সোনালী মৃত্যুর দ্বার

অনন্য অর্ণব ২০ জানুয়ারি ২০২০, সোমবার, ১২:২১:১৪পূর্বাহ্ন কবিতা ২২ মন্তব্য

অভিসারে তব নৈমিত্তিক মরণের সুর-
বিনিদ্র রাতের গহীনে ধান শালিকের মতোই আমার আনাগোনা,
কখনো বা কিঞ্চিত লোলুপতা- তারপর একরাশ বৈরাগ্য-
তোমার উষ্ণ আলিঙ্গন; প্রসস্থ বাহুপাশেই যেন আমার বিলাসী মরণ।।

কেউ কেউ মহামরণের মহারণে ক্ষান্তি দেয়-
আবার কেউ কেউ সেই ক্লান্তিতে খোঁজে উষ্ণ আলিঙ্গন,
নিজেকে প্রস্তুত করে আরো একটি যুদ্ধের অনুক্রমনিকায়-
আমি নিষিদ্ধ সুরায় আসক্ত হই- ডুবি স্রোতস্বিনী তব সমুদ্র তলে।।

কাদম্বিনী শারদের ঘাট পেরিয়ে হৈমন্তী রাতের নির্জনে-
যে হিলাল পিছু নিয়েছিলো মোর-বেদুইন কাব্যের ধূসর উদ্যানে-
সেও কিগো তোমাতেই নিশানা করেছে বুঝি তাক,
আমি তার মুহুর্মুহু পদধ্বনি শুনতে পাই- ত্রৈমাত্রিক অবগাহনে।।

পৌষের স্নিগ্ধ বিকেলে নীলাম্ভর ভেদ করে শুভ্র বলাকার পাল
দিগন্তের কার্ণিশ ঘেঁষে অসুরের কালো থাবা আজ তুলেছে দেয়াল,
আমাকে যেতেই হবে ঐ দিগন্ত রেখা ভেদ করে আরো বহুদূর-
যেখানে অপেক্ষায় প্রহর গুনছে আমার সোনালী মৃত্যু দ্বার।।

চৈতালি খরা বুকে সান্ত্বনা কেবল পুষ্পিত বাসন্তী বিকেল
আমার পথের পরে দৈবাৎ পড়ে থাকা অনাদৃত ঝরা পাপড়ির দল-
সহসা প্রেরণা দেয়; ক্ষনিকালয় ছেড়ে আমি পথে নেমে আসি
চির মুসাফির আমি এখনো যে- বেদুইন রাতের নিস্তব্ধতা ভালোবাসি।।

উত্তরা ঢাকা।

0 Shares

২২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ