এই যে বাঁচতে বাঁচতে আবার জেগে ওঠা
ভালোবেসে ভালবাসতে পারা
জলজ-বসন্তে গা-এলিয়ে দিয়ে ভিজে যাওয়া
কেউ-কেউ পারে, সবাই কিন্তু না;
শুকিয়ে যাওয়া জল-স্রোতে পদ্মপাতার হাতছানি
ছল-ছল জল-জল জল-স্রোতের পদধ্বনি,
উষ্ণতার উষ্ণতায় ফিরে ফিরে এই-যে আসি
কবিতার কবিতায় বাধাহীন জলরাশি
ভালবাসে ভালোবাসি।
তোমার ঠোঁট ছোঁয়নি বলে
নাম-জানা-না-জানা শব্দেরা আজ অভিশপ্ত,
তরঙ্গ-ছবিতে ঝুলে থাকে শব্দানুভব
ধনুকের টান-টান ছিলায়,
জীবন্ত-শব্দের একান্ত নিজস্ব আনন্দ-উচ্চারণে
জমাট-বাঁধা শব্দেরা হাঁটে, হাঁটে ঠোঁট-কেন্দ্রিকতায়,
নিশ্চুপ শব্দেরা সশব্দে হেসে ওঠে, খট-খটিয়ে;
চন্দন-ঘামের মুক্তোদানায় মুখ গুঁজে শব্দেরা এবার
জেগে-জেগে ঘুমুবে, উত্তল-উপত্যকার উপবনে,
সকল বৈরিতার মধুর অবসানে!!
এই-যে,
ঠোঁটের বনবিড়ালিনী, লোনা-সোহাগে-লেহনে
বহু সাধ-সাধ্যের শব্দ-জড়াও শব্দ-ছড়াও,
দুঁদে অদুর্গম বনে, শিষ-তোলা নিশুতি রাতে!!
১৮টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো অনুনয়, তারপরে কি হয়েছিলো? বনবিড়ালিনী কি শব্দ ছড়িয়ে ছিলো? যাক ওদিকে মন না দিই। প্রথম স্তবকে যাই। হুম কেউ কেউ পারে, সবাই পারেনা। যেমন এমন কবিতা সবাইকে দিয়ে হয়না।
দ্বিতীয় স্তবক – এখানে ভালবাসা-ভালবাসির মধ্যে দিয়ে যেভাবে সুর-তাল-লয়ের খেলা দেখলাম, কি আর বলবো!
তৃতীয় স্তবক – শব্দগুলোকে ঠোঁট ছুঁয়ে দিলেই সব সমস্যার সমাধান।
এতোকিছুর পর আমি কি বলবো? আমার মতো করেই বলি,
রাত্রি জড়াও তুমি অন্ধকার, বলে উঠলেন একজন কবি।
তখন সন্ধ্যারাতে বাতাসের দাপটে মেঘেদের ওড়াওড়ি চলছে,
কথা বলাবলি, কানাকানি, ফিসফিস, শব্দের কতো না বিভঙ্গ!
হঠাৎ ওখানেই, যার ঠোঁট ধনুকের মতো
সে জানতে চাইলো, আর কি চাই কবি?
শব্দবৃক্ষবীজ এই যে পুতে দিলাম এখানে অক্ষরের জমিনে। 😀
ছাইরাছ হেলাল
প্রথম…… সবাই এমন করে মন্তব্য করতে পারে-না।
দ্বিতীয়……ভালোবাসা-ই একমাত্র সত্য, বাকী সব ভুয়া, ইট্টু কিছু কইয়ালান।
তৃতীয়……ঠোঁট খুবই মূল্যবান, আদরে-উচ্চারণে-আহারে!!
বুঝছি আর এক খানা খত লিখতে হবে।
কাল পাবেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
আর এক খানা খত মানে? চিঠি? আর একটা চিঠি যোগ যে করতে যাচ্ছেন, প্রথম খানা তাইলে কই? আর কারে লিখলেন? মাথা-মুথা আউলাইয়া যাইতেছে। ^:^
কাল পামু? কি পামু? খত? ;?
ছাইরাছ হেলাল
এত লাফাইলে হপে না,
বলছি উত্তর দিতে গেলে তো পোষ্ট হয়ে যায়,
কিছু একটা লিখে-ফিকে দেয়ার কথা বলছি।
চিডি আর কারে দিমু, দুইন্নাইডা মরুভূমি হই গেছে,
দেখছেন না, বিশ্ব-জলবায়ু সম্মেলন হচ্ছে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আচ্ছা দেখি কেমন পোষ্টো দ্যান।
অতো কষ্ট করলাম আর আপ্নে কিনা কইলেন কিছু একটা লিখ-ফিকে মানে পাত্তাই দিলেন না?
ঠিক আছে দেখা যাইবোনে! এক বৈশাখেই খালি কালবোশেখি হয়না। বুজছেন?
ছাইরাছ হেলাল
রোজ কালবোশেখি হোক তা-ই চাই,
লণ্ড-ভণ্ড হয়ে যাক সব।
নীলাঞ্জনা নীলা
কি স্বার্থপর মানুষ রে ভাই!
কালবোশেখি হলে গরীব কৃষক গো কি অবস্থা হইবো!
ছাইরাছ হেলাল
নিজে বাঁচলে অন্যের নাম!!
মৌনতা রিতু
বাঁচতে চাই বলেই ভালবেসে ফেলি আবারো,
স্বপ্নে ঝিমোই রাত দিন।
রাত্রির নির্জনে বই এর পাতায় ভেসে ওঠে সেই সব কিছু শব্দ,” বড় বেশি চাচ্ছি তোমায়।”
সে ঘুমায় ঘুমিয়ে পড়ে। কিছু সেই মুক্ত ঘাম ঝরার ক্লান্তিতে।
আমি জেগে থাকি, বই এর পাতায়।
রাতের নির্জনে যে পাখি ডেকে যায়, তাকেও বলি,” একটু বসে যাও।”
সেও বলে,” তাড়া আছে, মেঘেদের বলো ছুঁয়ে যাক তোমায়।”
আমি জাগি ভোর হয়,
আপনার কবিতা এ অধকেও লিখিয়ে নিল।
দারুন হয়েছে কিন্তু।
ছাইরাছ হেলাল
বাহ, বাহ,
আর একটু বাড়িয়ে পোষ্ট দিয়ে ফেলুন,
জেগে থাকুক জেগে জেগে
কথা বলুন রাতের সাথে
একাকী বসে বসে!!
ইঞ্জা
কি বলবো যদি কবি ছুঁয়ে যায় মন, বেশ কাব্যিক উপস্থাপনায় মুগ্ধ আমি।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।
ইঞ্জা
আপনাকেও শুভেচ্ছা ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা।
মিষ্টি জিন
প্রহেলিকা কই,আমাকে কয়টা শব্দ দেন তো পিলিজ লাগে।
এত চমৎকার কবিতায় আমার সোজা সাপটা শব্দ দিয়ে মন্তব্য করা যাবে না।
ঠোঁটের বনবিডালিনী জন্য শুভ কামনা
😀 সাথে আপনাকেও।
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষা করে দেখুন কেউ উদ্ধারে এগোয় কী না!!
একটি না হয় ত্যাড়া-ব্যাকা মন্তব্যই দিয়ে দেবেন, দ্যান দ্যান, কিছু একটি কইয়া ফ্যালান।
বিড়ালিনী আপনার চেনা নাকি!!
মিষ্টি জিন
জংলি বিলাই পুছুন্দ করি না। তাই আমার অচেনা। ও আপনারই থাক। :D)
ছাইরাছ হেলাল
থাকুক আমার-ই,
আপনি পোষা-বিড়াল ভাল করে পুষুন!!