স্বাধীনতা লাভের ৪৪ বছর পরেও বাঙালী জাতির অস্তিত্ব নিয়ে, শহীদদের সংখ্যা নিয়ে আজ প্রশ্ন উঠে! কি বিচিত্র এই দেশ!! বিচিত্র এ দেশের মানুষ!!!
আর এই প্রশ্ন উঠাচ্ছে এদেশে মুখোশ এঁটে লুকিয়ে থাকা কিছু খাস পাকিস্তানি মানসিকতা লালনকারী জনতা। উইপোকার মতো করে এরা মুখোশের আড়ালে থেকে বাংলাদেশে বাস করে বাংলাদেশ বিরোধী কাজ করে গেছে এতোদিন। বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে প্রজন্মের উর্বর মস্তিষ্কে বিষ ঢুকিয়ে একটা অস্থির প্রজন্মের জন্ম দিয়েছে। অন্তরে পাকি মানসিকতা লালন করে স্বাধীন বাংলাদেশে ‘বাঙালী‘ পরিচয় ধারণ করে গোপন মিশনে নেমে এরাই এতকাল প্রশাসনের সর্বত্র ঘাঁটি গাড়তে নিজেদের লোকদের আসন পোক্ত করেছে। দিনেদিনে এদের আস্ফালন কেবল বেড়েই চলেছে। অন্তরে পাকি প্রেম, প্রকাশ্যে বাঙালিত্ব এমনটা কিছুতেই সহনীয় নয়! এতোদিন এরা মুখোশ এঁটে গোপনে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করে এসেছে, এখন এরাই প্রকাশ্যে বিরোধিতা করার সাহস দেখাচ্ছে।
পরাজিত শক্তি এমনটা চাইতেই পারে! কিন্তু প্রকাশ্যে সে সাহস তারা দেখাবে এমনটা হতে পারে কি করে!
তাদের আস্ফালনের কিছু নমুনা দেখুন-
১। যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের ছেলে স্পর্ধা দেখায় ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলার।
২। যুদ্ধাপরাধী নিজামী, মুজাহিদের গাড়িতে শহীদের রক্তে রাঙানো লালসবুজ পতাকা উড়ে।
৩। যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদ দম্ভভরে গলাবাজি করে ”কিসের যুদ্ধাপরাধী? এদেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই।”
এই আস্ফালন এতোদিন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যারা প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছিলো, তাদের মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিলো। আমরা তাদের বিচারের কাঠগড়ায়ও দাঁড় করিয়েছি। কিন্তু সময়ের আবর্তে স্পষ্ট হতে শুরু করেছে প্রকাশ্য বিরোধিতাকারী ছাড়াও মুখোশের আড়ালেও কিছু স্বাধীনতা বিরোধী চক্র লুকিয়ে ছিলো, যারা এতোদিন গোপনে বা আড়ালে থেকেই কলকাঠি নেড়েছে। একে একে সকল যুদ্ধাপরাধী ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে শুরু করায় মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা চক্রের চেহারাও উন্মোচিত হতে শুরু করেছে। পাকিস্তান তাদের এদেশীয় দোসরদের বাঁচাতে বিভিন্ন প্রকারের কলকাঠি নাড়তে গিয়ে আর ‘৭১ এর গণহত্যাকে অস্বীকার করে নিজেই ফ্যাসাদে পড়ে যায়। ফলশ্রুতিতে খোদ পাকিস্তানের ১৯৫ পাক সেনার বিচারের প্রসঙ্গ সামনে চলে আসে। ’আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার’ নামের একটি সংগঠন আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে যুদ্ধাপরাধী ১৯৫ জন পাকিস্তানী সেনার প্রতীকী গণবিচারের ঘোষণা দিয়েছে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টিতে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলাই এর উদ্দেশ্যে। অবশেষে চতুর্মুখী ফ্যাসাদে জড়িয়ে পড়া জাল ছিন্ন করতে এখন মুখোশ এঁটে আড়ালে লুকিয়ে থাকারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে নানারকম প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে পুরো মুক্তিযুদ্ধকেই বিতর্কিত করতে।
জাতির সবচেয়ে গর্বের ইতিহাস আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের অহংকার। যা আমাদের পূর্বপূরুষেরা আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমাদের উপহার দিয়ে গেছেন। অনেক ত্যাগ তীতিক্ষার পর দাম দিয়ে কেনা সে গর্বিত ইতিহাসকে ঘিরে কেউ যদি বিভ্রান্তি ছড়ায়, আমরা তা মেনে নিতে পারি না। সময় এসেছে এবার এদেরকে চিহ্নিত করার, আলাদা করার।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে রাঙানো মাটিতে, বীরাঙ্গনাদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীন দেশে মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোকে শ্রদ্ধার সঙ্গে সবাইকে মেনে নিতে হবে। যে বা যারা মেনে নিতে পারবে না, স্বীকার করবে না, এই দেশে রাজনীতি করা তো দূরের কথা, সুনাগরিক হয়ে বেঁচে থাকার অধিকারও তাদের থাকা উচিত নয়। চিহ্নিত পাকি পন্থী হিসাবেই তারা আলাদা পরিচয় বহন করুক। আর যেহেতু মা-মাটির জন্ম ইতিহাসকে তারা সন্মান জানিয়ে সুনাগরিক হওয়ার যোগ্যতা দেখাতে পারবে না, সকল প্রকার নাগরিক অধিকারও তারা সমভাবে ভোগ করার অধিকার তারা রাখে না। আমার দেশে সুনাগরিক হয়ে বেঁচে থাকতে চাইলে শহীদদের রক্তে রাঙানো এদেশের জন্ম ইতিহাসকে স্বীকার করতে হবে। প্রকাশ্যে যে অস্বীকার করবে আইন করে তার জেলে যাওয়া অনিবার্য করে তুলতে হবে।
হয় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকতে হবে, নাহয় বিপক্ষের লোক বলে বিবেচিত হতে হবে। এ ক্ষেত্রে ‘তবে’ ‘কিন্তু’, বলে কোন কথা নেই। যারা ‘তবে’ ‘কিন্তু’ এর আবর্তে দুলতে থাকে বা দোলাতে থাকে বুঝতে হবে এরাই ‘স্বাধীন বাংলাদেশ’ এর গোপন শত্রু। এ ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে মুলত তারা বিরোধিতাকারীদের সহযোগী হিসাবে তাদের অন্যায়কে আচ্ছাদন দিয়ে রাখে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত ইতিহাস যাতে কেউ বিকৃত করতে না পারে, প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে, সে জন্য জার্মানির ‘হলোকস্ট ডিনায়াল’ আইনের আদলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-বিকৃতির বিরুদ্ধে একটি আইন এখন আমাদের সময়ের দাবী। জার্মানিসহ ১৬টি দেশে ‘হলোকস্ট ডিনায়াল ল’ আছে। রীতিমতো সংসদে পাশ করা আইন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির নাজি বাহিনী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যে গণহত্যা চালিয়েছে, তাকে অস্বীকার করার চেষ্টা, এমনকি গণহত্যার তীব্রতা লঘু করে দেখার প্রচেষ্টাও এই আইনে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ল’ এর আওতায় শুধুমাত্র ফান হিসেবে নাৎসিদের ভঙ্গিতে হাত তুলে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার জন্য শাস্তি হয়েছে একজন পর্যটকের। প্রখ্যাত এক লেখকের সাজাও হয়েছে হিটলারের গ্যাস চেম্বারকে অস্বীকার করায়।
অথচ কী আশ্চর্য এই দেশ! স্বাধীনতা লাভের ৪৪ বছর পর এসেও সর্বজনস্বীকৃত মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্ক চলে! যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে সাফাই গাওয়া চলে! এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামী প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। এমনিতেই বিভ্রান্তির যাঁতাকলে পড়ে অলরেডি একটি অস্থির প্রজন্ম এখনো দ্বিধা-দ্বন্দ্বের দোলায় দোলায়িত। স্বাধীনতা লাভের ৪৪ বছর পর অনেক মুক্তিযোদ্ধাই এখন হারিয়ে গেছেন। হারিয়ে যাচ্ছেন শহীদ জায়ারাও। কিছু মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা ও শহীদজায়া এখনো প্রদীপের আলো হয়ে বেঁচে আছেন। একসময় তাঁরাও হারিয়ে যাবেন। জীবন্ত সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউই একসময় থাকবেন না। তখন মিথ্যাবাদীদের হাত থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সুরক্ষা করবে কে? কাজেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করতে ‘জেনোসাইড ডিনায়াল’ (Genocide Denial) আইন করাটা এখন সময়ের দাবী। খুব বেশি জরুরী হয়ে উঠেছে। হলোকাস্টের ইতিহাস অবিকৃত রাখতে ইউরোপের দেশে দেশে যদি আইন থাকতে পারে, সে আইনে বাঘা বাঘা ব্যক্তিদের শাস্তি হতে পারে, খোদ জাতিসংঘ যদি ইতিহাস-বিকৃতির বিরুদ্ধে প্রস্তাব নিতে পারে, তাহলে বাংলাদেশ কেন সেই সুযোগগুলো নেবে না?
এই আইন প্রতিষ্ঠিত হলে বিরোধিতাকারী, সে রাজাকারের বংশধর হোক বা নব্য রাজাকারই হোক অথবা ইনিযে বিনিয়ে সাফাইকারী হোক কিংবা অতি-নিরপেক্ষ মিডিয়া বা সুশীলই হোক তারা জবাবদিহিতার আওতায় আসবে। ইতিহাসের সত্য অস্বীকার কিংবা বিকৃত করার চেষ্টাকারী শাস্তি পাবে।
সময় এসেছে এবার ‘জেনোসাইড ডিনায়াল ল’ পাশের দাবীতে জেগে উঠো জনতা! সুরাহা হোক অযথা বিতর্কের।
আজকের দিনে এসে এই দাবিটা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধের অহংকারকে টিকিয়ে রাখতে গেলে তা আমলে নেয়া অত্যন্ত জরুরী।
গতকাল মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে এই স্বাধীন দেশের তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এক মন্তব্য করেছেন। তাঁর এই মন্তব্য আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের উপর চপেটাঘাত স্বরূপ। খালেদা জিয়ার এই ন্যাক্কারজনক মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করছি।
২৬টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
আপনার পোষ্টের সাথে সহমত।
পরাজিত শক্তির আস্ফালন সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে
একটি দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেশ সৃষ্টি সময়ের মীমাংসিত বিষয় নিয় প্রশ্ন তুলতে পারেন,তা ভাবাই যায় না।
হতাশা এখানেই যে এই নেত্রীকে দেশের মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে।
অত্যন্ত ভালো এবং সময়যোগী পোষ্ট দিয়েছেন
ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাবতে ভালো লাগছে যে,সোনেলার একজন ব্লগার এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত আছেন
আমরা গর্বিত আপনার জন্য।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
এটাই বাঙালীর দুর্ভাগ্য যে, স্বাধীন দেশে বাঙালী যার হাতে তিনবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলো সেই আজ এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
পাশাপাশি এটাও এখন দিবালোকের স্পষ্ট তিনি মননে-মস্তিষ্কে সর্বান্তকরণে পাকিপন্থী।
খুব বেশি জরুরী হয়ে পড়েছে ‘জেনোসাইড ডিনায়াল ল’টা।
তানজির খান
খুব জরুরী এটা হওয়া।মুক্তিযুদ্ধের ফিল্টারে যে উতরাবে না তাদের রাজনীতি করার অধিকার রহিত করতে হবে একই সাথে। গতকাল থেকেই মাথা টংটং করছে। এর একটা জবার দিতেই হবে। বাংলার ্মির্জাফর, ঘসেটি বেগমদের সমুদ্রে নিক্ষেপ করতে হবে।
খুব ভাল লেখা। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি লেখা পড়বার সুযোগ করে দেবার জন্য।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
এখনই সময়, সবাই মিলে আওয়াজ তুলতে হবে। আইনের মাধ্যমে এদের বাগাড়ম্বর রোধ করতে হবে।
প্রতিটা দেশপ্রেমিক বাঙালীর দুর্বল জায়গা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধকে ঘিরে শহীদরা, মুক্তিযোদ্ধারা, বীরাঙ্গনারা। বাঙালীর এই দুর্বল জায়গায় যারা আঘাত করবে তাদের অবশ্যই আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
ধন্যবাদ।
ভোরের শিশির
Genocider Denial Act নিয়ে আগেও সরব হয়েছিল। হঠাত কেন স্থিমিত হলো জানি না। তবে এটা হতেই হবে এবং হবেই এইটুক আমি বিশ্বাস করি ও জানি।
আর খা.জি. যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে সরকার নিজেই আনুষ্ঠানিকভাবে পদক্ষেপ নিতে পারে মুক্তিযুদ্ধের অবমাননাকারী হিসেবে যিনি এক সময় এই দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
দেখা যাক কোথাকার পানি কোথায় যায় এবং এই আইন হতেই হবে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
বড় কষ্ট লাগে এমন মানুষও এই জাতিকে এতোদিন নেতৃত্ব দিয়েছে, দিচ্ছে। দেশের জন্ম ইতিহাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মতো মানসিকতা লালনকারী মানুষ হয়েও এদেশে ক্ষমতার শীর্ষতম স্থানে অধিষ্ঠিত হয়। যাদের আত্মত্যাগে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম তাদের সংখ্যা নিয়ে দ্বিধা প্রকাশকারী হয়েও দেশ পরিচালনার সুযোগ পায়!
কবে যে বাঙালী আপাদমস্তক বাঙালী হবে!
আইন তো হতেই হবে।
ভোরের শিশির
কতটুকু কি হবে সে এখনো জানি না তবে এইটুক বুঝি যদি আমরা একেবারেই বিবেক বর্জিত হয়ে যাই তবেই সেই কীটগুলো আবার দেশের পরিচালনায় আসবে।
আমি আনন্দিত এই ভেবে যে ওদের মুখের এইসব কথাতেই ওরা চিনিয়ে যাচ্ছে এই সময়ের জেগে অঠা মানুষগুলোকে যে ওরা আদতে কি। আমরা নিজেদের ইতিহাসকে এখনো সম্পুর্ণভাবে ধারণ করতে পারিনি, হয়তো লজ্জা তবুও ওদের আসল চেহারাই আমাদের নতুন যারা তাঁদের পথ দেখাবে সোনার বাংলার।
-{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ঠিক বলেছেন। ওরা নিজেরাই নিজেদের চিনিয়ে দিচ্ছে এই প্রজন্মের কাছে। তখনই একটা কথা চলে আসে সত্য কখনোই আড়াল করে রাখা যায় না। সত্য সূর্যালোলের মতো উজ্জ্বল।
একটা সুখবর দেই আপনাকে। আজ সকালেই পত্রিকায় দেখলাম। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বক্তব্য বন্ধে আইনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
এবার তা যাতে মাঝপথে থেমে না যায়, সেজন্যে সরব থাকতে হবে।
ভোরের শিশির
আমি অনেকদিন পত্রিকা, টিভিতে খবর দেখি না। আস্থা নেই ওদের উপর। ওরা সেটাই প্রকাশ করে, সেটাই দেখায় যা দেখালে ওদের কাটতি বাড়বে। আপনি খবরটি দেওয়ায় বড়দিনের উপহার হিসেবেই নিলাম। 😀
একটা দিন আসবে বলে আমি বিশ্বাস রাখি যেদিন থেকে মুক্তিযোদ্ধা জানার সাথে সাথে বাসে, ট্রেন, হোতেলে কিংবা যে কোনখানেই সবাই আসন ছেড়ে দিবে, মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বনিম্ন খরচে সর্বাত্মক সুযোগ সুবিধে দেওয়া হবে।
আমি বিশ্বাস রাখি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী বা সন্দেহ পোষণকারীদের সরাসরি আইনের সাথেই সাজা মেনে নিতে হবে। এটাই হবে সোনার বাংলা।
😀 😀 😀 -{@
ছাইরাছ হেলাল
যেখানে আমাদের শুনতে হয়েছে এ দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি সেখানে এ আর এমন কী!!!
স্বাধীনতার এত বছর পর এ কিসের আলামত?
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ঘুমিয়ে ছিলাম, ভালো ছিলাম, উঠে দেখি বেলা নাই। বাঙালীর এখন এই অবস্থা।
৭৫ -৯০ এর খেসারত গুনতে হচ্ছে জাতিকে।
অনিকেত নন্দিনী
মহান মুক্তিযুদ্ধের বিপরীতে অবস্থান নেয়া মুখোশ আঁটা কোনো শক্তিই যেনো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করতে না পারে তা নিশ্চিত করাটা এখন সময়ের দাবী।
আমরা পারিও বটে! এই কষ্টার্জিত স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নেয়া ব্যক্তিত্বকেই কিনা লক্ষ লক্ষ ভোটে জিতিয়ে দিয়ে তার গাড়িতে পতাকা লাগাবার সুযোগ করে দেই।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আমাদের নির্বোধ এবং চিন্তা চেতনাহীন সাপোর্টই ওদেরকে এতোদূর টেনে নিয়ে এসেছে। শত্রুপক্ষীয় লোক হয়ে কেউ রাজনীতি করতে পারে অন্যান্য দেশে তা ভাবাই সম্ভব নয়, অথচ সব সম্ভবের দেশ এই বাংলাদেশে ইনি রাজনীতিই কেবল নয় রীতিমতো তিনবার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালনও করেন।
বারবার ভুল বলে যাচ্ছি। তিনবার নয়, ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনকে ধরলে সোয়া দুইবার বলা যেতে পারে।
এদের প্রতিহত করার জন্যই ‘জেনোসাইড ডেনিয়াল ল’টা জরুরী।
ব্লগার সজীব
আমাদের দেশে অতি দ্রুত এই আইন প্রবর্তন জরুরী হয়ে পরেছে।আপু সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আপনার সচেতনতা দেখে ভালো লাগে খুবই।
এত ভালো আর গুরুত্বপূর্ণ লেখায় যা স্টিকি করা হলো,তাতে ব্লগারদের উপস্থিতি নেই।যে সাইটটিতে ব্লগারগন লেখেন সেই সাইটের নির্বাচিত পোষ্টে যে অংশ নিতে হয়,এই বিবেক পর্যন্ত নেই এদের।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
সমসাময়িক ব্যাপারগুলো যখন আঁতে ঘা দেয় তখন মনটা ককিয়ে উঠে। মাঝেমধ্যে কোন কোন লিখা দায়বদ্ধতা থেকে চলে আসে।
স্টিকি ব্যাপারটা সবাই বুঝতে পারে না হয়তো।
তবে এসব দেশ ও জাতির স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে সকলের একাত্ম হওয়া উচিৎ। সম্মিলিত আওয়াজ তোলা জরুরী।
মোঃ মজিবর রহমান
এই অপশক্তি বংগবন্ধু খুনের পরই শুরু কিংবা পূর্বে। কিন্তু এই আইন করতে বিলম্ব না করাই উত্তম। আর ের জন্য সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে
অগ্রগামী হয়াটা বড়ই প্রয়োজন।
তাঁদের দম্ভ অনেক বেড়ে গিয়াছে সময়মত বিষদাঁত ভাংতে না পারলে ভবিষ্যৎ ভাল না মুক্তিযুধ্বের পক্ষের জনসাধারনের জন্য।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ঠিক, সময়মত বিষদাঁত ভেঙে ফেলতে হবে।
সেজন্য ঐক্য জরুরী। ঐক্যই আওয়াজ তুলবে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের ছেলে স্পর্ধা দেখায় ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলার।
২। যুদ্ধাপরাধী নিজামী, মুজাহিদের গাড়িতে শহীদের রক্তে রাঙানো লালসবুজ পতাকা উড়ে।
৩। যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদ দম্ভভরে গলাবাজি করে ”কিসের যুদ্ধাপরাধী? এদেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই। (y)
এ সব নরপিচাসদের নাগরিকত্ব বাতিল করা উচিত -{@
মারজানা ফেরদৌস রুবা
নাগরিকত্ব বাতিল নয়, এদের আলাদা পরিচয়ে সনাক্ত করা হোক। যে পরিচয়পত্র ব্যবহারে তাদের ভোটাধিকার থাকবে না, স্বাভাবিক নাগরিকদের মতো দেশ-জাতি প্রশ্নে নাক গলানোর সুযোগ থাকবে না। এমনিতেই তো এরা জাতিয় দিনগুলোকে স্বীকার করে না। তো, ওদের ইচ্ছাকেই ওদের জন্য সরকারী নিয়মে ফায়সালা দেয়া হোক।
এদেশের জন্মের সাথে বেঈমানি করে এরা এদেশে স্বাভাবিক জীবন যাপন করলে বাংলা মায়ের ঋণ আমরা কোনদিনও শোধ করতে পারবো না।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
-{@ (y)
শুভ মালাকার
*** ‘জেনোসাইড ডিনায়াল ল’ পাশের দাবীতে জেগে উঠো জনতা! সুরাহা হোক অযথা বিতর্কের।
দেশ ও জাতির সার্থে অবশ্যই এই “ল” পাশ হওয়া চাই।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আজকের পত্রিকার খবরঃ মুক্তিযুদ্ধবিরোধী বক্তব্য বন্ধে আইনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
“যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলবে, যারা শহীদদের বিরুদ্ধে কথা বলবে; যারা একাত্তরের অত্যাচার অবিচারকারী, খুনি, গণহত্যাকারীদের পক্ষে কথা বলবে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এই আইনটা করা হবে ইনশাল্লাহ।”
—- সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক
নীলাঞ্জনা নীলা
“‘জেনোসাইড ডিনায়াল ল’ পাসের দাবীতে জেগে উঠো জনতা! সুরাহা হোক অযথা বিতর্কের।”
আপনার মতের সাথে একমত। চাই এবং তা বীরাঙ্গনা এবং শহীদদের জায়ারা বেঁচে থাকতেই। খুব তাড়াতাড়ি-ই চাই।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হ্যাঁ, সীমালঙ্ঘন করে যেসব কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে, খুব দ্রুতই এ আইনটি পাস হওয়া উচিৎ। আমি এই আইনটি পাশের সাথে সাথে মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের আলাদা শনাক্তকরণেরও ব্যবস্থা হোক, তাই চাই।
তা না হলে এদের কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না। শাস্তি তো আইনগত বিষয়, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয়ভাবেও আলাদা পরিচয় থাকা উচিৎ।
ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
আপু কি বলবো? এ জানি, আজ যদি এ সরকার নেমে যায়, আবার এই হঠকারীরা হর্তাকর্তা হয়ে বসবে, দেখেছি তো এমনই। ল এবং সাথে সাথে তার পূর্ন বাস্তবায়ন দেখতে চাই, অবশ্যই চাই।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
পূর্ন বাস্তবায়ন দেখতে গেলে সরকারপ্রধানকে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও সহযোগিতা চালিয়ে যেতে হবে। কারন সরকারের ভেতরেই ঘাপটি মেরে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কিছু লোক নব্য মোস্তাকবাহিনীর সহায়তায় লুকিয়ে বসে আছে। আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও সহযোগিতা সরকারপ্রধানের হাতকে শক্তিশালী করবে।
ভালো কথা, আগামী বৃহশপতিবার ‘ব্লগার’ নামকরণে যাদের হত্যা করা হয়েছে, তাদের রায় হবে। দ্রুতবিচার আইনেই তা হচ্ছে।