নিশ্চলের নিগুঢ় রাতে, ঘুম জাগা চোখে আকাশ দেখি
নিঃশ্চুপ-চোখ মেলে, গভীর একাকীত্বে,
দিনের আলোর মত স্মৃতিরা হাসে, উজ্জ্বল হাসিতে,
ম্লান চোখে কাঁদে-ও, বিষাদ-আনন্দে;
শৈশব গুলো ছুটে আসে দল বেঁধে
দলছুট হয়ে-ও, হৃদয়ের অবিচ্ছিন্নতায়;
এ-এক যাতনা বিহীন ভাবাচ্ছন্নতা, নিঃসীমের আকাশে;
আধো-আধারে কোমল বাতাসের ডাক শুনতে পাই
বিলম্বের অবিলম্বে মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়িতে,
প্রাপ্তি বা ব্যয়ের হিশেবে-না,
হৃদয়হীন আশীর্বাদ ভেবে গা করি না।
অনুসরণের অনুরণনে স্মৃতির পান পাত্র
উপচে ওঠে দৈনন্দিনের আহ্বানে
নৈর্ব্যক্তিকতা বজায় রেখে, স্থাণু না-হয়ে;
অতঃপর ঘোষণা আসে গভীর ঘুমের,
স্মৃতিরা জেগে থাকে অনায়াস ভঙ্গিতে, সরু চোখে।
ছবি নেট থেকে।
৩২টি মন্তব্য
সুপায়ন বড়ুয়া
“অতঃপর ঘোষণা আসে গভীর ঘুমের,
স্মৃতিরা জেগে থাকে অনায়াস ভঙ্গিতে, সরু চোখে। “
নীলাকাশের তারারা চুন্বন আঁকে
আপনার ঘুমালু সরু চোখে।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক অনেক ধন্যবাদ। পড়ার জন্য।
এমন মন্তব্য প্রথমে পড়তে ভালই লাগে।
অবশ্যই শুভ কামনা, ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
ছবিতেই গাহিয়া যাই,
যে চক্ষু দিলেন ছাপিয়ে বাহির পানে
হৃদয়ে তোল্পাড় অন্তরে ঝড় আঞ্চাজন মনে
থাকি কেমনে চুপচাপ ত্বরা যে ঝড় মদ্ধখানে
চাই চাহিবার বারবার তারই চক্ষুপানে।
ছাইরাছ হেলাল
হা হা হা হা, এ চৌক্ষের মধ্যে কিচ্ছু নেই।
চাইয়া চাইয়া শুধু স্মৃতি হাত্রায়।
ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
এখানেই দোবে হাজার কপত ভাইসাভ
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা ভাল করে ডুবে যাক, আপনি ছাড়া।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
স্মৃতিরা বহুত ত্যাঁদড়। এরা ঠিকই হানা দিবে, জেগে থাকবে সময়ে অসময়ে। শৈশব এর দূরন্তপনা কখনো হৃদয় থেকে হারিয়ে যায় না। দারুন অনুভুতি হচ্ছিল শৈশবের কথায়। আহা কি আনন্দ ছিল। শুভ কামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
স্মৃতিরা শুধুই ত্যাঁদড় না, তুখোড় ও।
যেন তেন ভাবে সে হানা দেবেই, আনন্দে আর বেদনায়।
অবশ্য জীবনের প্রাপ্তটুকু এখানেই লুকিয়ে থাকে, দাঁত বের করে।
ভাল থাকুন।
নিতাই বাবু
পৃথিবী ত্যাগ করার ঘোষণা আসলেই, নিদ্রায় চিরনিদ্রায় শায়িত হবো। সেই ঘোষণাটা মনে হয় কিছুক্ষণ পরই আসতে পারে, সম্ভবত!
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় কবি মহারাজ।
ছাইরাছ হেলাল
শেষের ডাক আসেই, কিন্তু সবাই বুঝতে/শুনতে পায় না।
কেউ কেউ পায়।
আপনিও ভাল থাকবেন।
আলমগীর সরকার লিটন
স্মৃতিরা এরকমী হয় কবি দা
অনেক শুভেচ্ছা রইল———–
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও শুভেচ্ছা অনেক।
রেজওয়ানা কবির
ভালো লাগল।
ছাইরাছ হেলাল
শব্দ মাত্র দু’টি, সাকুল্যে অক্ষর পাঁচটি!!
এতে তো হবে না। কেন ভাল তা-ও বলার চেষ্টা রাখুন।
ধন্যবাদ।
উর্বশী
বিষাদ– আনন্দে ম্লান চোখে কাঁদলেও , ঘুম জাগা রাতে একাকী আকাশ দেখাটা হয় চোখ মেলেই।আর তখন স্মৃতিরা দিনের আলোর মত উজ্জ্বল হাসিতেই ভরপুর থাকে। সোনালী,রুপালী সময় গুলোকেই স্মৃতির ডাইরিতে বন্দী হয়ে যায়। ভাইয়া, আপনার প্রতিটি স্তবক এক মোহনীয় সৌন্দর্যের প্রতীক। যেখানে একদম আষ্ঠেপৃষ্ঠে মিশে যাওয়ার মত।
মনে করুন,একটি পাত্রে পরিস্কার পানি রাখা হলো,তারপরে ইচ্ছে মত ফোঁটা ফোঁটা রঙ দিয়ে দিন।দেখুন,আস্তে আস্তে কি সুন্দর মিলিয়ে মিশে যাচ্ছে বা যাবে। ঠিক তেমন ই আপনার লেখার সারমর্ম। লেখা এমন ই হতে হয় মনে হয়। যার সাথে নিজেকে সহ প্রকৃতির মাঝে মিশে যাওয়া।
ভাল থাকুন,আন্তরিক ধন্যবাদ ও শুভকামনা ।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক সুন্দর করে বলতে পেরেছেন। পড়েছেন মন দিয়ে বুঝতে পারি। সহানীয় বা অসহনীয় যায় হোক না কেন
অতীতের এই স্মৃতি আমাদের বাঁচিয়ে রাখে, কাঁদাও।
যত সুন্দর উদাহরণ এঁকে প্রশংসা করলেন ! জানিনা ততটা ভাল/সুন্দর কী না।
আপনার জন্য ও অনেক শুভ কামনা।
রেহানা বীথি
স্মৃতিরা দিনের আলোর মতোই উজ্জ্বল সবসময়। তেমন করে ঘুম গভীর হলে হারিয়ে যাবে কি সব? কি জানি, ভাবনাও হয়!
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই স্মৃতিরা উজ্জ্বল,তবে সেখানে মেঘেরাও থাকে বৃষ্টি নিয়ে আনমনে।
ধন্যবাদ।
প্রদীপ চক্রবর্তী
দু-তিনবার পড়ে গিয়ে তারপর কবিতাটি বুঝলাম। এতো কঠিনকে আপনি ভালোবেসেছেন দাদা?
বেশ ভালো লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
ধুর, ইহা কোন কঠিন না। কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
শিরিন হক
মেঘের আড়ালে যতই ঢাকা পড়ে ফেলে আসা সময়ের আকাশ সৃত্মিরা ঠিক উঁকি দেয় বিকেলের আকাশে নির্লজ্জ গোধুলীর আলোর মতো।
অনেক দুন্দর লিখেছেন মুগ্ধতা একরাশ
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক কিছু স্মৃতি অবশ্যই উঁকি দেয়, হেসে হেসে,
আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতেন এখানে লিখে লিখে।
আপনি পড়ছেন বলেই তো বুঝতে পারছি সুন্দর।
ব্যস্ততায় ও আমাদের সাথে রাখুন, ধন্যবাদ।
শামীম চৌধুরী
শৈশব গুলো ছুটে আসে দল বেঁধে
দলছুট হয়ে-ও, হৃদয়ের অবিচ্ছিন্নতায়;
ফিরে যেতে মন চায় ভাইজান। খুব সুন্দর কবিতা।
ছাইরাছ হেলাল
বুকে আসেন, ভাই। সোনেলা আপনাকেই খুঁজছে।
ভাল থাকুন।
আরজু মুক্তা
স্মৃতি বড় জ্বালায়। দৈনন্দিন কাজে আমরাও ক্লান্ত। ঘুম চলে আসে চোখের পাতায়। স্মৃতিরা ঐ জানলায় শুধু উঁকি দেয়
ছাইরাছ হেলাল
এই একটু সামান্য উঁকিঝুঁকি আমাদের বাঁচিয়ে রাখে, বাঁচায়।
ক্লান্তি শ্রান্তির মধ্যে ও। ধন্যবাদ দিচ্ছি।
জিসান শা ইকরাম
স্মৃতি নিয়েই আমরা থাকি, বাঁচি – জাবর কাটি।
স্মৃতি আমাদের সাথেই থাকে,
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
স্মৃতিরা আমাদের হাসায় কাঁদায় প্যাঁদায় ও।
এদের নিয়েই বাঁচি/মরি।
ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
স্মৃতিরা হলো ভি আইপি প্রজাতির অস্তিত্ব। নিরিবিলি নিরালায় থাকলেই তাদের আনাগোনা টের পাওয়া যায়। চুপচাপ শান্ত মুহুর্তে এসে মনটাকে নেড়েচেড়ে অশান্ত বানিয়ে, তারপর তুষ্টির হাসি হাসে।
স্মৃতির বাড়াবাড়ি বা যাতনা, যাই বলুন, সুখের অসুখের মতোই যতনে থাকতে ভালোবাসে।
সযতনে আগলে রাখা স্মৃতিরা আমাদের উপলব্ধি করায়, বেঁচে থাকার মানে।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে কিছু স্মৃতি আমাদের জ্বালিয়ে মারে, গ্লায় ফাঁস হয়ে জুলে থাকে,
ফাঁসি হয়ত দেয় না, দিতে চায়, মনে মনে, তলে তলেও।
টক মিষ্টি ঝাল থাকে।
তারপর ও সে সেই দিনটি আসে
জড়োসড়ো ভঙ্গিতে, কিছু টেস খাবার নিয়ে
বিস্মৃতি থেকে স্মৃতিতে
স্ফীত সময়ের পাতা ওলটানোতে।
আর মন্তব্য কৈ।
তৌহিদ
স্মৃতি জীবনের অমুল্য সম্পদ, তবে অতীতকে আমি মনে করতে চাইনা। কিছু অতীত সবসময়ই বিষণ্ণতা এনে দেয়। এর চেয়ে বর্তমানকে নিয়ে ভালোভাবে বেঁচে থাকতে চাই।
শুভকামনা ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
মনে করি বা না করি স্মৃতি আমাদের তাড়িয়ে বেড়ায় আনন্দ ও বেদনা নিয়ে।
এই বর্তমান ও কিন্তু আগামীর স্মৃতি।
ভাল থাকুন।