রাত বিরাতে ভ্রমণ পিপাসুরা রাতের আধার অন্ধকারে বিদঘুটে রাতের তারার প্রজ্বলন চক্ষুমাঝে আসীন। অন্ধকার রজনীতে দুর্গম গাছগাছালিতে বেষ্টিত জঙ্গলে গাছের আড়ালে লুকোচুরি দারুন জমে। আর যারা রাতের মাঝে ঘুরে জিবনের অনেক অলিগলি অবলোকন।
এক রাতের কাহিনী । এক গ্রাম্য ব্যাবসায়ী হাটে বেচাকর্ম করে বাড়ি ফেরা। হাটে ব্যাবসায়ী বন্ধুদের সহিত আড্ডা দিয়ে, রাত আনুমানিক ১০ টা। নদীর তীর ধরে পথচলা। নদীর ধারে যাওয়ার কিছুক্ষন পরে নাম ধরে ডাকে এই আকবর আমার সাথে আয়। এই আকবর আমার সাথে আয়। কয়েকবার ডাকার পর শুনে এদিক অদিক তাকাই কিন্তু কাউকে দেখতে পায়না, আকবর আবার চলা। আবার ডাক আসে এই আকবর আমার সাথে আয়।! কিন্তু এবার ভ্রুকুচকে খেয়াল করে নদীর মাঝ থেকে ডাক আসে। তীব্র শীতের রজনী। শীতের কাপুনি আর জড়সড় চলা আবার নদীর মধ্যখান হতে ডাকা, ভয় পায়। অজানা ভয় কাজ করে শরীরে। আর ডাকের কন্ঠ তারই পরিচিত এক বড় ভাইয়ের।
ডাক শুনে তাঁর পিছু নেয় আকবর। নদী পাশ দিয়ে অন্ধকার জনমানবহীন রাস্তায় হাটে আবার দাঁড়ায়। ভাবে কি করবে? তাঁর সাথে যাবে না একা যাবে! কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে মনের আকাশে ভুত-পেত্নীর ভয়ে ডরায়।
আবার ডাক! এই আকবর আয় না! আমার সাথে আয়! ডাকার শব্দ অদ্ভুত!গাঁ ছমছম শীতে হিম হিম ঠান্ডা হতে থাকে, অদ্ভুতভুতুড়ে! ঘন জমাট অন্ধকার। ডাকার ভংগিমা বদলিয়েছে। এই আসিস না কেন, আয়? আকবর ভড়্গিয়ে যায়! শিউরে উঠে! ডাকার শব্দে। কি করবে? যাবে কি যাবেনা দোটানায় ভাবতে থাকে। শীতে শীত না প্রচন্ড ঘামে যাচ্ছে, ভাবনায় কিংকর্তব্যবিমূড়। কি হবে। আবার ডাক এবার বার বার ডাকছে! ডাকার ভয়ে এবার রাস্তা হতে নিচে নামার ইচ্ছে করে। একবার নামতে যায় আবার থামে। আবার উঠে আসে। একদম ফেলে তো আবার একদম ফিরে আসে। আবার যায়। ডাক পড়ে এই আকবর আয়। এভাবে প্রায় আধা ঘন্টা চলে যায়।
ভাবতে ভাবতে তাঁর চেতনা ফিরে আসে যে এবং মানুসিক ভাবে পক্ত হয় যে তাঁর বাড়ি ফিরতে নদি পার হতে হবেনা।
জনশ্রুতি আছে যে এইরকম পরিস্থিতিতে যদি পানিতে নামে তবে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
২৩টি মন্তব্য
ইঞ্জা
হুম আমিও শুনেছি এইসব কথা তাও গল্পে।
মোঃ মজিবর রহমান
এটা গল্প হলেও একজনের জীবনে ঘটে যাওয়া বাস্তব কিন্তু।
-{@
ইঞ্জা
😮
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ঠিক বলেছেন আমিও জানি এ ভাবে ডাকে সারা দিলেই বিপদ। -{@ চমৎকার লেখা।আপনিতো লেখা দিয়ে দিলেন আমি এখনো লিখতে পারছি না ।
মোঃ মজিবর রহমান
এটা আবার একজনের জীবনে ঘটে যাওয়া সত্য নির্ভর।
লেখা দিন। পড়ি।
-{@
মায়াবতী
বাপরে ভয় পেয়েছি, এমন ডাকা ডাকির কথা অনেকের কাছে ই শুনেছি কিন্ত নিজের অভিজ্ঞতা হইনি কখনো তাই অন্ধকারে একা হলে ই ভীষণ ভয় লাগতে থাকে। আপনার গল্প পড়ে সেই রকম ভয় ই আবার ঘিরে ধরলো। তবে গল্প কিন্ত অনেক ভাল লেগেছে ভাই। -{@
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যাঁ আপু, যারা এই পরিস্থিতে পরে তারাই বোঝে কি বিপদ। ও ভয়ংকর অবস্থা হয়।
সাবিনা ইয়াসমিন
মজিবর ভাই এই ছিল আপনার মনে ? ভেবেছিলাম রাতে আপনার গল্পটা পড়বো আর ভালো করে একটা ঘুম দিবো। এখনতো বারান্দায় যেতেও ভয় পাচ্ছি। ঘুমাতে যাবো কিভাবে ??
গল্পটা ভালো হয়েছে। -{@
মোঃ মজিবর রহমান
ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেয়। মনকে শক্ত করে রাতদিন পার কঠিন কঠিন বিপদ ও কাজ যেভাবে পাড়ি দেন। সেইভাবেয়।
ভাল থাকুন আপু।
সাবিনা ইয়াসমিন
🙂 -{@
মোঃ মজিবর রহমান
ভাল থাকুন।
শুভেচ্ছা অবিরত।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা। জানা থাকলো, পানিতে নামা যাবে না।
কিন্তু পানিতে ফেলে দিলে কী হবে ভেবে ভয় পাচ্ছি।
মোঃ মজিবর রহমান
জানা থাকলে হবে না, নেমে ঘুরে শক্তি সাহস বজায় রাখুন।
ভাল থাকুন ভাই।
রেজওয়ান
💀গ্রামে এমন কাহিনী শুনেছিলাম বেশকয়েকবার! আবার এমন কাহিনীও শুনেছি ২ বন্ধু মাছ ধরার প্ল্যান করেছে কিন্তু মাঝ রাতে অন্যকেউ/কিছু এসে ডেকে নিয়ে গিয়েছে মাছ ধরার নাম করে😒ভয়ংকর ব্যাপার স্যাপার…
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যাঁ রেজয়ান ভাই, গ্রামে-গঞ্জে এই সব আগে ঘটত।
হ্যাঁ মাছ ধরার কাহিনী শুনেছি।
জিসান শা ইকরাম
সোনেলায় এমন সব গল্প আসা আরম্ভ করলে মানুষ সোনেলাকেই আবার ভয় পেতে আরম্ব না করে 🙂
এমন ডাক যদিও আমি কখনো শুনি নাই, তবে এমন কাহিনী শুনেছি মানুষের কাছে।
ভাল হয়েছে লেখা।
মোঃ মজিবর রহমান
সোনেলায় আছে বন্ধনের বন্ধন
সোনেলায় আছে মায়া-মমতা সন্ধি
জুড়ে দেবে মন যোগান চুক্তি।
শুভেচ্ছা রইল ।
তৌহিদ
এরকম সত্যিই হয় ভাইয়া। আমিও দেখেছি। অথচ খেয়াল হলে দেখি কিছুই নেই। খুব ভয় পাই তখন।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যাঁ ভাই, ঘটে সচাচর। সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করা লাগে।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমিও শুনেছি এমন নাকি হয়! মজিবর ভাই কি শোনালেন, ভয় পাচ্ছি।
মোঃ মজিবর রহমান
না দিদি ভয়ের কোন কারন নেয়, সাহস দরকার। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
নতুন বছরের শুভেচ্ছা মজিবর ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
আপনাকেউ শুভেচ্ছা রইল।
ভাল থাকুন।