অঝোর-বৃষ্টি শুয়ে আছে গা-এলিয়ে দীঘল-চুলে, মৃদু হেসে,
বৃষ্টি চাঁদরে গা মুড়িয়ে, মেঘেদের ঘন আস্তরণে;
আমি আজ কোথাও যাব না/যাচ্ছি না, আমাকে ছেড়ে;
কেউ যদি আজ বলত, এখন এই মুহূর্ত থেকে প্রতি ক্ষণে ক্ষণে একটি করে কবিতা/কোবতে লিখে দিতে হবে, তা কবিতা বা কোবতে যাই হোক না কেন, লিখে দিলেই হবে না শুধু, পড়েও শোনাতে হবে টেনেটেনে, শুধু শোনালেই হবে না, বুঝিয়েও দিতে হবে হরেক রকম করে!যত্ন-আত্তি করে অনেক;
ময়ূর-ডানায় চোখ রাখা যাবে না,
বৃষ্টি-নামা চোখে চোখ ও না
তারার আকাশ, সফেদ জ্যোৎস্না! তা-ও না,
কবিতা নাম্নী উজ্জ্বলন্ত চোখ উপেক্ষা করা চলবে
মুখ ভ্যাংচানো জারি থাকবে;
চিড়ল-দাঁতে নখ কাটতে কাটতে প্রবল-বিষণ্ণ-উপেক্ষার ভান করে
নিঃশ্বাস দূরত্বে থেকে আমাকে পড়ে ফেলবে,
পর্দানিশী ছলনা-পারদর্শী, নখরের হিংস্র শত্রু-স্বভাব এড়িয়ে!!
এই-যে হুট করে আসা, গুট-গুট করে ডুবে যাওয়া,
নিয়ম-ও-অ-নিয়ম টপকে হাওয়া হয়ে হওয়ায়-ও মিলিয়ে যাওয়া,
সব-ই-হয়, অজুহাতের গা-বেয়ে, বেড়া-গলে, অসুস্থ-সুস্থতাতে,
মন্দ লাগে-না, বেলা-অবেলায়, একরাশ-একাকার বৃষ্টিতে!!
১৬টি মন্তব্য
মায়াবতী
এই যে হুট করে আসা, গুট গুট করে ডুবে যাওয়া !!!!! বাহ কি অদ্ভুত কথা গুলো ! এই কথা গুলো যেন আমার কিন্ত আপনি লিখে ফেললেন ! দারূন হয়েছে ভাইয়া, কোবতে দারূণ লিখেন আপনি ।
ছাইরাছ হেলাল
কথা নেয়া নেয়াই আমরা করি-ই।
আমার না বলা কোথাও আপনি-ই হয়ত বলে ফেলবেন!!
যাক, অবশেষে কোবতের প্রশংসা পেয়ে আনন্দিত হলাম।
শুন্য শুন্যালয়
এলাম কিন্তু। একটু সময় চাই। যত্ন-আত্মি করে বুঝিয়ে দিতে হবেনা। এমন মন্তব্য দিব যে, আপনি কি কবিতা লিখেছিলেন তাই-ই ভুলে যাবেন। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এসেই যেনতেন ভাবে ভয় দেখাতে চাচ্ছেন, তা কিন্তু ঠিক না!
সময়!! ব্যাপারনা কোন, তবে ‘সময়’ নিয়ে একটি সিরিজ করার চেষ্টায় রত আছি, খান কয়েক নামিয়েছি,
আর আধা সিকি আনি দো-আনি ও আছে, দেখি কতটুকু কোন দিকে গড়ায়! তবে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ক্রমাগত লিখে যাওয়া
কঠিন, অবশ্য এ শর্মা ‘ছোড়েগা নেহি’ পার্টি!!
জিসান শা ইকরাম
-বৃষ্টি শুয়ে বৃষ্টি চাঁদরে গা মুড়িয়ে!
বৃষ্টির মনে হয় হাত পা চুল চোখ আছে? 🙂
সব দরকার নাই, কিছু কিছু কবিতার ব্যাখ্যা দিয়েন, যা মাথার উপ্রে দিয়া যাইতারে।
ছাইরাছ হেলাল
লেখকের ব্যাখ্যায় যাচ্ছি না, সেটি বেশ জটিল, আপাত-নিরীহ-দর্শন মনে হলেও তা মোটেই না,
তবে পাঠক হয়ে একটি সহজ আলোচনায় যাচ্ছি।
আমরা যে বৃষ্টি দেখি ‘জল-বৃষ্টি’ তার নারী রূপ এই দীঘল- কেশি বৃষ্টি।
লেখক তার জন্যই অপেক্ষা করছিল, লেখক ও এই বৃষ্টি কখনো একীভূত হয়ে যাচ্ছে।
এখানে সে লেখককে নানারূপ শর্ত দিচ্ছে, অবশ্যই তা মেনেও নিচ্ছে লেখক…………
তাদের দুজনের আবার একি পছন্দ এই বর্ষা।
শেষে বলা হচ্ছে, আমরা বৃষ্টির সে আশা-যাওয়া দেখি বা বিভিন্ন রূপ এটির নিয়ন্ত্রক বিধাতা………
জিসান শা ইকরাম
বুঝলাম পুরোটা, প্রথম পড়ার পরে এত ভাল ভাবেই বুঝিনি।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক আছে তাহলে।
মৌনতা রিতু
নিজেকে ছেড়ে না যাওয়াটাই ভালো। পড়ে থাক সবকিছু তার মতো করে।
একাকিই সবকিছু ভালো।
কবিতায় ভালো লাগা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
একাকী কৈ!!
আমি তো দোকাকী দেখছি!!
হাড়-কেপ্পন মনে হচ্ছে।
ভাল থাকুন আপনিও।
আগুন রঙের শিমুল
কেউ যদি আজ বলত –
চিড়ল দাতে নখ কাটতে কাটতে,
আজ আমি আর কোথাও যাচ্ছি না।
ময়ুরডানায় চোখ রাখা যাবেনা,
এই হুট করে আসা, গুটগুট ডুবে যাওয়া –
মন্দ লাগেনা, মন্দ লাগেনা ..আনন্দমঃ আনন্দমঃ এমন গহন বৃষ্টিতে
দেশে বর্ষা চলে নাকি?
ছাইরাছ হেলাল
হুম,
ক্ষণে ক্ষণে চলছে তো চলছেই।
আনন্দ বৃষ্টি, আনন্দের বৃষ্টি।
অনেক দিন বাদে দেখে ভাল লাগল।
নীলাঞ্জনা নীলা
বৃষ্টিকাব্য!
আসবো বিদ্যুতের মতো, মন্তব্যের বর্ষায় এমন বন্যা হবে, দোষ দিতে পারবেন না। কিছুটা ব্যস্ত আছি। তবে প্রতিদিন ব্লগে এসে পড়ি ঠিকই।
ছাইরাছ হেলাল
আগে কাজ, সাথে বিদ্যুৎ চালু থাকুক।
কুন দুষ দেব না, এসে ডুবিয়ে-চুবিয়া মেলে ফেলুন!!
নীলাঞ্জনা নীলা
বৃষ্টি নিয়ে পড়েছেন। খুবই ভালো কথা। তা এবারে বলুন বৃষ্টির বাড়ী কই? ছবিটবি দ্যান।
ছাইরাছ হেলাল
ছবিতো দেয়াই আছে!
বৃষ্টির বাড়ী আপনার চুলের দীঘলে!