জীনভুতের ডাক।

মোঃ মজিবর রহমান ২২ ডিসেম্বর ২০১৮, শনিবার, ০১:৫২:২০অপরাহ্ন গল্প ২৩ মন্তব্য

রাত বিরাতে ভ্রমণ পিপাসুরা রাতের আধার অন্ধকারে বিদঘুটে রাতের তারার প্রজ্বলন চক্ষুমাঝে আসীন। অন্ধকার রজনীতে দুর্গম গাছগাছালিতে বেষ্টিত জঙ্গলে গাছের আড়ালে লুকোচুরি দারুন জমে। আর যারা রাতের মাঝে ঘুরে জিবনের অনেক অলিগলি অবলোকন।

এক রাতের কাহিনী । এক গ্রাম্য ব্যাবসায়ী হাটে বেচাকর্ম করে বাড়ি ফেরা। হাটে ব্যাবসায়ী বন্ধুদের সহিত আড্ডা দিয়ে,  রাত আনুমানিক ১০ টা। নদীর তীর ধরে পথচলা। নদীর ধারে যাওয়ার কিছুক্ষন পরে নাম ধরে ডাকে এই আকবর আমার সাথে আয়। এই আকবর আমার সাথে আয়। কয়েকবার ডাকার পর শুনে এদিক অদিক তাকাই কিন্তু কাউকে দেখতে পায়না, আকবর আবার চলা। আবার ডাক আসে এই আকবর আমার সাথে আয়।! কিন্তু এবার ভ্রুকুচকে খেয়াল করে নদীর মাঝ থেকে ডাক আসে। তীব্র শীতের রজনী।  শীতের কাপুনি আর জড়সড় চলা আবার নদীর মধ্যখান হতে ডাকা, ভয় পায়। অজানা ভয় কাজ করে  শরীরে।  আর ডাকের কন্ঠ তারই পরিচিত এক বড় ভাইয়ের।

ডাক শুনে তাঁর পিছু নেয় আকবর। নদী পাশ দিয়ে অন্ধকার জনমানবহীন রাস্তায় হাটে আবার দাঁড়ায়। ভাবে কি করবে?  তাঁর সাথে যাবে না একা যাবে! কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে মনের আকাশে ভুত-পেত্নীর ভয়ে ডরায়।

আবার ডাক! এই আকবর আয় না! আমার সাথে আয়! ডাকার শব্দ অদ্ভুত!গাঁ ছমছম শীতে হিম হিম ঠান্ডা হতে থাকে, অদ্ভুতভুতুড়ে! ঘন জমাট অন্ধকার। ডাকার ভংগিমা বদলিয়েছে। এই আসিস না কেন, আয়? আকবর ভড়্গিয়ে যায়! শিউরে উঠে! ডাকার শব্দে।  কি করবে? যাবে কি যাবেনা দোটানায় ভাবতে থাকে।  শীতে শীত না প্রচন্ড ঘামে যাচ্ছে, ভাবনায়  কিংকর্তব্যবিমূড়। কি হবে। আবার ডাক এবার বার বার ডাকছে! ডাকার ভয়ে এবার রাস্তা হতে নিচে নামার ইচ্ছে করে। একবার নামতে যায় আবার থামে। আবার উঠে আসে। একদম ফেলে তো আবার একদম ফিরে আসে। আবার যায়। ডাক পড়ে এই আকবর আয়। এভাবে প্রায় আধা ঘন্টা চলে যায়।

ভাবতে ভাবতে তাঁর চেতনা ফিরে আসে যে এবং মানুসিক ভাবে পক্ত হয় যে তাঁর বাড়ি ফিরতে নদি পার হতে হবেনা।

জনশ্রুতি আছে যে এইরকম পরিস্থিতিতে যদি পানিতে নামে তবে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

0 Shares

২৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ