জমিদার বাড়ী
চৌকাঠ পেরিয়ে হামাগুরি দেয়
লজ্জাগৌরির রক্ত,
সিন্দুক গিলছে জিবনবীমার বিজ্ঞাপন।
তিন পুরুষের শ্বাসকষ্টের পুকুরে
বড়শি ফেলে মাটিতে মিশে থাকা যৌবনের ঘ্রাণ।
ঠিক নাভি বরাবর টানা হয়েছে,
ভিভাজনের বলিষ্ঠ তির্যক রেখা।
মাটিতে যৌবতী কন্যার রক্তের দাগ
ছিন্ন মাদুলি মুখ লোকালো তুলসীমূলে!
জানালার বিপরীতে বারবনিতা দেয়ালের
উদাম শরীর গিয়ে মিসেছে শবযাত্রায়।
রক্ত লাল পোস্টার লটকাইয়া
তড়িৎ প্রস্থান পাড়ায় গজিয়ে ওঠা নয়া বিপ্লবীর।
দোতলা থেকে খসে পড়ে অহমের লাল ইট
প্রগৌতিহাসিক শব্দ ছুড়ে
ব্যাসার্ধের পথ মেপে নেয় হাজার বছর বয়সী ডাহুকী।
পদ্মপাতায় রোদ্রস্নান করে ফটকে বাঁধা হাতি
জোছনায় পুড়ে নীল হয় কনকচাঁপার পাপড়ি।
তুষারশুভ্র পদ্মপাপড়ি বিসর্জিত গঙ্গাজলে,
বৃক্ষকা জলের জালার মত নিটোল।
বহির্ভিটার প্রলুব্ধাকারী দেহসম্ভার গিলেছে লোলুপ আলাপ।
৯টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অনবদ্য, চমৎকার। বিমোহিত হয়ে গেলাম আপনার লেখায়। জমিদার বাড়ির পূর্ণ চিত্র তুলে ধরলেন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো
নাজমুল হোসেন নয়ন
শুভেচ্ছা জানবেন হে কবি
আপনার মন্তব্য লেখার অনুপেরনা দেয়।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
সুন্দর লেখা। ভালো থাকবেন কবি। শুভ কামনা ।
নাজমুল হোসেন নয়ন
শুভেচ্ছা নিবেন ভাই
হালিম নজরুল
চমৎকার লেখা।
নাজমুল হোসেন নয়ন
ধন্যবাদ
ফয়জুল মহী
অসাধারণ লেখা ।
নাজমুল হোসেন নয়ন
ধন্যবাদ
ইঞ্জা
চমৎকার চয়ন, জমিদার বাড়ির নিপুন চিত্রায়ন, বিমোহিত হলাম।