চোখের পাশে পড়ে থাকা ক’গাছি চুলের দিকে লোভী চোখের দৃষ্টি এড়াতে আঁচল দিয়ে ঈষৎ ঘোমটা টানে কূর্চি!
ডাকাতেরা কেমন করে দেখে তা না জেনেও আমি কূর্চিকে তেমন করেই দেখেছিলাম বোধহয়;
পরদিন আমাকে সে বলেছিল, ও মাগো!
এমন করে কেউ কাউকে দেখে!?
উফ!
আমি আহ, উফ শুনে বলেছিলাম, শোন!
তুমি ডাকাতের বৌ হয়েছো, ভালো হয় অভ্যাস করে ফেলো! নাহলে কি করে রচিত হবে মহাকাব্য?
সেই রাতেই প্রথমবারের মতন কূর্চির চোখ দেখে ডাকাত হয়ে উঠেছিল পুরুষটি।

ডাকাত তার স্বভাব বদলাবে না! সে লুণ্ঠন করে নেবে একে একে তোমার সকল সর্বৈব।
প্রতি অঙ্গে অঙ্গে সে একে দেবে প্রণয়ের বন্য এপিটাফ!
রাত ভর মাখামাখি!
মধুমাখা ঠোটের উষ্ণতা বিনিময়!
লোনা ঘামে ভেজা শরীর ক্রমাগত বলে যাবে নক্ষত্র ঝিকিমিকি কথা!
প্রতিটি লোমকূপে বল্লমের ধারালো ফলার মতই বিঁধবে অন্ধ আবেগের হুল!
হাতড়ে নেবে লুকিয়ে রাখা সকল ঐশ্বর্য!
সব শুনে কূর্চি বলেছিল,
ইশ!

খোলা বাহুর রুপার বাজুবন্ধে ডাকাত গুজে দেবে মদির রাতের চাঁদটাকে।
জোসনা ঢলে পড়া রাতের আলতো স্পর্শে কেঁপে কেঁপে উঠবে তোমার বুকের জমিন। একসময় পূর্ণ অধিকারে সকল চূর্ণ করে বসন চূড়ে ফেলবে দূর তেপান্তরে।
গন্ধম ফুলটি তোমার বুকের মাঝখানে রেখে অক্লেশে গন্ধ নেবে!
ডাকাত বোঝে না ধ্রুপদী সৌন্দর্য!
নিরাভরণ পিঠ-জুরে মেঘের মতন ছড়িয়ে থাকা চুলে অবাক ফুলের সুবাস সে শুষে নেবে মাতালের মতন!
মানচিত্রে অতীন্দ্রিয় সুখের নির্যাস সে একে যাবে নিপুণ কুশলতায়।
তুমি জড়িয়ে নেবে ঘোড়দৌড়ের পুরো শক্তি শৌর্যকে!
প্রবিষ্ট বেদনায় চোখে বুজে আহবানে মত্ত রমণী তখন তুমি!
কূর্চি সব শুনে ঠোট টিপে হেসেছিল।
সেই রাতেই প্রথমবারের মতন কূর্চির বুক ছুঁয়ে ডাকাত হয়ে উঠেছিল পুরুষটি!

এপ্রিল ১৩, ২০১৩
ঢাকা

0 Shares

১৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ