অমৃতের ধ্রুপদী ভক্ষণে গাপুস-গুপুস খাই আনন্দের উৎসব ও ভর্তিপ্লেট খাওয়ার পার্বণে
তৃপ্তিরঢেঁকুরতোলা একটি ছবি ঘরময় ভেসে বেড়াচ্ছে, খা বাবা খা চেটেপুটে খা,
হৃদয়ে খাদ্যের উষ্ণতা নিয়ে অনুসরণ অনুকরণ চালিয়াতি ঢঙ ও নানান ভাব-ভঙ্গিমা
দেখছি আর দেখছি।
চশমিশ আনন্দদম্পতিকে বিবাহোত্তর আমন্ত্রণ, হাল্কা কিন্তু চনমনে বিলাসী ভোজনের,
যদিও এহেন কর্মকাণ্ডের জন্য ‘বেশ দেরি হয়ে গেছে’ এমন বাক্যাংশ জুড়ে দেয়াই সমীচীন!
এখানে পেট চুক্তিতে খাওয়ানো হয়, নিম্নতম মূল্য চার অংকের কাছাকাছি, দুপুরে পঞ্চাশ ও রাতে সত্তুর রকম খানার দরাজ ব্যবস্থা, আমরা দুপুরের যাত্রী। সাড়ে বারোটা থেকে চারটে পর্যন্ত সাবাড় করার টাইম লিমিট।
প্রায় একটার দিকে আমরা পৌঁছে গিয়ে ডাক্তার+ প্রকৌশলী দের জন্য অপেক্ষা করছি, জিসান এখানে হোস্ট, ঝরঝরে লিফটে যখন এসে পৌঁছাই তখন এটি এত বড় রেস্টুরেন্ট বুঝতে পারিনি, প্রমাদ গুনলাম, দু’আড়াইশো (তার বেশিও হতে পারে) খদ্দের এঁটে যাওয়া স্থানে আমারা দু’জন বাদে আর মাত্র একটি জুটিকে কুটকুট করতে দেখলাম, ‘ব্যাপারনা’ ভাব নিয়ে হেল দোল করে একটি মোক্ষম টেবিল পছন্দ করে অপেক্ষা চালু রাখলাম, দেখি না কী হয় সিস্টেমে।
ঢুকতেই খাবারের সুঘ্রাণে খিদেটা চনমন করে উঠল। সাজানো রাশি রাশি খাবার দেখে আর তর সইছিল না, উফ এখনই যদি ঝাঁপিয়ে পড়া যেতে তাহলে কত কী না হত (আসলে কিছু হতো না, অমন সবারই মনে হয়ে কাজের আগে)! ঐ যে সাগর আর পাহাড়ের সানু দেশে দাঁড়িয়ে ওদের সাথে যুদ্ধের আহ্বানের মত ওদের সাথে! সে যাকগে, যা বলছিলাম,
অতিথীদ্বয় গণক তা বলছি না, এটা এমন না যে পেটের খবর টের পেয়ে সুড়সুড় এসে পড়েছেন, তবে তাঁরা এলেন, হাসির ফুল ছড়িয়ে, গপশপ শুরু হয়ে গেল, চললও, তাদের বাসা বদলের কারণের নবতর সংযোজন হল (আমার বেলায়), কাজের তাগিদে তাদের দু’জনকেই ‘কেলি ফজরে’ না হলেও সকাল সকাল বের হওয়া মাস্ট, ফিরতে ফিরতে রাত, কিন্তু ঘটনা হলো রাতের বাসাটি তেলাপোকাদের পুরোপুরি দখলে থাকে, শুধু তেলাপোকা নয়, আরও কী কী সব পোকারা কিল বিল করে নির্ভয়ে, গুলির বন্দুক থেকে কামান দাগিয়েও এই অসম জংয়ে জয় লাভের সম্ভাবনা তৈরীর বিন্দু মাত্র আলোকবর্তিকার সুলুক সন্ধান না পেয়ে বীর বেশে পশ্চাদপসরণ (ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি) করে নতুন বাসায় টোনাটুনির ন্যায় থিতু হয়ে এ যাত্রা প্রাণ বাঁচিয়েছেন!
লক্ষ্য করলাম কিলবিল বিলবিল কিচিরমিচির গুটুসগুটুস করে সব চেয়ার পূর্ণ হয়ে গেল,
অনেকটা ভোজবাজির মত।
অসহ্য ক্ষুধাজ্বালা নিয়ে অতি দ্রুত সবাই খাবার নিতে গেলাম, কোনটা রেখে কোনটা খাই, কোনটা কী করি ভাবতে ভাবতে কিছুটা নিজে, কিছুটা অকুতোভয় চশমিশদের সাহায্যে এ যারা উৎরে গিয়ে সবাই মিলে খেতে শুরু করলাম, জিসানের অতিথিবৃন্দ খেলেন! খেলেন বটে মহা সমারোহে! কোনটি নখে তুলে, কোনটি এক চিমটি কোনটি আধা চামচ খেয়ে ফেললেন, মালিক পক্ষ নিশ্চিত ভাবে তাদের জন্য বিশেষ কোন দোয়া খায়ের করেছেন।
এহেন পুণ্য কর্মের ছোঁয়া আমাদেরও গ্রাস করে ফেলল, সব খেয়ে ফেলব থেকে কিছুই খেতে ইচ্ছে করছে না অবস্থা স্থিতি লাভ করল,
মানিকের ফকফকা বাতির মত কিছু বুঝে ওঠার আগেই জিসান সহ তদীয় এই অধম গেস্টে পরিণত করে প্রকৌশলী মহোদয় আগে থেকেই ঠিক করা কাজে ফিরে গেলেন।
যেহেতু চার’টা বাজতে বেশ দেরি তাই আমরা আর একটু থেকে গেলাম, আহারে কিছু খাবার যদি উদরে প্রবিষ্ট করাতে পারি, আর এখানে সবাই কী খাচ্ছে কী করছে দেখে নয়ন সার্থক করি,
সুশৃঙ্খল ভাবে সবাই খাচ্ছে এবং খাচ্ছে, কেউ কেউ পয়সা উসুল পণ করে এসেছে তাও মনে হচ্ছে, চিক চিকে চোখে হাসি-আনন্দে সাবড়ে যাচ্ছে বিশাল বপুর যুবক থেকে তিরতিরে যুবতী, কেউ ই বাদ যাচ্ছে না, প্রকৃত সুন্দরী থেকে কপট সুন্দরী সমানে সমান,
এক দঙ্গল খেলোয়াড় গলগুঞ্জন তুলে চালিয়ে যাচ্ছে। শিশু কিশোররাও কদমে কদমে এগুচ্ছে। অবশ্যই সবাই কিন্তু মালিককে লাটে উঠাবে এমন না, গুটি কয়েক কাষ্ঠং সুন্দরীদের দেখলাম ফোটা তিনেক সুপ সযত্ন সাবধানতায় মুখে ফেলে ফোটা খানেক আবার রঙ্গিন ঠোঁটের রং বাঁচিয়ে মুছেও ফেললেন। আহারে, খাদ্যসুন্দরীর প্রসাধন বাঁচানোর যুগপৎ প্রচেষ্টা।
সব থেকে কাছের টেবিলে বাচ্চাকাচ্চা বুড়ো বুড়ি যুবতী তরুণী মিলিয়ে ডজন খানেক মানুষ গল্পের ছলে হাল্কা খাওয়ায় মেতে আছে, আহা , শিশুদের যে কী আনন্দ তা না দেখলে বোঝানো যাচ্ছে না, ওদের জন্য উঁচু চেয়ার, আছড়ে পাছড়ে উঠছে নামছে খাচ্ছে ফেলছে দেখতে দেখতে হৃদয় জুড়িয়ে গেল।
হঠাৎ এক বেজায় বুড়িমার দিকে চোখ আঁটকে গেল, বার-দুয়েক উঁচু প্লেট হাতে দেখেছি, এবারে আবার! আড় চোখে তাকাতে গিয়েও ধরা পড়ে গেলাম, স্বচোখে ভাল করে একবার মাত্র আমাকে দেখে নিজ কাজে পূর্ণ মনোনিবেশ করলেন শান্ত মনে, আরও বার দু’য়কে কাবাব সহ অন্য কিছু নিয়ে শেষে বিশাল ডেজার্ট বহর নিয়ে বসলেন, আল্লাহ অসীম রহমত আবারও দেখার সৌভাগ্য হলো।
এবারে শেষ চেষ্টা হিসাবে রুচিবর্ধক দোয়া-কালাম পড়লাম ঈশ্বরের কৃপা লাভের ন্যূনতম আশায়, কিছু যদি গলাধঃকরণ করতে পারি, হা হতোস্মি! আবারও নেয়া খাবারের সদ্গতি করতে পারলাম না, বিফল মনোরথ নিজে হলেও অন্যের সফলতায় মিষ্টিমুখে ঝরঝরে লিফটে চড়ে নেমে এলাম ইটজঙ্গলের চিৎকার চেঁচাচেচিময় জনারণ্যে!
এভাবেই শেষ হতে পারত, কিন্তু না, বিধাতার আড়াল হাসি অবশিষ্ট ছিল।
ফির এসে দুজনে রাতে সুউচ্চ ভবনে বনেদী ডিনারের আমন্ত্রণের কথা ভাবতে ভাবতে টিভিতে খেলা দেখছি, হঠাৎ করেই শুরু হল ঢাক ঢাক গুড় গুড়, বাথরুম সখ্যতা শুরু হতে বেশি টাইম লাগল না!
বুড়ি মার স্বচোখ বার্তা এই আধকানা চোখেও জ্বলজ্বল করে ভেসে উঠল, “বাছা এবার কেমন লাগতেছে? বুড়ি মার প্লেটে আর চোখ দিও না সোনা”
এই ছিল কপালে? বাথরুম থেকে উকি দিয়ে জিসানকে জানালাম অবস্থা বেগতিক। তার অবস্থা জানতে চাইলাম, সে জানাল “আমালোতো”। দ্রুত ফোন করে রাতের ডিনার বাতিল করতে বললাম,
অল্পতেই রেহাই পেলাম, অবশেষে অল কোয়াইট অন দি বাথরুম ফ্রন্ট।
হে পরোয়ারদিগার, বুড়িমার দিলে রহমতের বান বইয়ে দাও,
আমিন, আমিন,
৩২টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
আধখানা চোখেও নজরের তীর দেখেছো? কিচ্ছু বাঁকি থাকেনি। কে রঙিন ঠোঁট বাঁচালো, কোন জুটি কুটকুট করছে, কে লাফিয়ে দাপিয়ে ত্যাঁদড়ামো করলো সবকিছুই। সব নাহয় বুঝলাম, তাই বলে এক বুড়িমার প্লেটে? চিঁ চিঁ চিঁ, তুমি এতু কারাপ!!
হ্যাঁ বুড়িমা তোমার স্বচোখে তাদের তাড়িয়ে বেড়াও ইহকাল, এ যাত্রায় ভুড়িদ্বয়ের যদি কোন গতি হয়।
অল ক্লিয়ার তো ফ্রন্ট গেটে, ব্যাক গেটের আসল কথা এড়িয়ে গেলেন মনে হলো যেন, ঝেড়ে ঝুড়ে কাশুন। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন তেনারা তো লুকিয়ে-চুরিয়ে কিছু করছে না! দেখিয়ে দেখিয়েই দেখাচ্ছে (খাচ্ছে),
অধমেরা দেখলেই যত দোষ! তাছাড়া খাওয়া খাওয়ি যখন কপালে নেই তখন বিকল্পে পয়সা উসুল সিস্টেম!
বুড়মার দয়ার শরীর (মন), অল্পতেই রেহাই দিয়েছেন,
নারে ভাই, জোরে কাশি দিলে সমস্যা আছে, আবার না দৌড় শুরু হয়,
মানির মান এবার থেকে বুড়িদের হাতে!
মিষ্টি জিন
এ কে শুন্য নাকি? তা কেমন আছো মনু?
থাক সালাম লাগবেনা 😀 বেঁচে থাক
তা আসছো যখন আর যাইও না থাক আমাগো সোনেলায় । সবার লেখা পড ,মন্তব্য কর। চেষ্টা কর লেখার । :D) :D) :D) :D) :D)
ছাইরাছ হেলাল
খাতির তো দেখছি খুব টসটসে! ঘটনা যেন আবার প্যাঁচ খেয়ে না যায়,
মিষ্টি জিন
খাতির তে হবেই, আমরা একই জাতি না। :p
তাছাড়া প্যাচাপেচি হলে আপনারে আওয়াজ দিবনে খোলার জন্যি । :p
শুন্য শুন্যালয়
হা হা হা আপু এইভাবে আমাকে বরণ করে নেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। অনেক ব্যস্ততার মধ্যে থাকি তবুও চেষ্টা করবো সবার লেখা মন দিয়ে পড়ার, মন্তব্য করার আর আপনাদের লেখা পড়ে কিছু শেখার। দোয়া করবেন যেন কিছু লিখতে পারি। 😀
তা মনু আন্নের লেখালেখি কোন বাড়িত বেড়াইতে গেলো?
গাজী বুরহান
আমার নানু একটা গল্প বলেছিলেন। সত্যি ঘটনা, তাদের এলাকার এক লোকের চোখ ছিল খুবই খারাপ। কারো খাওয়ায় অথবা কারো গাছে একবার থাকিয়ে প্রসংসামূলক কিছু বললেই আর রক্ষে নাই।
তিনি একবার তার পাশের বাড়িতে কুমড়াগাছে কুমড়া দেখে বলেছিলেন “এত কুমড়া ধরেছে”। সকালে এ কথা বলেছিলেন বিকেলবেলা কুমড়া গাছ সহ জ্বলে শেষ!!
কুমড়াগাছের মালিক পণ করেছিলেন যে এর প্রতিশোধ নিয়েই ছাড়বেন। তিনার একটি বড় পুকুর ছিল, এবং এই পুকুরভর্তি কচুরিপানা ছিল। তিনি ওই লোককে এক কাপ চায়ের দাওয়াত দিয়েছিলেন। চা-খাওয়া এবং গল্পগুজব শেষে তিনি ভদ্র লোককে পুকুরপাড়ের দিকে নিয়ে গেলেন। ভদ্রলোকটি কচুরিপানা দেখে বলেছিলেন “তোমার পুকুরভর্তি তো কচুরিপানা ”
ঘন্টাখানেক পরে সব কচুরিপানা টুপুরটুপুর করে মরে পানির নিচে চলেগেল।
হহহহহহহহহ
ছাইরাছ হেলাল
প্রথমেই দীর্ঘ লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ,
দেখুন প্রবাদ কী না জানি না, তবে এমন ধারনা কিন্তু চালু আছে, আমরা এখানে বলি মুখ লাগা বা চোখ লাগা,
কোন কিছুতে এ সব মানুষদের চোখ/মুখ লেগে গেলে খবর আছে,
আল্লাহর অসীম রহমতে খাচ্ছেন, যা তাঁর বয়সানুকুল নয়, শুধু অবাক চোখে দেখেছি বলেই বাণ মেরে দিলেন, তাও ধন্যবাদ দয়ার মন বলে রেহাই মিলেছে,
ব্লগার সজীব
বর্তমানের অবস্থা কি? ঠিকানা পরিবর্তন হয়েছে? নাকি এখনো বাথরুমই ঠিকানা? 🙂 আগে জানতাম খাবারে নজর দিলে খাদকের এমন হয়, এখন দেখি উলটা, নজরকারীর ঠিকানা হয়েছে বাথরুম 😀 ডাক্তার + প্রকৌশলীর কি অবস্থা? বুড়িমার জয় হোক। দারুন উপস্থাপন।
ছাইরাছ হেলাল
অল্পের উপর দিয়েই গেছে, বলেছি তো, অল কোয়াইট অন দি বাথরুম ফ্রন্ট,
দিন পাল্টাইছে না! এখন বুড়িদের জয়জয়কার!
উনারা বেঁচে বর্তে থেকে আমাদের ‘খাওয়া’গুলো সাবড়ে যান এই কামনা করি।
নাসির সারওয়ার
একটু তাস্কিত হবো কিনা ভাবছি। ব্লগার সজীবের মতোই বলতে হচ্ছে খাদক এবং নজরকারীর ব্যাপারটা কেমন যেনো উল্টো মনে হচ্ছে।
এমন জাঁদরেল খাদক বা নজরকারীকে পেয়ে বাথরুমের কিনা আনন্দই হবার কথা! তা কামান দাগানো হয়েছিলো নাকি ছোটখাটো পকটাতে কাজ সেরেছিল?
আমারে না নিয়ে খাবার জন্যই এরকম। পরের বারে মনে রাখলে উপকার পেতেও পারেন।
আর একটা কথা, সব দিকে নজর না দেয়া কিন্তু ভালো।
ছাইরাছ হেলাল
এই বয়সে আপনার সাহসের প্রশংসা করতেই হয়, পিপীলিকার পাখা!
আপনি হলে আর ফিরতে হত না, ওখানকার বিশেষ রুমেই শয্যা নিতে হত।
নাহ্, কামান-কুমান দূরে থাক গুলতিও ছুড়তে হয়নি, বুড়িমা দয়া/দোয়া দিয়েছেন, অবশ্য কারিশমা যে দেখানোর তা দেখিয়েছেন।
নজর তো কমজোর! দিতে আর পারলাম কৈ! কুবি!
আবু খায়ের আনিছ
আহারে, খাদ্যসুন্দরীর প্রসাধন বাঁচানোর যুগপৎ প্রচেষ্টা।
উল্টোটা যেহেতু হয়েছে, তাই বলা যায়, সবার দিকে নজর দিতে দিতে নজরে দোষ পড়ছে।
ছাইরাছ হেলাল
পাল্টানো দিনে এসব হওয়ারই কথা,
নজরের আর দোষ কী বলুন, সবই কপাল!
আবু খায়ের আনিছ
হা হা হা, সবই কপাল 😀
ছাইরাছ হেলাল
বিশাল বিরাট বিকট কপাল!
মিষ্টি জিন
:D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D)
খাইতে গেছেন তো নজর খাদ্যর দিকে না দিয়ে এদিক উদিক ঘোরে ক্যান?
সুন্দরীরা প্রসাধন বাচিয়ে কেমনে খায় তাও নাকি দেখে কেউ ? মানুষ মানুষ,..
:D)
পেটে ঢাকঢোল কি এমনিতে বেজেছে? নিজেরা খেতে না পেরে বুড়িমা( সুন্দরীর) খাবারে নজর দিয়েছ্ন বলেই তো.. \|/
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন ভাই, খাইতে গেছি ঠিক আছে, খাওন তো মাথায় উঠেছে,
ট্যাকার শোকে দেখে পয়সা উসুল সিস্টেম করতে গিয়ে এই বিপত্তিতে পড়েছি!
আজকাল দেখায় তো কত্ত কিছু! শুধু ‘খাওয়া’টা দেখে কী এমন অন্যায় করেছি!
এরপর টিনের চশমা দিতে বলছেন তো!!
তাহলে কে দেখবে! দেখানোর এই বিশাল বিপুল আয়োজন বৃথা হয়ে যাবে না!
মিষ্টি জিন
আসলে ভাই ,দাঁত যখন কাজ করতে পারে না তখন কি আর করা.. নেত্র ই সম্বল। :D)
লাগান টিনের চম্মা। :D)
ছাইরাছ হেলাল
তথৈবচঃ নেত্র নিয়ে সুবিধা করতে পারলাম কৈ!
চোখ ধার-কর্য কেউ দেয়ও না!
নীলাঞ্জনা নীলা
সুন্দরীদের দিকে এতো দৃষ্টি কেন? বুড়া বয়সে এদিক-ওদিক চাইলে এমনই হবে। 😀
ছাইরাছ হেলাল
সুন্দুরি আর পাইলাম কই!
শেষ কালে বুড়ি ই তো জুটলো! ফোকলা দাঁতের।
নীলাঞ্জনা নীলা
ওই যে বেশী বেশী সুন্দরী খুঁজেন, তাই বুড়ী-ই কপালে জোটে। 😀 :p
ছাইরাছ হেলাল
বুড়িসুন্দুরী তে আপত্তি নেই তো।
ইঞ্জা
খাওয়া দাওয়ার গল্প বললে মেজাজ ধরে কিন্তু শেষের আগে ওই টয়লেটে যাওয়ার বিষয়টাতে ব্যপক মজা পেলাম। :D)
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন ভাই, খাওয়া-দাওয়ার সাথে নিষ্কাশনের ব্যাপারটিও অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িত,
দুজনে দুজনার, তবে এবারে একটু ইয়ে মত হয়ে যাওয়াতেই কিঞ্চিৎ সমস্যা,
ব্যাপার না ভাই।
ইঞ্জা
আমাদের ফেলে ফেলে খেলে এমনই হবে ভাইজান। \|/
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, এর পর সাথে নেব, তবে ঘুণ্টিঘর যার যার তার তার, মনে রাখলেই হবে।
বুড়িমায়েরা সেখানে নেই এমন ভাবেন না!
ভাই,
অরুনি মায়া অনু
হা হা হা চশমিশ দম্পরির খাওয়ার বর্ণনা পড়ে খুব হাসি পেল। তারা বুদ্ধিমান বিধায় এমন করে খায়। অন্তত আপনাদের মত টয়লেটে দৌড়ঝাঁপ করে মধুর রাত্রি নষ্ট করতে হয়না তাদের।
তা আপনি এই কালে এসে এ কি সর্বনাশ করে ফেললেন। বুড়িমার খাবারে লোভ দিলেন! পারলেন এ কাজ করতে! একটুও বাঁধা দিলনা মন। বুড়ি মানুষ আহারে! বুঝুন এইবার বুঝুন! সারারাত দৌড়ের উপর রেখেছে বুড়িমার বদ দোওয়া। আরও লোভ দিন না।
আমি বলি খাবার টেবিলে বসে চুপচাপ খেলেই তো হত। এত এদেক সেদিক তাকিয়ে সুন্দরী খোঁজার কি দরকার ছিল বলুনতো।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, উনারা বুদ্ধিমান তাই নখে তুলে খান! এই যে বুড়ি মা সহ সবাই গোগ্রাসে কম্মকাবার দিয়ে
বহাল তবিয়াতে দিন গুজরান করতেছেন তারা বুদ্ধির ঢেঁকি!
লোভ দেইনি তো, মনে মনে বুড়ি মাকে যুগ যুগ জিও বলেছি, বলছি না বুড়ি মা শাঁকচুন্নিদের প্রতিবেশী!
খেতে পারিনি বলেই তো চোখিয়ে পয়সা উসুল প্রচেষ্টা নিয়ে ভালই ছিলাম,
শেষে এসে বুড়িটা সব লণ্ডভণ্ড করে দিন। বুড়ি নিপাত যাক, কাষ্ঠ সুন্দুরী বেঁচে থাক।
জিসান শা ইকরাম
বুড়িমার আশির্বাদে আমার পেট কিন্তু এখনো ঠিক হয়নি পুরোপুরি,
ডাক্তারকে দেখিয়েছি লেখা, খুব খুশি।
ছাইরাছ হেলাল
দেখি আবার কবে বুড়িমাকে পাই,
তেনারা খুশি হলে আমাদেরও খুশি,