মুক্তি যুদ্ধের একটি ছবি(সংগ্রহ)

-বাবা গো... আমার বাবা.....আমাকে ক্ষমা করে দিও আমি তোমার অবাধ্য সন্তান।তুমি বলেছিলে, দেশে যারা দেশের ক্ষতি করবে তারা এক দিন শাস্তি পাবেই....

এক দিন এই বাঙ্গালী জাতিই হিসাব চাইবে,বিচার করবে সব দেশদ্রোহী আর যুদ্ধাপরাধীদের

আমি... তোমার সে দিনের কোন কথাই রাখিনি অবশেষে সেই যে তুমি ঘর ছাড়লে আর এলে না....সারাটা জীবন টাকার নেশায় এতটাই অন্ধ ছিলাম যে তোমাকে খোজঁ করার কোন প্রয়োজনও মনে করিনি....আমি পাপী,আমি অপরাধী,আমি সমাজের সমাজপতিদের একটি জগণ্য কীট....

সেইতো এলে লাশ হয়ে,তাও আবার আমার চলে যাবার সময় যখন হল.....

আজিম সাহেব পুলিশদের অনুরোধ করছেন আপাতত তার বাবাকে ছেড়ে দিয়ে....দাদুকে দাফন-কাফনের সমাপ্তি পর্যন্ত সময় প্রার্থনা করেন।কিন্তু পুলিশ সেই মুহুর্তে অপরাগতা স্বীকার করেন।আকমল সাহেব যেন একটু নিজেই নিজেকে  তিরস্কার করেন

-না,..থাক,আমার অপবিত্র হাতের স্পর্শ করে আমার পবিত্র পিতাকে অপবিত্র করতে চাই না.... হয়তো এটাই আমার পাপের শাস্তি...চলুন দারোগা সাহেব।ঠিক সেই সময় ছুটে আসে আজিম সাহেবের সেই ছোট মেয়েটি।দাদুকে জড়িয়ে কিছু প্রশ্নযুক্ত ভাঙ্গা ভাঙ্গা কথা বলে যা কেউই উত্তর দিতে প্রস্তুত নয়।

-দাদু...ঐ লোকেরা কারা?আকমল সাহেব নাতীকে জড়িয়ে

-ওরা..ওরা মেহমান...

-তোমার হাত বাধা কেনো....লোহার ঔটা কি?তোমাকে ওরা কোথায় নিয়ে যাবে দাদু?তুমি বড় আব্বুকে ঐ মসজিদের ধারে নিয়ে যাবে না?

অনেক প্রশ্ন কোন উত্তর নেই কেবল ছল ছল জলে ভরা অনুশোচনার নয়নে চেয়ে থাকা।নাতীর কপালে আদুরে চুমো দিয়ে আকমল সাহেব পুলিশের সাথে যাচ্ছেন আর নয়ন ভরা জলে বার বার পিছু ফিরে দেখছেন বীর বাবার মুখটি।তার পরিবার পরিজন সবাই অশ্রু ভেজাঁ নয়নে আকমল সাহেবের দিকে তাকিয়ে তার চলে যাবার বিদায়ী দৃশ্য দেখছিলেন।এক সময় দৃশ্যের সমাপ্তি ঘটে

"এটা কোন সত্য ঘটনা অবলম্বনে নয় রকম ঘটনা নাও ঘটতে পারে সম্পূর্ণ কাল্পনিক তবে.......

ভাবে অযত্নে অবহেলায় এবং রাষ্ট্রীয় গাফলতি সর্বোপরি যারা দেশের প্রকৃত রাজনিতীবিদ ছিল তাদের দায়ীত্ত্বজ্ঞান হীনতায় আমাদের শ্রদ্ধাভাজন ভবিষৎ প্রজম্মের আদর্শ দেশের বীর সন্তানরা,যারা ছিল তারা এভাবে নিরবে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে আমাদের ঋণী করে চলে যায়। আমরা তথা নতুন প্রজম্মরা,কার কাছ থেকে জানব দেশের গর্বিত প্রতিটি প্রকৃত ইতিহাস?আসছে নতুন প্রজম্মকে কি ভাবে বলবো এরা তোমাদের আদর্শ যেখানে আমরা নিজেরাই সন্দেহের ভিতরে বসবাস করছি।ভাষা আন্দোলনে নারীদেরও ভূমিকা ছিল কিন্তু আজও শুনিনি জুরে সূরে তেমন কোন নারী ভাষা সৈনিকের নাম।কিন্তু কেনো?

 (বিঃদ্রঃ)সত্য এখানে….

চলে গেলেন ভাষা সৈনিকসাঈদ উদ্দিন

কিছু দিন আগে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান ভাষা সৈনিক সাঈদ উদ্দিন আমরা জনই বা খবর রেখেছি।এ ভাবে নীরবে চলে গেছেন,চলে যান,চলে যাবেন আমাদের গর্বিত সৈনিকরা হয়তো এভাবেই খোজঁ না নেয়ায় মুছে যাবে অনেকের নাম

এই বিষয়ের পূর্বের সবগুলো পোষ্টের লিং.....

 ঋণী

 ঋণী(শেষ পর্বের প্রথম অংশ)

ঋণী(শেষ পর্বের ২য় অংশ)

0 Shares

১৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ