যুগ যুগ ধরে একটা প্রথা যা আমাদের ধর্মের নয় ধর্ম বহির্ভুত সেটা ধর্মের নামে চালিয়ে দিয়া হয়েছে
কত সুন্দর রমণীকে স্বামীর সাথে জলজ্যান্ত পুড়ানো হয়েছে কত চিৎকার আহাজারি ঢাক কাশনের শব্দে তা নীরব করা হয়েছে
কিন্তু প্রথাটা ছিল ধর্মবহির্ভুত ধর্মের সাথে যার কোন মিল ছিলোনা এটা ছিল ধর্মীয় কুসংকার
হাজার হাজার বছর ধরে চলে এসেছে ধর্মের নামে যারা তৎকালীন সময় করেছে তারা ধর্মাচার না বলে এটাকে দেশাচার বলতো
অতএব এটা ধর্মের নামে চলা কিন্তু ধর্ম না মানুষের মনগড়া রীতিনীতি
এটা ধর্ম অবমাননা তখন যারা সতীদাহ করেছে তারা রীতিমতো হিন্দু ধর্মকে অবমাননা করেছে
যুগ যুগ ধরে শত শত বছর যাবৎ লক্ষ লক্ষ রমণীকে জ্বলন্ত চিতায় অগ্নিদগ্ধ করেছে
সতীদাহ কখনোই হিন্দু ধর্মের কোন নিয়ম ছিলোনা কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী এসব নিয়ম বানিয়েছিলো
নিজের স্বার্থে সতীর পুড়ে যাওয়া চিতায় পড়ে থাকা স্বনালংকারগুলো কুড়িয়ে নিতো ব্রাহ্মণ পন্ডিতেরা
সতী হওয়া নারীর আত্মীয় স্বজন শশুড়বাড়ির লোকেরা সতীর পুড়া চিতার আগুনে নিজেরা মানসম্মানের আলু পুড়িয়ে খেত
আমার আজ এসব লিখতে নিজের হাত কাঁপছে সে সকল হতভাগ্য নারীর মরণ জ্বালা লিপিবদ্ধ করতে
কিন্তু আমারি বংশের নারীর আমারি রক্তের নারীরা দুইশ তিনশো বছর আগে এভাবেই মরেছে
সেই সকল পূর্বসুরিদের অগ্নিদহন লিখতে গিয়ে আমি শিউরে উঠি চোখের কোন থেকে অশ্রুজল বেয়ে পড়ে
কিন্তু তাদের সে কষ্টের অনুভব আমি বিন্দু মাত্র বুজতে পারিনা শুধু করজোড়
করে ক্ষমা চাইতে পারি
ক্ষমা কর হে সতী মাতা নারীরা তোমাদের রক্ষা করতে পারিনি আমরা
১২টি মন্তব্য
নাজমুল আহসান
আপনার পোস্টের সাথে এই ছবির সম্পর্ক কী? এটা কি সতীদাহের ছবি? অন্য কোনো ছবি পাননি?
আর আপনাকে সম্মানিত ব্লগাররা এতবার বলার পরও আপনি লেখায় একটু কষ্ট করে যতিচিহ্ন ব্যবহারের চেষ্টা করছেন না! আপনি কি অন্যের কমেন্ট পড়েন না, নাকি গ্রাহ্য করেন না?
ফয়জুল মহী
নিবন্ধন করেছেনঃ ১৫ দিন আগে
পোস্ট লিখেছেনঃ ১৩টি
মন্তব্য করেছেনঃ ১৭টি
মন্তব্য পেয়েছেনঃ ১৩৫টি
মুন
Ke ki chobi debe na debena ata jar jar personal baper mind your own buniess
জিসান শা ইকরাম
এটি কোনো চটি সাইট নয় যে আপনি আপনার ইচ্ছেমত ছবি দিবেন। কোনো ন্যুড ছবি প্রকাশ এই ব্লগে চলবে না।
সোনেলা একটি সামাজিক ব্লগ। সমাজে যে পোষাক প্রচলিত, তেমন ছবিই এখানে গ্রহনযোগ্য।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
খুব ভালো লিখেছেন। সতীদাহ নিয়ে সত্যটা উন্মোচন করলেন। ধন্যবাদ আপনাকে। যতিচিহ্নের ব্যবহার কেন করছেন না বুঝলাম না। ভালো থাকবেন শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য
মুন
Donnobad
সোয়েবুর মোর্শেদ সোহেল
দুঃখজনক ব্যাপার হল এই বর্বর কাহিনী পড়ে মনে হয় নারীদের জঙ্গলের নিরিহ প্রানী হিসাবে বিবেচনা করত তখনকার হিন্দু সমাজপতিরা।
যাইহোক,১৮২৯ সালের ডিসেম্বর ৪-এ বৃটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সীতে সতিদাহ প্রথাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল ঘোষণা করা হয়। এসময় বেঙ্গলের গভর্ণর ছিলেন লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক। অবশ্য এ আইনী কার্যক্রম গৃহীত হয় মূলতঃ রাজা রামমোহন রায়ের সামাজিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতেই।খুব ভালো লিখেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ।
সুরাইয়া পারভীন
ধর্মের নামে অর্ধমের রাজ্য চলেছে একসময়
ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ অশেষ
ইঞ্জা
সত্যি দূর্ভাগ্য আমাদের, ওদের রক্ষা করতে পারিনি, সতীদাহ এতো নৃশংস ছিলোলো যে, তাকে হত্যা ছাড়া আর কিছুই বলতে চাইনা, ধর্মীয় পূজারি এবং ধর্মান্ধ মানুষের হত্যাযজ্ঞ ছিলো সেই সময়ের সতীদাহ।
আপনাকে ধন্যবাদ জানাই দিভাই, খুব ভালো একটি পোস্ট দিলেন।
কামাল উদ্দিন
আপনার আগের পোষ্টে এই সতিদাহ প্রথার ভয়ঙ্কর বর্ণনা সত্যিই আমার মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছিলো আপু।
হালিম নজরুল
যতিচিহ্ন নেই যে!!
মুন
Donnobad sobai ke