয়ে রাখে হাজারের
হাজার বছর আলেয়ার মন্থনে।
ইচ্ছে নদীর গর্জন শুনতে পাই, আমাকে ভিজিয়ে নিজেও ভেজে,
অ বেলায় অদৃশ্য ভয়ে, সময়কে চেনা চেনা লাগে এখন খুব, অতি আপন।
সহস্র অবগুণ্ঠনে ও আমাকে ছোঁবে না, আমিও না তোমাকে;
বিস্ময়ের করতলে শান্তি জল ঢেলে শান্তি চাই,
কুণ্ঠিত সময়ের চিবুকে বেশুমার চন্দন ঘামের হাতছানি।
৮৯টি মন্তব্য
নীতেশ বড়ুয়া
মোতেও ঠিক হয়নি এমন কবিতা লেখা (-3
এতো সুন্দর সুন্দর সব উপমার মিশ্রন অথচ কেন সেইসব উপমার ব্যবহার তা বুঝতে গিয়ে ‘সোলার সিস্টেমে গ্রহের ঘুর্ণনের মতো’ আমার মাথা এখনো ঘুরান্টিস 🙁
ছাইরাছ হেলাল
ঘুরান্টিসের কিছু নেই। শুধু ভাব ব্যক্ত করার অসফল প্রচেষ্টা।
থিক না হওয়ার কী আছে, যাহা বাহান্ন তাহাই তেপান্ন।
নীতেশ বড়ুয়া
ঘুরান্টিস এই জন্যেই যে ভাবগত তাতপর্য অনুধাবনের সুরাহা করতে পারছি না 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
পুনশ্চঃ
ঘড়িহীন ভালোবাসার নীল-মায়া নীড়ে শূন্য থেকে পূর্ণের লীলার শহরে
শব্দবিহীন অক্ষরমনের পদচারণায় অপেক্ষার আরশি নগর হাজার বছরে।
ঘূর্ণির ভাবালুতা মাহেন্দ্রক্ষণে কলম ঝর্ণার দীর্ঘ পথ হাঁটতে চাই না,
ভাঙ্গা পাঁজরের ব্যথা-ফোলা হাত নিয়ে জনারণ্যের আঁকে বাঁকে;
খুউব ইচ্ছে করে, উঁচুর প্রাচীরে হামাগুড়িতে থাকে সময় রণ পায়ে
লুকোচুরি সময় আমাকে কায়া দেয়, মাড়িয়ে রাখে হাজারের
হাজার বছর কায়ার মন্থনে।
ইচ্ছে স্রোতের গর্জন শুনতে পাই, আমাকে ডুবিয়ে নিজেও ডোবে,
চন্দ্র বেলায় সাদৃশ্যের ভয়ে, সময়কে চেনা অ চেনা লাগে এখন খুব, অতি স্বপন।
সহস্র অন্তর্জালগুন্ঠনে ও আমাকে ছোঁবে না, আমিও না আমাকে;
প্রশ্রয়ের করতলে শান্তি জল ঢেলে উষ্ণতা চাই,
লুণ্ঠিত সময়ের কপোলে বেশুমার নন্দন ঘামের পদধ্বনি।
ছাইরাছ হেলাল
এ মন্তব্যের উত্তর দিতে অক্ষম, শুধুই ঘুরান্টিস।
নীতেশ বড়ুয়া
আমারো ঘুরান্টিস আর ঘুরান্টিস। তবে আপনার লেখাই এই বুঝে পেলাম, তাই বলে দিলাম ঘুরান্টিসের সাথে ঘুরান্টিস নিতে নিতে 🙁
আবু খায়ের আনিছ
কি প্যাচ মারলেন, দুই জায়গায় দুই ভাবে একই লেখার ভিন্ন রুপ।
নীতেশ বড়ুয়া
আমার মাথা ঘুরান্টিস দিসে তাই ঘুরান্টিসে কি লিখসি জানি না :p
আবু খায়ের আনিছ
🙂 😀 😀
নীতেশ বড়ুয়া
:p
ব্লগার সজীব
লেখা পড়ে কেন জানি ভয় পেলাম, বাপরে!
ছাইরাছ হেলাল
কোন ভয়ের কিছু নেই, সময়ের জাঁতা কল থেকে কারো রক্ষা নেই।
ডরাইলে ডর, না ডরাইলেও ডর। ডরাডরি চলিপে।
লীলাবতী
এই কবিতা পড়ে আবার মাথা এলো মেলো।কেন যে কবিতা একবারে বুঝি না 🙁
ছাইরাছ হেলাল
সত্যি বলছি, ঈমানে। আমিও খুব এলোমেলো।
কিচ্ছু বুঝিনি, লৌড়ালৌড়ি ই সার হলো।
নাসির সারওয়ার
যাহারা ভালোবাসায় সময় বেধে দিতে চায়, তাহাদের কথা না বোঝাই উত্তম।
অনেক ভালো লাগছে এই ভেবে, আমিযে এর কিছুই বুঝি নাই।
ছাইরাছ হেলাল
এত ভালুবাসা কোথায় যে পাই, বা কোথায় যে রাখি,
সেটাই একমাত্র ভাবনা।
নাই যদি বুঝে থাকেন, তাও ভালো,
বুঝতে গেলেই জ্বালার যন্ত্রণা,
আসল ঘটনা হলো, লেখক নিজে কিছু বোঝে কিনা সে বিষয়ে ঘোর সন্দেহ আমার ও আছে।
স্বপ্ন
সময়ের হাতে নিজেকে শপে দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপন ই ঠিক বলেছেন,
হাওয়ার অনুকূলেই পাল খাটানো উত্তম।
অরুনি মায়া
ভালবাসা মানে সুন্দর একটি অনুভূতি | তা প্রতিটি মানুষেরই একান্তই নিজের | আর সে অনুভূতি যদি কোন কবি মনের হয়ে থাকে তবে তার প্রকাশ হয়ে ওঠে অনিন্দ্য সুন্দর | আমি শ্রদ্ধা করি অনুভূতির এমন বহিঃপ্রকাশ কে | প্রিয় কবির আরও একটি ভাল লেখা | এমন লেখার জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করা যায়,,,
-{@
ছাইরাছ হেলাল
দেরি করে হলেও আপনার এমন সুন্দর মন্তব্য পড়ে
ভালুবাসার নৌকায় উঠে পড়তে মুঞ্চায়, কিন্তু সব তো ফকফকা। কোথাও কেউ নাইক্কা।
উহ্, এটাই ভালো লেখা!!
হাওয়া দিচ্ছেন !! দিন,
বাঁচতে হলে হাওয়া খুব দরকারি বিষয়।
অরুনি মায়া
এ হাওয়া বিশুদ্ধ , এ হাওয়া অক্সিজেন সমৃদ্ধ, এ হাওয়া স্বাস্থ্য সম্মত | এ হাওয়ায় নৌকো দুলবেনা, এ হাওয়ায় নৌকো ডুববে না | আপনার কোন চিন্তা নেই | আপনি নিরাপদে থাকবেন,,
ছাইরাছ হেলাল
এই অভয় বানী নিয়ে আপনি আজকাল কোথায় থাকেন!!
আপনাকে তো খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না।
ঘটনা কী ভাই!!
আবু খায়ের আনিছ
কয়েকবার পড়েও যখন এর মর্ম উদ্দার করতে পারলাম না তখন ভাবলাম এ আমার কর্ম নয়।
ছাইরাছ হেলাল
এ নিতান্তই মর্মহীন ভাব ভাবনা, উদ্ধার না হওয়ার ই কথা।
প্রচেষ্টা জারি থাকুক।
আবু খায়ের আনিছ
🙂 🙂 🙂
শুন্য শুন্যালয়
ঘড়িহীন ভালোবাসা! বাহ্! সত্যিই মুগ্ধ হই আপনার শব্দ বানানোতে। সময় সময়। চোখ রাঙ্গাবে রণ পায়ে, ছায়াও দেবে, বাঁচিয়ে রাখবে। দীর্ঘ পথের আঁকাবাঁকা পথে হাঁটা সে আলেয়ার মন্থনে সম্ভব কি?
সময়কে চেনা চেনা লাগে, অতি আপন। অপেক্ষায় এমন হয় জানি। আপনি আবার কিসের অপেক্ষা করছেন? শীত তো এসে গেছে। আমার এখানে বসন্ত, কতো রং এর যে ফুল চারিদিকে। কাল বেলী ফুল আবিষ্কার করলাম সুগন্ধে। আরে এতো আমাদের বেলী ফুলের ঘ্রাণ। গাছ কোথায়? এরপর খুঁজতেই পেয়ে গেলাম অনেক গাছ।
কবিতায় কি করে যেন প্রাণ দিয়ে দেন আপনি। বেশ ভালো লাগে পড়তে, অবোধ্য হলেও।
ছাইরাছ হেলাল
ধুর, ছ্যাঁত করে শব্দ বানানো যায় নাকি, সবই নকলি মাল আসলের ভীড়ে চালিয়ে দিচ্ছি।
শীতসকালের উষ্ণ রোদের অনুপম হাতছানি, আলগোছে শীত কাপড়ের গরম ওম,
কুমারী মেঘের শীতল পরশ,
আপনি না এলে লেখায় শূন্যতায় ভেসে রয়, স্বজনের খোঁজে।
অজস্র প্রাণসমারোহে বেজে ওঠা সুর লহরি, রেশমি রুমালের স্নিগ্ধ ছোঁয়া।
না না, জটিল কোন মানসাঙ্ক নয়, যা আপনার অগম্য অবোধ্য, আমরা জানি,আপনিও,
এলেবেলে ভাব নিয়ে ছলবল করে আবার বলে বসবেন না যেন ‘গো টু হেল’, মনে রাখবেন আপনাকেও কিন্তু সাথেই যেতে হবে।
মন্তব্য যে লেখার সম্পুর্নতা তা আবার ও প্রমাণিত।
আবার মন্তব্যের উত্তরে পোস্ট লিখে ফেলাও ঠিক না!! তাও প্রমাণিত।
শুন্য শুন্যালয়
নিজেকে প্রশংসার ভাগটা কখনোই দিতে চাননা, এটা কিন্তু ঠিক না। আসল বলেও কিছু আছে নকলের ভীড়ে।
আপনার লেখাও শুন্যে ভে্সে থাকে অই সুরের মতই, ধরা ছোঁয়া না গেলেও মাথা আপনাআপনিই দুলে যায়, রাগ ভৈরবীর তালে। লেখা পড়ে ফেলি ভাইয়া, আসাতেই একটু দেরী।
নড়কে যাবো কোন দুঃখে? হেভেনে বিরাজ করছি। এখান থেকে নো নড়নচড়ন। 🙂
উপমাচর্চা কিন্তু ভালোই চলছে। প্রমাণ পেয়েছেন তো? তবে এবার রাজবাড়িটির দিকে হাঁটা দিন, নিন ওয়ান, টু, থ্রি…………………………
ছাইরাছ হেলাল
রাজবাটির মনোহর উনানের পোয়াতি উষ্ণতায় দিগ্বিদিক হারিয়ে
উলুঝুলু হয়ে উড়ছি কেবল, ভরসা শুধুই দাঁতের ধানী ডাক্তার।
দেখুন আপনার অমূল্য অনন্যসাধারণ নিটোল প্রশংসাটুকু ভাগাভাগি করার প্রশ্নই আসে না,
সে যে অমূল্য ধন।
ইস্, আপনি যে কৈ কৈ থাকেন আমাদের ফেলে।
নীলাঞ্জনা নীলা
আসলেই শুন্য আপু যে কোথায় থাকে! ভালোবাসা বুঝলো না মেয়েটা। 🙁
ও আপু কোথায় গো তুমি? -{@ (3
ছাইরাছ হেলাল
আমিও তো খুঁজি,
আপনিও!!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনি খোঁজেন কেন?
কারণ কি? ;?
ছাইরাছ হেলাল
আমার কারণ আর আপনার কারণ এক না।
হই হই।
নীলাঞ্জনা নীলা
সেটা তো জানি এক না। তাহলে কারণটা কি? :p ;?
ছাইরাছ হেলাল
আপনার কাছে বলা যাবে না।
ঠিক ও হবে না।
শুন্য শুন্যালয়
আমিও খুঁজতেছি। আপনারা কেউ পেলে জানিয়েন তো।
ছাইরাছ হেলাল
কী অবাক!! আপনার পোস্টে গেলাম খুঁজব বলে।
একেই বলে মনের টান, বোঝাতে পারলুম না।
ভাবলাম, আপনি আবার উনান খুঁজে পেলেন কিনা, দিন কালের যা অবস্থা।
শুন্য শুন্যালয়
আয়হায়, এতদিনে আমার ঠিকানা বুঝলেন না? মরতে আমার পোস্টে গেছেন ক্যান? আপনার পোস্টেই থাকবেন।
উনান খুঁজে পাইছি সেই কবে!! তাবাতাবা হইয়া গেলাম পুইড়া। দিনকালের কথা আর কইয়েন না, এখন ছাইও সামলায় রাখতে হবে যা বুঝতেছি।
লেখা কই জিরাফ?
ছাইরাছ হেলাল
ইস, আপনাকে নিয়ে যে কবে সুপার-ডুপার ভালুবাসার লেখা লিখব
কে জানে?
অর্ধেক লিখে বসে আছি, আপনার দেখা পেলাম এবার যদি
কিনারার কুল দেখতে পাই, আমাদের দিকে তো আপনার কোন খেয়াল ই নেই।
রাজবাড়ী দেখে শুনে রাখছেন তো।
শুন্য শুন্যালয়
রাজবাড়ি গেলেন আপনি, আর দেখে রাখবো আমি? মর জ্বালা, হাতে একটা পেল্লায় তরবারী ধরিয়ে দরজায় দাড়া করিয়ে দিয়ে উনি মগা নেচ্ছেন অন্দরে। সুপার-ডুপারের পরে তো কিছু বললেন না, হিট নাকি ফ্লপ হবে? আপনার যা বিশ্রি লেখা, ফ্লপই হবে মাস্ট।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি আমাদের প্রধানতম সিপাহসালার, আপনাতেই সঁপি এ প্রাণ!
পাহারা্র ভার তো যারতার কাছে দেয়া যায় না, বোঝেন ই তো ব্যাপারটা,
দেখুন হিট হলে কৃতিত্ব আমার ই,
ফ্লপ সবটুকুই আপনার, একান্তই আপনার দায়!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কবি ভাই ঘটনা কি?
শুনুন শুন্য আপু শুধু আমার কিন্তু। সরাসরি-ই বললাম। বলুন এবার যা কিছু বলার।
😀
ছাইরাছ হেলাল
আমার বারা ভাতে ছাই দিতে এলেন কেন, বুঝতে পারছি না, সে ব্যস্ত
আপনি পরে আসুন। তাছাড়া আপনার ভাব গতিক ভাল ঠেকছে না,
আমার ভাউ ঠিক সে টাইপ না, অহেতুক তাঁকে দিস্টাপ দিয়েন না।
নীলাঞ্জনা নীলা
বুঝলাম না আপনার বারা ভাতে ছাই দিতে আসা মানে কি? আমি তো শুন্য আপুকে আমার চোখ দিয়ে মনের আবেগ মিশিয়ে সাজাই। আপনি কি আমার মতোই!? ;?
ছাইরাছ হেলাল
আমি আপনার মত মানিক+ রতন নাকি!!
সে আমার অতি আপনজন, বহু কালের।
নীলাঞ্জনা নীলা
কেমন একটু শিরশিরিয়ে উঠলো মন। কেন জানিনা। না বুঝেও মন্তব্য করে যাই, আর সেটিকে গ্রহণও করেন। তবে আজ কবিতা নিয়ে অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে করছে। এতো আপন লাগছে আজকের এই লেখাটি আপনার। কেন বলুন তো?
নাহ বাপু রিস্ক নিয়ে কাজ নেই। শেষে কি থেকে কি বলবো। কবিতার সাথে মন্তব্যের দুস্তর ব্যবধান হয়ে গেলে এসে ক্ষ্যাপাবেন :p
ছাইরাছ হেলাল
কেন গো, শিরশিরানির কি হোল!!
আপনি গুরু মানুষ, না বুঝে বলার কী আছে!!
আপনি অতি আপন, তাই সব কিছুই ভালুবাসার চৌক্ষে দ্যাখেন, জানি তো!!
আমরা তো আমরাই, হাল্কা রিস্ক নিয়েই ফেলুন।
নাহ, মোটেই বেশি খ্যাপাবো না, অল্প খেপাবো মাত্র,
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম ভালুবাসার চৌক্ষে দ্যাখি বলেই তো চশমা সাথে সাথে রাখি। 😀 :D)
আর রিস্ক? সে তো নিয়েই নিঃশ্বাস নিচ্ছি গো কবি ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
চশমার পাউয়ার পরীক্ষা করিয়ে নিন দ্রুত।
নিঃশ্বাস নিলেই হবে না, প্রশ্বাসের ব্যাপার ও থাকতে হবে।
তা না হলে দম আঁটকে যাবে কিন্তু।
নীলাঞ্জনা নীলা
দেশে গিয়ে পরীক্ষা করাবো। আমার নানা চশমা কিনে দেবে বলেছে।
আর নিঃশ্বাস এখন বয়ষ্ক হচ্ছে, মেশিন আর কতো ঠিক থাকবে বলুন? 😀
ছাইরাছ হেলাল
ও সব বুঝি না, সাফ সুরৎ করে মেশিন চালু করুন।
চশমার ব্যাপার তো মিটেই গেল।
নীলাঞ্জনা নীলা
মেশিনে তেল লাগবে। কিন্তু তেলের যা দাম!
হুম চশমা দেয়ার জন্য আরেকজন আছেন, ওই বন্ধু বলেছে সাথে শাড়ীও পাবো।
ইস দেশে যে কবে যাবো তাঁতের শাড়ী+দুটি চশমা 😀 \|/
ছাইরাছ হেলাল
সে তেলের দাম যতই হোক এন্টিক মেশিন বলে কথা,
যে কোন মুল্য তা চালু করতেই হবে, মনে রাখবেন।
এত্তসব ব্যবস্থা পাকা এর ই মধ্যে।
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো কিছু জানেন আপনি! 😮
এন্টিক মেশিনের জন্য তেল চাই এমন বিজ্ঞাপন দিতে হবে।
হুম আর বলবেন না বন্ধুটি একটা ছাগল। তাই ওটাকে অনেক ভালোবাসি।
আপনার কবিতা পড়ার পর কয়েকটি লাইন এসেছিলো মনে, কিন্তু দেবো সেই সাহস নেই। বড়ো ডরাই। -:-
ছাইরাছ হেলাল
বাঁচতে হলে জানতে হয়, এই টাইপ অবস্থা আর কি!!
সে বিজ্ঞাপন দিন আর যা দিন, মেশিনের যত্ন নিন।
আপনি ছাগল পালক!! কিছুই আর বাদ দিলেন না।
সব লেখা না দেয়াই মঙ্গল, আপনার জন্য।
নীলাঞ্জনা নীলা
বাঁচবেন, ভালো করেই বাঁচবেন। আশীর্বাদ দিলাম ঈশ্বরের পাঠানো অবতার কিনা আমি। :p
আচ্ছা শুনুন আপনি তাহলে এই উপকারটুকু করুন বিজ্ঞাপনটা আপনি-ই দিন। মেশিনটা নষ্ট হয়ে গেলে তখন তো মরে যাবো।
হুম ছাগল-গরু-মহিষ-বাছুর এমনকি উকুন পালকও। কি আর বলবো ভাগ্য খারাপ তা নইলে জীবনে এমন সময় আসে?
তাহলে তো লেখা দিতেই হয়। আমি আমার মঙ্গলের জন্য যদি ভাবতাম তাহলে তো হয়েইছিলো। আজ দিলাম না, তবে দেবো। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আশির্বাদ মাথায় তুলে নিলাম।
তেল সরবরাহের দায়িত্ব ও নিলাম। আপনি যখন এমন করে বলছেন।
বেঁচে আপনাকে থাকতেই হবে।
আপনি দেখছি বিশ্ব পালক।
লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম পালন করি, ওই কোয়েলের ডিম পালন করে যেমন কাক। কি আর করি বলুন সময় মন্দা বানিয়েছি নিজেই, তবে খুব শিঘ্রী উড়বো সময়ের স্রোতে। ওই স্রোতে যে থাকার থাকবে, যে না থাকার ভাগো বাপু। কাজে ঢুকলাম এসে কাব্যকথা হবে।
ছাইরাছ হেলাল
পাখা গজালে ওড়ে সবাই, পিপীলিকা ও।
কাব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম ঠিক তাই। পিপীলিকা ওড়ে ঠিকই কিন্তু পাখা বেশীক্ষণ থাকেনা। কারণ পাখা তো তার কিছু সময়ের জন্য পাওয়া। যখনই উড়ে তখনই জীবন শেষ।
আচ্ছা তার মানে আমায় কি আপনি মেরে ফেললেন? ;? ;(
ছাইরাছ হেলাল
সে শক্তি সাহস আর কৈ পাই,
পিপীলিকা তো আমরা, আপনাদের সামনে।
বলেন কী? কে সে ? কোন সে দুর্মুখ?
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিভাই পিপীলিকাই পায়ের নীচে পড়ে। খেয়ালও করিনা কতোভাবে পায়ের নীচে চাপা পড়ে। আপনাকে কেউ পায়ের নীচে চাপা দেবে এখনও কেউ আসেনি পৃথিবীতে। আপনি হলেন সম্রাট সাইরাস আর সম্রাটদের অভ্যেস হলো একবার যা না করেন, তা আর হ্যা হয়না।
আমায় মারবে লোকের অভাব নাকি?
ছাইরাছ হেলাল
ভাল বা মন্দ অভ্যাস সবারই থাকে,
তবে fb ওয়ালারা স্পেশাল।
জিসান শা ইকরাম
ভালোবাসায় হাবুডুবু কবি হৃদয়
নাকি ডুবেই গিয়েছে হৃদয়?
ইচ্ছে নদীতে ঝাঁপ দেয়া যায় অবলীলায়
কে বাঁধিবে আমাদের?
ছাইরাছ হেলাল
লেখদের হৃদয় বলতে কিছু নেই, তবে হৃদয় নামক যে বস্তুটি আছে
তা একটু ডুবাডুবিতেই থাকে, বুঝতেই পারছেন ব্যাপার খানা,
নদী ঝাঁপ তো ভাল, সমুদ্র গমন ও কেউ ঠ্যাকাইয়া রাখতে পারেনি, পারবেও না।
মোঃ মজিবর রহমান
শব্দ কঠিনেরে এত ভাল বাসেন!
কঠিন ভাবকে কি
সহজে সরল
শব্দে পাঠক কে বোঝান কবিদের খুব সহজে হয়না?
না ভাব মারেন পাঠক কুলকে।
ছাইরাছ হেলাল
জলবৎ তরলং কিন্তু এর থেকেও কঠিন।
ভাবে ভাব না নিলে কী হয়,ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
তাই !
জং মং ধরে না বুঝি
আরও রঙ আসুক মনে লেখা পাব
যাতে মনে ধরে।
ছাইরাছ হেলাল
আজকাল জং মং এর বেইল নাই, সবই রঙ্গীন।
চৌখ খুউল্যা দ্যাহেন।
আগুন রঙের শিমুল
ঘাম গন্ধ সুগন্ধী চন্দনে বদলায় … ঘামগন্ধা বুকে ঢেকে যায় বকুলঘ্রানে
আহ, শূন্য বুকের ভিটায় বিরান দুপুরে ডেকে ফেরে একলা কবোষ্ণ বুকের বিরহী ঘুঘুপাখি
হেলাল ভাই – ভালোলাগা জানবেন 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ভাই, আপনি শুধু বুঝলেন যন্ত্রণার জ্বালা,
এই সামান্য আমাদের মনে রেখেছেন তাই অনেক,
ভুলে যাওয়া মনরাজ্যে।
কেমন আছেন আগমনী শীতের পিঠে-পুলিতে!!
শুন্য শুন্যালয়
কোন চুলায় গেলেন? মিস করি তো।
ছাইরাছ হেলাল
ভাউ, চুলোতো ঠিক করেই দিলেন, ইট্টু চৌক্ষে চৌক্ষে রাইখ্যেন।
আপনি ও একটু সামলে-সুমলে থাইক্যেন, রং এর সমারোহে।
আপনার জন্য প্রাণ, আঁকুপাঁকু,
উহ ভাউ, জাতি এবার আপনাকেই খোঁজে!!!!!!!!!!!
কাইন্দালামু কিন্তু!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিভাই রঙের দিকে এতো চোখ কেন?
শুন্য আপুকে ভালোবাসি, সেটা নিয়ে এতো ব্যাঁকা কুথা কেনু গো ভাইয়া?
চোর কিন্তু সবাইকেই চোর ভাবে, জানেন তো? 😀 :D) :p
ছাইরাছ হেলাল
ইসসিরে, একদম মুনের কথা বলছেন,
এ ভাবে সবাই বলে না, বলতে পারেও না।
আপনারা আমাদের খুপ আপন জন, দুষের কিছু নেই, চলুক।
জগৎ ময় স্বীকৃত বিষয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি গোপন রাখি না। যা বলার বলে ফেলি।
আমি আপনার আপনজন!!! 😮
যতোটুকু জানি আমি আপনার দুশমন। ;?
ছাইরাছ হেলাল
দুশমনেরাই আপন,
আপন তা হলে দুশমন হয় কী করে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
ওহ তাই নাকি!
জ্ঞানী মানুষ আপনি সাধে কি আর বলি?
“উপ্রে কাঁটা, নীচে কাঁটা…তার উপরে লাথি-ঝাঁটা” —–কেমন দিয়ে দিলেন। 😀
ছাইরাছ হেলাল
কাঁটায় কাঁটায় কাটাকাট
নেই কোন ঝাঁটা ঝাঁটি।
মেহেরী তাজ
এমনি কি আমি লুকায়ে থাকি??
তবে ঘড়িহীন ভালোবাসা কথা আমার ভাল্লাগছে।
ছাইরাছ হেলাল
আহারে, বুঝতে এত্তো দেরি করে ক্যা?
পরবর্তী কাজে নেমে পড়ুন।
আমিও তো ভালোবেসেই লিখছি!!
নীলাঞ্জনা নীলা
নির্ভাজ সময়ের করতলে রাখা সুগন্ধি ইচ্ছেগুলো
জলশূণ্যতায় কাৎড়ায়
সাইডওয়াক ধরে হেঁটে যায় বে-হিসেবীভাবে অক্ষর দেয়া জল-পথিক
“দাঁড়াও পথিকবর তিষ্ঠ ক্ষণকাল”—
“জল দাও মোরে জল দাও।”
ভয়ে ভয়ে দিলাম। আপনার লেখার থেকে ভিন্ন পথে যাওয়া। খুঁজে পেলাম অনেক অনেক ছেঁড়া পাতার ভেতর থেকে ১৯৯৯ সালের লেখা এটি।
ছাইরাছ হেলাল
পুরনো!! তাতেই এই অবস্থা,
নুতন জলে কী জানি কী হত! পথিক এবার জল পানের জন্য দাঁড়াবেই।
নো ভয় ভয়, আমরা আমরাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
পথিক পালিয়েছে। অভ্যেস ভেঙ্গে এমন দৌঁড় দিয়েছে যে ধরে এনে বসাতেই বলে
“ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি।” তাও চেষ্টা করলাম, বললাম ও ভাই পথিক আচ্ছা যেও কিছুক্ষণ তো বসো।
বলে কিনা না মা মুক্তি দাও।
কি আর করা। ভয় আমার আজন্ম। সবাই ডরায় আমায়, আর তাই সবাই পলায়। ;(
লেখাটা পছন্দ হলো কিনা। অতো উপমা-রূপকের প্রয়োজন নেই। সহজভাবে বলুন। ভালো লাগবে। -{@
ছাইরাছ হেলাল
ভয় না দেখালেই হয়,
দায় আপনার ই।
লেখা খুব ভালো হয়েছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
সেই দায় তো আমারই। বলুন বলুন, সম্রাট বলে কথা! 😀
ছাইরাছ হেলাল
অবশেষে মেনে নিলেন, ভালই হল
মিথুন
পূর্নের শহরে চললেন বুঝি? ২।৫।৫ সাজানো গোছানো সুন্দর লেখায় পাওয়ার পূর্নতা (নাকি হাতছানি?) আনন্দই দেয়।
অপেক্ষার আরশি নগরে হাজার বছরে, হাজার বছর ধরে সময় গুনলে আপন না হয়ে পারে?
আলেয়ার মন্থনে! নাহ্ আপনাকে বোঝা এই অলেখকের সাধ্য না। সবাই আলোর খোঁজ করে, সেখানে আলেয়া ধীর হওয়াই তো ভালো।
ছাইরাছ হেলাল
আলোর মাঝেও আলেয়া থাকে, সেখান থেকে আলোর পথ খুঁজে পাওয়া আনন্দের,
এটিও পূর্ণতা, অপেক্ষা থাকে বলেই থাকে প্রাপ্তির আনন্দ, অবশ্য পাশেপাশে কেউ না কেউ থাকেই।
আপনার অসাধ্য এখন ও তৈরি হয়নি, হবেও না।