লিখাটা অনেক আগেও আমি আমার ফেসবুকে দিয়েছিলাম, এবার এখানে দিলাম।

যারা চলচিত্রে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করবেন বা চিত্রধারণ বা নির্দেশনা করবেন তাদের জানা খুব জরুরী।

আমার প্রায় মুভি গুলো যৌনতা কেন্দ্রিক পরক্রিয়া বা যৌনতা নির্ভর। মানে যেটাকে বলে বোল্ড মুভি এরিটিকে মুভি ওই টাইপের হয়।

কারণ এসব মুভি করতে আমি সাচ্ছন্দ্য বোধ করি। সমাজের ভিতরে নানা রূপ থাকে যৌনতা, আর অন্যতম একটা রূপ আমি এডাল্টস তুলে ধরি।

রোমান্টিক দৃশ্যে অভিনয় এর সময় নায়ক এর সাথে অনেক ঘনিষ্ঠ হতে হয় চরিত্রে ঢুকার জন্য। মানুষিক ভাবে তার সাথে ঘনিষ্ঠ হতে হয়।

ব্যক্তিগত প্রেম আবেগ যদি নাও থাকে, চিত্রায়ন এর আগেও কিছু দিন তাকে স্বামী বা প্রেমিক হিসেবে কল্পনা করতে হয় এবং সেই কল্পনা টা অনেকটা বাস্তবসম্মতভাবেই করতে হয়। রোমান্টিক দৃশ্য নিয়ে কখনো কোনো নায়িকা খোলা মেলা কিছু বলেন না, এটা অনেক টা স্বামী স্ত্রীর রাত এর সঙ্গম এর মতোই গোপনীয়।

রোমান্টিক দৃশ্যের জন্য নায়ক নায়িকার সম্পর্কের রসায়ন টাও ভালো হতে হয়। অর্থাৎ বাস্তব জীবন এ তার সাথে সম্পর্ক টা অবশ্যই মানুষিক সম্পর্ক অবাধ থাকতে হয়। যেমন আমরা বন্ধু বা কাজিন দের মধ্যে কারো কারো সাথে খুব ঘনিষ্ঠ হয়। যেমন গল্প করার সময় ইয়ার্কি ফাজলামো করে আমরা বলি, এই আমি তোর বৌ হবো তোর বাচ্ছা আমার পেটে নেবো বা বলি যা তোকে কবুল করে নিলাম তুই আজ থেকে আমার স্বামী। যাদের সাথে আমরা মানুষিক ভাবে ঘনিষ্ঠ তারা কেও আমার প্রেমিক বা স্বামী নয় অদূর ভবিষ্যত এ হবার সম্ভবনাও নেই। কিন্তু তাদের সাথে আমরা মানুষিকভাবে সব থেকে বেশি ঘনিষ্ঠ। তাদের সাথে আমাদের সম্পর্কের রসায়ন টা সব থেকে ভালো।

ঠিক অভিনয় এর ক্ষেত্রেও তেমনি নায়ক নায়িকার সম্পর্কের রসায়ন তা সুনিদিষ্ট থাকতে হবে। নায়ক হয়তো আমার থেকে বয়সে অনেক বড়। বাস্তব জীবন এ আমি তাকে ভাইয়া বলি মানিও, কিন্তু বাস্তব জীবন এ তার সাথে মানুসিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ থাকতে হবে। তার সাথে স্বাভাবিক ভদ্রতা মূলক কথার সাথে সাথে যৌনতা বিষয়ক ঠাট্টা মস্করা করা যেতে পারে বা এরকম বিষয় নিয়ে খোলা মন এ আলাপ করা যেতে পারে।

যেমন দুলা ভাই কে তো সবাই আমরা ভাই জানি। কিন্তু তার সাথে ঠাট্টা মস্করায় আমরা কঠিন রোমান্টিক অনেক কথা বলে ফেলি, যৌন মস্করা করি। কিন্তু সেতো আমার বড় ভাইয়ার মতো তবুও আমরা তার সাথে এমন করি কারণ তার সাথে আমার সম্পর্কের রসায়নটা এরকম রসালো। সেজন্যই আমরা তার সাথে অবাধে প্রাপ্তবয়স্ক ঠাট্টা মস্করা নির্বিঘ্নে করি।
আবার ডাক্তার অপরিচিত একজন লোক তার সাথে আমাদের ভদ্রতার সম্পর্ক। ভাবগাম্ভীর্যের সম্পর্ক। কিন্তু তার সাথে আমরা আমাদের গোপনীয় অনেক কথা বিনা দ্বিধায় বলি। নিজের যৌনতা বিষয়ক অনেক কথা তার কাছে বলি প্রসঙ্গক্রমে, কিন্তু সে তো অপরিচিত কিন্তু তার সাথে আমার সম্পর্কের রসায়ন টাই ওরকম।

ঠিক আমার নায়ক এর সাথে আমার সম্পর্কের রসায়ন টা দুলা ভাই এবং ডাক্তার এর যুগল বন্ধি হতে হবে, ভাব গাম্ভীর্য ভদ্রতা সন্মান যেমন রাখতে হবে তেমনি আবার হালকা মানুষিকতার ঠাট্টা মস্করা মূলক মানুষিকতাও রাখতে হবে। তবেই নায়ক এর সাথে একটা রসালো রোমান্টিক রাসায়নিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হবে।

এরকম রসালো রাসায়নিক সম্পর্কের কারণেই নায়ক নায়িকারা এক ঘর ভর্তি লোকের সামনে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করে। আমার হিরোর সাথে এরকম সম্পর্কের রসায়ন এর কারণেই আমি তার সাথে একই বিছানায় শুই, একই চাদর এর তোলায় দুইজন শুই। অনেক সময় আমার শরীর এ হাতাকাটা শর্ট মেক্সসি থাকে তার শরীর পুরা উদোম থাকে এক ঘর লোকের সামনে ডিরেক্টর, ক্যামেরা ম্যান, স্পট বয় যাদের সামনে আমরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরি। স্বামী স্ত্রীর মতো সংগম ভোগ এর অভিনয় করি সেটা একসময় সারাদেশ পাবলিকও দেখে, কিন্তু আমার স্বামীর সাথে আমি এই রকম যৌনসঙ্গম ডিরেক্টর ক্যামেরা ম্যান এর সামনে করতে পারবো না, লজ্জা করবে এটাই হচ্ছে সম্পর্কের রসায়ন। এই রসালো রাসায়নিক সম্পর্কের উপর ভিত্তি করেই আমরা রোমান্টিক দৃশ্যে অভিনয় করি।
ঠিক যেমন একজন ভাবগর্বীর্য সম্পর্কের ডাক্তার এর সাথে আমি আমার গোপন বিষয় নিয়ে কথা বলি। যৌনতার বিষয় নিয়ে আলাপ করি, কিন্তু তার সাথে আমি যৌনতা করি না। বা আমার দুলাভাই এর সাথে যৌনতাউত্তেজক অনেক ঠাট্টা মস্করা করি, কিন্তু তার সাথেও আমরা যৌনতায় লিপ্ত হইনা। নিজেদের স্বয়ংক্রিয় ভাবে নিয়ন্ত্রণ করি বা কোনো আড্ডাস্থল এ বন্ধু বা কাজিন দের সাথে আড্ডার সময় অনেক যৌনতাপ্রবণ কথা হয় ঠাট্টা মস্করা হয়, কিন্তু তাদের সাথেও আমরা কখনো যৌনতায় লিপ্ত হই না। ঠিক তেমনি আমার নায়ক এর সাথে যখন আমি বিছানায় শুই তার গায়ের গন্ধ বগল এর গন্ধ বুকের পশম এর উত্তপ্ত ছুঁয়া হাতের তালুর গরম ভ্যাপ সবই অনুভব করি উপভোগ করি তার বৌ এর মতোই তার প্রতি বিলীন হয়ে যাই সেও স্বামীর মতোই। আমার সাথে আমার গায়ে উঠে যৌনসংগম এর অভিনয় করে, কিন্তু বাস্তবে সেখানে কোন যৌনতা হয় না। কিছুই হয়না রোমান্টিক দৃশ্যের এই রসালো রাসায়নিক সম্পর্কটাই হচ্ছে এরকম "সবই আছে আবার কিছুই নেই, কিছুই নেই কিন্তু সবই আছে"।

যে সব অভিনেতা অভিনেত্রীরা এই রসালো রাসায়নিক সম্পর্কের শিল্প কে রপ্ত করতে পেরেছেন তারাই নির্বিঘ্নে রোমান্টিক ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে পেরেছেন। চরিত্রায়ন এবং চিত্রায়ন সুনিস্দিষ্টভাবে যারা করতে পেরেছেন, তারাই হচ্ছে প্রকৃত শিল্পী। যারাই রোমান্টিক ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করবেন তারা রসালো রোমান্টিক সম্পর্কের শিল্প কে রপ্ত করবেন। অভিনয় চরিত্রায়ন শিল্পায়ন হবে নির্বিঘ্ন।

0 Shares

১৮টি মন্তব্য

  • সুপায়ন বড়ুয়া

    আপু আপনি বড় অভিনেত্রী আপনার লেখায় সুনিপুন ভাবে তুলে ধরেছেন। আপনি ব্যস্ত শিল্পী সেটা ও বুঝা যায়।
    আপনি লিখে যান কেউ পড়েছেন কিনা বা আমরা যারা পড়ে মন্তব্য করি তা দেখার ও সময় পান না।
    এবার একটু পড়ে ডাবল হয়ে গেছে সংশোধন করেন না হলে পাঠক বিরক্ত হবে
    আপনি অনেক বড় লিল্পী হোন।

  • সুপর্ণা ফাল্গুনী

    এই বিষয়টি অজানা ছিলো, ডাক্তার কিংবা দুলাভাইয়ের উপমাটা খারাপ না। একজন অপরিচিত লোকের সামনে আমরা সব তুলে ধরি , প্রয়োজনের খাতিরে শরীরের অংশ ও খুলে দেখাতে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে

  • আতা স্বপন

    সোনেলা ব্লগের একজন ব্লগার হিসেবে আপনাকে বলছি। এই পোষ্টটি আপনার মুছে ফেলা উচিত। কারণ এটা এই ব্লগের সাথে যায় না। এখানে প্রতিটি ব্লগারের মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে সত্যি। কিন্তু শৈল্পিক রুপায়নের ছুতায় যৌনতাকে ওপেন করে প্রকাশ করার চেষ্টা নৈতিকতা বিবর্জিত মনে হয়েছে। যা এ ব্লগের নীতিমালার লংঘন। ধন্যবাদ।

    • সুরাইয়া নার্গিস

      আপু পোষ্টের ছবি এবং লেখাটা কেন জানি পড়ে ভালো লাগে নাই
      কারণ এখানে আমি নতুন কিন্তু সবাই আমার কাছে সম্মানীয় ও শ্রদ্ধার মানুষ।
      সবাই তাদের মতামত দিয়েছে, ব্লগের একজন মেম্বার হিসাবে আমার মতামত প্রকাশ করার স্বাধীনতা আছে।
      তাই বলবো ব্লগে এই লেখাটা মানান সই হয়নি, এখানে সবাই গুণীজন লেখাটা মুছে দিলে ভালো হয়।
      লেখাটাতে শিক্ষণীয় বিষয় কতটুকু আমার জানা নেই! তবে যৌনতা ভরপূর এতটুকু বলতে পারি।
      এখানে সবাই প্রাপ্ত বয়স্ক তাই এভাবে খোলামেলা আলোচনা করা ঠিক হয়নি।
      ভুল কিছু বললে ক্ষমা প্রার্থী।

      শুভ কামনা সবার জন্য রইল।
      জয়তু সোনেলা ব্লগ।

  • সাবিনা ইয়াসমিন

    যারা অভিনয় করেন বা এ ধরনের অভিনয় করতে চান তাদের জন্যে এই পোস্ট উপকারে আসবে। পর্দায় যেভাবে ক্যারেক্টর গুলোকে উপস্থাপন করা হয়, বা যেমন ভাবে তুলে ধরা হয় দর্শকেরা তাই দেখে। দর্শকেরা সাধারণত অভিনয়ের উপর ফোকাস করে। অভিনেতা/ অভিনেত্রীদের তখনকার ব্যাক্তিগত মনোভাব পর্যালোচনা করা হয় না। তাদের ঐ সময়ের ভাবনা কেমন হয়, সে কিভাবে অভিনয়টা করেছে এটা নিয়ে কৌতূহল যাদের থাকে, তারাও এই পোস্ট পড়ে সেসব জানতে পারবে।

    আপনার প্রতিটি পোস্টই ভালো। ব্যতিক্রম। যতি চিহ্ন মানে দাড়ি-কমা একটি লেখাকে সুনির্মিত করে। আপনি হয়তো কোনো কারনে ওগুলো দিচ্ছেন না বা পারছেন না। এমতাবস্থায় আপনি চাইলে আপনার সমস্যাগুলো এখানে অথবা আমাদের ফেসবুক গ্রুপ থেকে জেনে নিতে পারবেন।

    নিয়মিত লিখুন, অন্যদের পোস্টে যথাসম্ভব যাওয়ার চেষ্টা করুন।
    শুভ কামনা 🌹🌹

  • সুরাইয়া নার্গিস

    আপু পোষ্টের ছবি এবং লেখাটা কেন জানি পড়ে ভালো লাগে নাই
    কারণ এখানে আমি নতুন কিন্তু সবাই আমার কাছে সম্মানীয় ও শ্রদ্ধার মানুষ।
    সবাই তাদের মতামত দিয়েছে, ব্লগের একজন মেম্বার হিসাবে আমার মতামত প্রকাশ করার স্বাধীনতা আছে।
    তাই বলবো ব্লগে এই লেখাটা মানান সই হয়নি, এখানে সবাই গুণীজন লেখাটা মুছে দিলে ভালো হয়।
    লেখাটাতে শিক্ষণীয় বিষয় কতটুকু আমার জানা নেই! তবে যৌনতা ভরপূর এতটুকু বলতে পারি।
    এখানে সবাই প্রাপ্ত বয়স্ক তাই এভাবে খোলামেলা আলোচনা করা ঠিক হয়নি।
    ভুল কিছু বললে ক্ষমা প্রার্থী।

    শুভ কামনা সবার জন্য রইল।
    জয়তু সোনেলা ব্লগ।

  • তৌহিদ

    উপরে অনেকেই মন্তব্য করেছেন লেখার যৌনতা নিয়ে। আসলে আমার আপনাদের মত প্রকাশের অধিকার যেমন আছে তেমনি লেখকেরও আছে। বিষয়টিকে পজিটিভ ভাবে নিন।

    লেখক আসলে নিজের সত্বা থেকে বের হয়ে একজন অভিনয়শিল্পীর মনের কথাগুলোকে লেখায় নিয়ে এসেছেন। যারা মিডিয়াতে কাজ করেন তারা প্রত্যেকেই এই অনুভূতির মধ্য দিয়েই গিয়েছেন। আর এটাই বাস্তব। লেখাটি সে দিক থেকে শিক্ষণীয় কিন্তু।

    তবে ছবি নিয়ে আপত্তি থাকতেই পারে। এই লেখাতে ছবির সাথে সামঞ্জস্যতা আছে বলেই মনে করি। কিন্তু এটি লেখকের নিজের মুভির ছবি এটি উল্লেখ করে লেখক নিজেকে ব্যক্ত করেছেন নাকি তিনি তার অভিনয়কৃত মুভিগুলোর কিঞ্চিত হাইলাইট করলেন তা আমার বোধগম্য নয়। এই লাইনটি তিনি উহ্য রাখতে পারতেন।

    যদি লেখক হিসেবে এটি বলে থাকেন তাহলে আমার আপত্তি আছে কারন অনেকেরই লেখককে ভূল বোঝার সম্ভাবনা আছে। আবার একজন শিল্পীর ব্যাখ্যায় এসব লিখে থাকলে লেখাটির শুরুতেই ” একজন শিল্পীর ইরোটিক ছবিতে প্রথম অভিনয়ের অভিজ্ঞতা” শিরোনামে লিখতে পারতেন। নিজের কথা বলার দরকার ছিলোনা।

    লেখার একজায়গায় তিনি বলেছেন – যৌনতা বিষয়ে হাসি ঠাট্টা মস্করা করার কথা। তাহলে পাঠকদের কি ধারনা হলোনা যে মিডিয়াতে এসবই হয়।
    আর এর ফলেই এত এত ননষ্টামি ( সাধারণ ভিউয়ারদের দৃষ্টিতে) হয় মিডিয়া পাড়ায়। শিল্পীরা এরকমই করেন এবং লেখক নিজেও এর বাইরে নন? এতে কি লেখক সম্পর্কে খুব ভালো ধারনা হলো পাঠকদের?

    এসবই আমার মতামত। আপনারাও পজিটিভ ভাবুন।

    • আতা স্বপন

      একদম ঠিক। তবে সব জায়গায় সব জিনিস করা যায় না। এটা বুঝতে হবে। যদিও আমি এ ব্লগ নতুন তথাপি ব্লগিং করছি প্রায় ৯/১০ বছর ধরে। সেই সুবাদে অনেকগুলো ব্লগে আমি লিখছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এই ব্লগটিকে আমার অন্যান্য ব্লগ থেকে একটু বেশী সামাজিক মনে হয়েছে। তাই ব্লগটি আমাদের পরিবারের সিনিয়র নাগরিকরাও পড়েন। তারা একটা ব্লগটিতে এমন টাইপ লেখা দেখলে ভুল বুঝতে পারেন। যারা ব্লগিং করতে চাইবে তাদের নিরুৎসাহিত করবেন। তাই একটু সাবধানতা অবলম্বন জরুরী।

  • নিতাই বাবু

    আপনার একটি লেখা পড়ে ভালো লেগেছে। এই লেখা এবং সিনেমার পাগল বেশকিছু লোক এবং যাঁরা অভিনয় জগতে নতুন, তাঁদের জন্যও অনেক উপকারে আসবে বলে আমি মনে করি। আপনি নিয়মিত লিখতে থাকুন, আমরা আপনার লেখার পাঠক হয়ে থাকবো। ধন্যবাদ!

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ