ভুত পেত্নির নাচগানে অতিষ্ট রেজয়ানা স্বপ্নে ভংগ, দাদুর উপর লেখা রাতের চিরকুট খুজে পেয়েই সুর্যদয়ের দেখা পেলেন।

দিনমনি অস্তানান্তে গভির রজনীতে, আমি গেলাম শুয়ে। ঘুম, ঘুম চোখে তন্দ্রাছন্ন মগ্ন অবস্থায় গেছি অতল ঘুমের দেশে, মোবাইলে কল এলে ধরফর করে জেগে উঠি। #স্বপ্ন শেষ নাই।

যখন কিশোর ছিলাম রাতে ঘুমের ঘোরে কতই না অবাস্তব ছবি দেখতাম তা বর্ননার ভাষায় পুর্নতা আসবেনা। অনেক রাত গেছে আমি একই ছবি দেখতাম।
শোয়ার ঘরের সামনে কারেন্টের লাইনের তারআছে এক খাম্বা থেকে আরেক খাম্বায় হয়ে গ্রামের পর গ্রাম গেছে চলে। শয়নে স্বপ্নে আমি তারের উপর কত রাত হেটে বেড়িয়েছি। আনন্দ করেছি। দোড়াদোড়ি করে তারের সংগে পিরিতি। সম্ভব নয় এটা অসম্ভব।

আবার বড় হয়ে স্বপ্ন দেখেছি হাজারো যার শেষ নাই। হাই স্কুলে পড়ার সময় পরিক্ষার কয়েকদিন পুর্বে স্বপ্নে যে পড়া পড়তাম তা হুবুহু পরিক্ষার প্রশ্নে আসত। একদিন এক বন্ধু প্রশ্নই করল তুই যে নোটগুলো করেছিলি কি করে, যে গুলো করেছিস সব পরিক্ষায় আসল। আমি সত্য বলেছিলাম। স্বপ্নে দেখা পড়া প্রশ্ন গুলি নিয়ে আমি খাতায় নোট করতাম।

ইন্টারমিটিয়েডে পড়ার সময় বংগবন্ধুকে নিয়ে খুব ভাবতাম। একসময় ছিল কয়েকমাস বা বছর জানতে অজানতেই ভাবতাম। একদিন রাত্রে সত্যিই বংগবন্ধুকে স্বপ্নে দেখেছি। সে এভাবে যে, সুর্য্য কিরণ ভোরে একজংগলের পাশ দিয়ে উদয় হচ্ছে আমি চেয়ে চেয়ে দেখি। তার পাশে বংগবন্ধুর ছবি ভেসে আসছে। ধিরে অতি ধিরে। অপলক চোখে চেয়ে দেখেছি।

#স্বপ্ন, স্বপ্ন দেখ দেশের জন্য।
স্বপ্নের সোনেলায় দেশকে স্বনির্ভর ও কর্মক্ষম মানুষ গড়ার লক্ষ্যে অদক্ষ সাধারণ জনগনকে দক্ষ সৈনিক গড়ার ইচ্ছায় আমরা ব্লগবাসি অগ্রনি ভুমিকা রাখার জোর প্রচেষটায় অংশ গ্রহন করতে পারি সোনেলার হাত ধরে, ইনশাল্লাহ।
দেশের প্রথম সরকার প্রধান যুদ্ধ বিধস্ত দেশকে সকল খেত্রে উন্নয়ন করার দৃঢ় প্রত্যয় অবস্থান নিয়েছেন তার গৃহিত প্রজেক্ট গুলির মধ্যে ফ্রি শিক্ষা এবং কারিগরি শিক্ষা অন্যতম আর এর জন্য প্রতিপাদ্য, " হাতে হাতে কাজ শিখব, দক্ষ শ্রমিক হয়ে উপার্জন করব", এই উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করার দৃঢ় ও শক্ত অবস্থান নিয়েছে সোনেলা ব্লগ তার প্রতিষ্ঠার নবম বছরে, এই সোনেলা ব্লগের যাত্রা শুরু কয়েকজন দেশ মাতৃকার কৃতি সন্তানগণের হাত ধরে, বাংলাদেশের জন্ম ও স্বাধিনতাকামী মুক্তিজুদ্ধের পক্ষের অতন্ত্র প্রহরীর ন্যায় কাজ করে বাংলা ভাষা ও দেশের জন্য সোনেলা ব্লগ।
স্বপ্নে আছি, আর দেখছি সেই মহান নেতা বঙ্গবন্ধু, যার তুলনায় তিনিই স্বপ্ন দেখাচ্ছেন আমাদের।
দেশের একমাত্র টিভি চ্যানেলে একের পর এক ঘোষনা, সোনেলা ব্লগ দেশের বিভিন্ন জেলায় ফ্রি শিক্ষা এবং কারিগরি শিক্ষা বিস্তারে সরকারের সংগে একাট্টা।
সেই উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়া জেলার অন্যতম বৃহত থানার বৃহত গ্রাম খলিসাকুন্ডি ইউনিয়নের বোর্ডঘাট এলাকায় একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় দৃঢ অঙ্গিকার নিয়েছে সোনেলা।
এই ইউনিয়নে প্রায় ৪৩ হাজার বাসিন্দা আর এই খলিসাকুন্ডি গ্রামেই ২০ হাজার মানুষের বসবাস যা দেশের স্বল্প শিক্ষিত জনতা হাতে হাতে টেকনিক্যাল নিমোক্ত শিক্ষা নিয়ে দেশ ও উন্নত বিশ্বে দক্ষ শ্রমিক হয়েই ভাল বেতনে চাকরি করে বৈদেশিক অর্থ আনয়নে অগ্রণী ভুমিকা রেখে দেশের প্রভুত উন্নতি করার নজির রাখবে, নিমোক্ত কাজে ট্রেইনিং নিয়া হাজার হাজার জনগন সাধারণ শ্রমিক না হয়ে দক্ষ শ্রমিকে রুপান্তরিত হয় তার কারিগরি শিক্ষার কারিকুলাম সহ উল্লেখ করা হল।

এস.এস.সি(ভোকেশনাল) ২ বছর মেয়াদী
ডিপ্লোমা ইন কমার্স (২ বছর মেয়াদী)
এইচ.এস.সি (বিজনেস ম্যানেজম্যান্ট) ২ বছর মেয়াদী
ডিপ্লোমা-ইন-ট্যুরিজম অ্যান্ড
ডিপ্লোমা-ইন-ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট (৪ বছর মেয়াদী)
ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং (৪ বছর মেয়াদী)
ডিপ্লোমা-ইন-এগ্রিকালচার (৪ বছর মেয়াদী)
ডিপ্লোমা-ইন-ফিশারিজ (৪ বছর মেয়াদী)
ডিপ্লোমা ইন হেলথ টেকনোলজি এন্ড সার্ভিসেস(৪ বছর মেয়াদী)
ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (৪ বছর
ডিপ্লোমা-ইন-ফরেস্ট্রি
ডিপ্লোমা-ইন- লাইভস্টক
ডিপ্লোমা-ইন- ডিপ্লোমা ইন টেকনিক্যাল এডুকেশন
ডিপ্লোমা-ইন-জুট টেকনোলোজি
ডিপ্লোমা-ইন-জুট সার্ভেয়িং

উক্ত সাবজেক্ট অধ্যায়ন করে দক্ষ হয়ে সিংগাপুর, দক্ষিন ও উত্তর কোরিয়ায়, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে দেশের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল করছে, আর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন সোনেলার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জিসান শা ইকরাম, উনি খুব দক্ষ হাতেই সব সামলাচ্ছেন, তার সংগে আছেন ছাইরাছ হেলাল, নাসির সরোয়ার, ইঞ্জিনিয়ার ভাই ওরফে ইঞ্জা ও সুপর্না ফাল্গুনি, যারা এই কয়দিনে দিনরাত চোখের পাতা না মিলিয়ে শ্রম দিচ্ছেন দেশের জন্য। সরকারি কর্মকর্তা আছেন জনাব শামিম আহমেদ চৌধুরি যে দেশের রাষ্টপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্ভোদনি অনুষ্টানে আনার সকল দায়িত্ব নিয়েছেন এবং সকল ব্যাবস্থা করেছেন।
উপস্থিত আছেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান জনাব মঞ্জুরুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার জনাবা সাবিনা ইয়াসমিন, থানা শিক্ষা অফিসার শ্রি নিতাই কুমার পাল। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা বংগবন্ধুর মুক্তিযুদ্ধ আন্দলোনের জেলার অন্যতম মুক্তিযোদ্ধা সুপায়ন বড়ূয়া, তার সংগে আছেন কামাল উদ্দিন, প্রদিপ চক্রবর্তি ও মনির হোসেন মমি।
বঙ্গবন্ধুর অনুষ্ঠানে আসবেন তাই সাধারণ জনতা উম্মুখ তাকে একনজর দেখার ব্যাকুল চেষ্টা। মাইকে বার বার স্লোগান জয় বাংলা বাংলার জয়,ল আকাশ বাতাস মুখরিত বংগবন্ধুর জয়গানে, হ্যালিপ্যাডে হেলিকপ্টার নামবে তার এতো এতো বিকট আওয়াজ যে কি হচ্ছে জানার আগ্রহে উঠতেই ঘরের আড়া ভেংগে মাথায়। হকচকিয়ে উঠে ভাবী আমি কোথায় আমি?
এমনই কি বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন দেশকে এগিয়ে নেওয়ার? 

‘স্বপ্ন’।।১৬ (ব্লগারদের সম্মিলিত গল্প)

0 Shares

৪৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ