আপনারা মোটামুটি সবাই, ধরে নিচ্ছি সবাই অবগত আছেন পহেলা বৈশাখে সোহরাওয়ার্দীর গেটে ৩০/৩৫ জনের একটা দল সন্ধ্যায় কয়েকজন নারীকে বিবস্ত্র করে ফেলেছিল । নারীদের আর্তচিৎকার যাতে শোনা না যায় তার জন্য উচ্চস্বরে ভুভুজেলা বাজাইছে। ঘটনার তারা ভিডিও করছে। নারীদেরকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লিটন নন্দীর হাত ভেঙ্গে দিছে তারা। তার আগে লিটন নন্দী সহ ছাত্র ইউনিয়নের কয়েকজন একজন বিবস্ত্র নারীকে নিজের পাঞ্জাবি পরিয়ে দিছেন লজ্জা ঢাকতে। দূর্বিত্তদের কয়েকজনকে পুলিশে দেওয়ার পরও পুলিশ তাদের ছেড়ে দিছে।
আচ্ছা ভারত আমাদের দূর্ণিতী করে বিশ্বকাপ থেকে হারানো র পর কতজন ভারতকে গালি দিয়ে দেশ প্রেমিক সেজেছিলেন ?
অন্যের সমালোচনা করার আগে নিজে সভ্য হোন । এখন কোথায় আপনার দেশত্ববোধ ?????!!!!!!!!!!!!!
পাকিস্তানিদের অত্যাচারের কথা বলতে আপনার কি বোর্ড থেকে আগুন ঝরে । এখন চুপ কেন ? ভারতীয় পাকিস্তানি ওরা তো বিদেশী । আপনারা নিজের দেশের মেয়েদের কতটা সম্মান রক্ষা করতে পারছেন ? যাদের কাছে নিজের দেশের মা বোন রা নিরাপদ নয় তাঁদের মুখে এত বড় বড় কথা মানায় না ।
অনেককে বলতে শুনি যুদ্ধের সময় জন্ম হলে দেশের জন্য প্রাণ উৎস্বর্গ করতাম ,হ্যান করেঙ্গা ত্যান করেঙ্গা ** ছিড়েঙ্গা । স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন ।আপনারা কি তখন পাশে দাঁড়িয়ে লাইভ সিন উপভোগ করছিলেন ?
কথায় কথায় মালাউন গালি খাওয়া ঐ হিন্দু ছেলেগুলোই ৩০ টা কুকুরের মুখ থেকে আপনার মা বোনকে বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ করেছে । আর আপনি দাঁড়িয়ে দাড়িয়ে লাইভ বিনোদন উপভোগ করছিলেন । যেমনটা করেছিলেন হুমায়ুন আজাদ , অভিজিত দা আর বাবুকে কোপানোর সময় । একবার শুনে দেখবেন তো ঐ মালাউন রা আপনার মা বোন কে কেন রক্ষা করতে এগিয়ে গিয়েছিলো ? পারবেন তো নাকি সেই সৎ সাহসও নেই !!!!
অবাক হই যখন শুধু পুরুষ না কিছু মহিলাকেও বলতে শুনি । যা হয়েছে ওটা ওদের প্রাপ্য । খারাপ পোষাক পড়লে পিছনে তো মানুষ লাগবেই । এক হাতে তালি বাজেনা । খোলা মাংশ দেখলে কুকুর তো তাঁড়া করবেই । দেখুন মানুষ হয়ে এরা নিজেদের কে কতটা নিচে নামাতে পারে ??? যারা নিজেদের খোলা মাংশ আর কুকুর ভাবে তাঁদের জন্য লিখে আমরা অযথাই সময় নষ্ট করছি !!! আর নিজেদের কল্লা হারানোর সুব্যাবস্থা করছি !!!
সারাদিন নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে চিল্লাপাল্লা করেন । নারী অধিকার নারী স্বাধীনতা নিয়ে ! আমি বলি এসবের কোন প্রয়োজন নেই । আপনি ক্ষমতালোভী একদল মানুষের দাবার গুটি ছাড়া কিছুই নন । আখেরে আপনার কোন লাভ নেই !!
কেন বলছি ? বর্তমানে দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাময় অবস্হানে যারা আছেন তিনজনই নারী !!!!! পুরুষের কথা কি বলব এরা হয়ত খারাপ ,এদের মনে শুধুই কুচিন্তা ! আপনারা নারীরা নিজেদের জন্য কি করেছেন ? দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাপূর্ণ পদে থেকেই যখন কিছুই করতে পারছেন না । তখন কি লাভ এত অধিকার অধিকার করে চিল্লায়ে ?
পুলিশ নামের এই অদ্ভুত দোপেয়ে জীব টাকে ঠিক কি কারনে , জনগণের রক্তজল করা টাকা দিয়ে পোষা হয় !? কারও কি জানা আছে ? নাকি শুধু বাংলা ছবির মত শেষ দৃশ্যে অভিনয় করার জন্য !!!
কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না । আমরা চলে এসেছি বা* ফেলানোর জন্য । এতক্ষণ নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তা কর্মী হিসাবে দায়িত্বরত অবস্থায় ছিলাম ।
এই কি আমাদের দেশ !!! প্রিয় মাতৃভূমি !!! যার জন্য আমাদের পূর্ব পুরুষরা নিজেদের বুক পেতে দিয়েছিলেন তপ্ত বুলেটের সামনে !!!
এটাই কি স্বাধীনতা !!!!
সব নষ্ট দের অধিকারে চলে গেছে ।সোনার বাংলার দামাল ছেলেদের চেয়ে এখন হিজড়ারাও অধিক সাহসী ।
২২টি মন্তব্য
সঞ্জয় কুমার
লিটন নন্দীর জবানবন্দী video https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1103322903027523&id=241920342501121&refid=17
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
বাংলাদেশের রন্দ্রে রন্দ্রে ভেজালে সয়লাব পুলিশের কোন দোষ দেই না কেননা ঐ বেচারার চাকুরীটা পেতে হয়তো বাপের ভিটে মাটিটা বিক্রয় করতে হয় যেখানে যোগ্যতায় চাকুরী নেই সেখান থেকে কিছু পাওয়ার আশা বৃথা।দেশের রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় দূর্ণিতি শেষ করে দিচ্ছে দেশ প্রেম আর জনতার সেবাকে।
সঞ্জয় কুমার
সব নষ্টের মুল হল শোষণনীতি মানে রাজনীতি ।
আবু জাকারিয়া
সত্যিই লজ্জাজনক ঘটনা যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আর এদের উপযুক্ত বিচার হবে কিনা সন্দেহ আছে। উপযুক্ত বিচার না হলে এরকম ঘটনা কি চলতে থাকবে না? আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্তু স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারিনা। এমন স্বাধীবতার মূল্য কি?!যেখানে স্বাধীবতা থাকে পরাজিত!!
সঞ্জয় কুমার
এমন মেকি স্বাধীনতার কোন প্রয়োজন নেই ।।আমরা মুক্তিযুদ্ধে শহীদের অপমানই বরং করছি
হিলিয়াম এইচ ই
খুবই লজ্জাজনক!
সঞ্জয় কুমার
বাঙালী হিসেবে এর চেয়ে লজ্জার আর কি হতে পারে ।ঠিকই বলেছেন ।
স্বপ্ন নীলা
অত্যাচারী আর ধর্ষক/ ইভটিজার যেই হোক না কেন — তার উপযুক্ত বিচার হলে আর কেউ এহেন অন্যায় কাজ করতে সাহস পাবে না
সঞ্জয় কুমার
বিচার!!! কে করবে !!! কার কাছে চাইব বিচার !!!!!
কালের কঙ্কাল(সত্য জি. সাহা)
এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা শুনার পর থেকেই মেজাজ খারাপ হয়ে আছে। কোন দেশে বাস করছি আমরা। আমাদের মধ্যে কি সভ্যতার লেশমাত্র অবশিষ্ট থাকবে না ? আমরা কি মধ্য যুগীয় বর্বরতায় নিজেদের ক্রমশ কাপুরুষ করে তুলবো এভাবেই? কোনো আশা কোথাও দেখছি না। লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে। এরাও তবে পুরুষ। এদেরও নিশ্চয়ই মা-বোন আছে। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে তারা কি ভাবছে ? অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনার চমৎকার লেখার জন্য।
সঞ্জয় কুমার
আপনাকে ও ধন্যবাদ দাদা
নুসরাত মৌরিন
ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।
এমন নির্লজ্জ বর্বর ঘটনা-প্রকাশ্যে জনারন্যে…ভাবতেই শিউরে যাচ্ছি,থমকে যাচ্ছি,ঘৃনায় মুখ ভরে আসছে।
সঞ্জয় কুমার
আমরা সর্বসহা হয়ে যাচ্ছি ।এটা মহত্বের নয় দূর্বলতা আর কাপুরুষতার লক্ষণ ।
মরুভূমির জলদস্যু
প্রতিটা বছরই এমন হচ্ছে। এটা থেকে কি বুঝা যাচ্ছে? আমরা এখনো প্রস্তত নই এমন পরিবেশের জন্য! নাকি অন্য কিছু?
সঞ্জয় কুমার
আপনার মন্তব্যের নিচে মামা যে কথাটা বলেছেন ওটাই আসল কারণ ।
ধন্যবাদ ভাইয়া
জিসান শা ইকরাম
বাংগালীর নিজস্ব অনুষ্ঠান নিয়ে চক্রান্ত বহু বছর যাবত। এটি তারই ধারাবাহিকতা।
এসব প্রতিরোধ করতেই হবে।
সঞ্জয় কুমার
ধন্যবাদ মামা
কৃন্তনিকা
আপনার সাথে একটা জায়গায় সহমত হতে পারছি না।
“বর্তমানে দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাময় অবস্হানে যারা আছেন তিনজনই নারী !!!!! পুরুষের কথা কি বলব এরা হয়ত খারাপ ,এদের মনে শুধুই কুচিন্তা ! আপনারা নারীরা নিজেদের জন্য কি করেছেন ? দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাপূর্ণ পদে থেকেই যখন কিছুই করতে পারছেন না । তখন কি লাভ এত অধিকার অধিকার করে চিল্লায়ে ?” মানতে পারছি না।
দেশের রাজনীতিতে নারীদের সংখ্যাই বলে দেয় তারা কতোটা সক্রিয়। যে দুজন নেত্রীর কথা বলছেন, তাদের নিচে যেসব আমলা কাজ করেন, তারা কি নারী? আপনার অধীনে থাকা কর্মচারীদের বেশির ভাগ যখন দুর্নীতিতে লিপ্ত, তখন কি সকল কর্মচারীদের বের করে দিয়ে কোম্পানি বন্ধ করে দেবেন???
মেয়েরা ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির শিকার হলে অনেকেই মেয়েদের পোশাকের দিকে আঙুল তুলে এবং মেয়েদেরকে দোষী দাবি করে। আপনিও কি এক কাজ করলেন না?
নারীরা যত যাই করুক না কেন পুরুষের বিবেকবোধ না জাগলে এইসব থেকে মুক্তি নেই। আমাদের সমাজ শুধু নারী নিয়ে নয়, নারী ও পুরুষ নিয়ে… তাই নেত্রীরা চাইলেও কিছু করতে পারবেন না যদি না পুরুষদের বিবেক জাগ্রত হয়…
সঞ্জয় কুমার
এইতো বুঝতে পেরেছেন । শুধু নারী অধিকার নিয়ে নারী দের নিয়ে চললেই হবে না । পুরুষের মনোভাব পরিবর্তনের কাজ ও করতে হবে । তিনজন নারীর একজন হলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সবচেয়ে ক্ষমতা পূর্ণ ব্যাক্তি । । আমি ঐ কথা বলেছি কিছুটা অভিমানে । যখন কিছু নারী এই ঘটনার পক্ষে কথা বলেন ।
ইমন
” সব নষ্ট দের অধিকারে চলে গেছে ।সোনার বাংলার দামাল ছেলেদের চেয়ে এখন হিজড়ারাও অধিক সাহসী । ”
এক লাইনেই সব। 🙂
সঞ্জয় কুমার
ধন্যবাদ । কিন্তু আর কতকাল আমরা লজ্জিত হয়ে ঘরে বসে থাকব ? একদিন হিজড়া রাও আমাদের দেখে হাসবে
ব্লগার সজীব
লিটন ভাই সহ তিন জনই ছিলেন আসলে ঐ দিন বীর।অন্যরা সবাই কাপুরুষ।লিটন ভাইদের সাথে আর কয়েকজন যোগদান করলে নিপীড়নকারীরা পিছু হটতোই।