দুইদিন আগেই চট্টগ্রামে ঘটে গেল তুমুলযুদ্ধ, ছাত্রলীগ ভার্সেস পুলিশ, কাহিনী হইল চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামে সুইমিংপুল বানানো হচ্ছে আর তার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ মহা হুলুস্তুল শুরু করে দিলো, মেয়র মহোদয় দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন, কি করা যায়, কি করা যায়?
উনি মহান আল্লাহ্র কাছে মোনাজাত করে এই বিষয়ে একটা বিহিত চাইলেন আর আল্লাহ্ও উনার ফরিয়াদ শুনে দিলেন অঝোর বৃষ্টি আর সেই বৃষ্টিতে সৃষ্টি হলো বিরাট বিরাট সুইমিংপুল, রাস্তাঘাট সব সুইমিংপুল হয়ে গেলো।
ছেলেরা খুশি হয়ে ডাইভ দেওয়া শুরু করিলো, মেয়র মহোদয় তো বেজায় খুশি, আনন্দে বগল বাজাতে শুরু করলেন।
রিক্সাওয়ালারা খুশিতে গদ গদ হইয়া এই সুযোগে দিলো তাদের রিক্সা নামিয়ে সেই সুইমিংপুলে।
ভ্যান গাড়ীও বাকি থাকবে কেন, যাত্রী উঠিয়ে সেও নেমে পড়লো, মেয়র মহোদয় আরো খুশি।
উনি খুশি হয়ে আবার ফরিয়াদ দিলেন, হে আল্লাহ্ মাবুদ, শুধু কেন রাস্তাঘাটে সুইমিংপুল হবে, বাড়ী ঘর সব জায়গায় সুইমিংপুল চায় আর পেলেনও, আর কি চাই উনার, উনি বগল বাজান, সাথে চট্টগ্রামবাসীও বগল বাজাতে থাকেন, সব জায়গায় আর মাটির চিহ্ন নাই, সব সুইমিংপুলময় হয়ে গেলো, আহা কি মজা আকাশে বাতাসে।।
\|/
৩৭টি মন্তব্য
চাটিগাঁ থেকে বাহার
\|/ \|/ \|/
\|/ \|/
\|/
ইঞ্জা
^:^ ^:^
মৌনতা রিতু
ভাইজু ওনার কান্নায় সারাদেশে এখন সুইমিংপুলের উপ্রে আছে। ভাবছি এখন ছেলের অংক পরীক্ষাবের হব কেমন করে! রাস্তায় এক হাঁটু পানি। নৌকার অর্ডার দিতে হবে।
দারুন হইছে পোষ্ট।
ইঞ্জা
আপু আপনি জানেন কিনা জানিনা, চট্টগ্রাম শহর সমুদ্র লেভেল থেকে অনেক উঁচুতে, কারণ চট্টগ্রাম শহরই পাহাড়ি এলাকা, কিন্তু দুঃখজনক ভাবে অবহেলা অনাদরে চট্টগ্রাম শহর পর্যটন এলাকা হওয়ার পরও সামান্য বৃষ্টিতে ৮০% এলাকা পানিতে ডুবে যায়। 🙁
সরকার চাইলেই এই সমস্যার উত্তরণ সম্ভব।
নীলাঞ্জনা নীলা
এই অবস্থা!!!
এমন সুইমিংপুল চাইনা।
হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া আপনার এই পোষ্ট পড়ে বেশ হাসছি। এখানে গতকাল কি প্রচন্ড বৃষ্টি হলো, তবে সুইমিংপুল হয়নি। 🙁
ইঞ্জা
দুঃখজনক হলো চট্টগ্রাম দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী হলেও, চট্টগ্রাম বন্দরের টাকা দিয়ে পুরা দেশ চললেও, সকল সরকার চট্টগ্রামকে কখনোয় উন্নতির শিখরে নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করেনি, বারবার চট্টগ্রামের দুঃখ চাক্তাই খাল খননে অনিহা থেকেই এই শহরে ব্যাঙ প্রসাব করলেও পানিতে ডুবে যায় আমার জম্মস্থান। 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
কাল বিডিনিউজে পড়লাম, কি খারাপ অবস্থা!
আমাদের দেশের মানুষ নিজেরাও কিছু করতে চায়না ভাইয়া।
ইঞ্জা
আপু সবাই আছে সবার তালে, ঐদিকে যে নিজের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে তা কেউ বুঝেনা।
ছাইরাছ হেলাল
ইহা অবশ্যই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা,
প্রকৃতি একটু খেলাধুলা করতেছে আপন মনে!!
ইঞ্জা
ভাইজান, আপনি কি রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন নাকি, সরকারের কণ্ঠ শুনছি মনে হচ্ছে? :p
চট্টগ্রামে অনেক মেয়র এলো আর গেলো কিন্তু চট্টগ্রামের দুঃখ চাক্তাই খাল খননে কেউ গা করলোনা, উল্টো এক সময়ের মেয়র মইনউদ্দিন সাহেব খাল নালাতে দোকান ঘর নির্মাণ করে করে পানি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেন, আশা ছিলো নতুন মেয়র এসেছেন তো দুঃখ ঘুচবে কিন্তু বিধিবাম, উনি আছেন উনার রাজনীতি নিয়ে। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
ভাই, এই অধম ম্যাংগো পিপল,
বড়দের কায়কারবার বুঝতে অপারগ!!
যাহা বাহান্ন তাহাই তিপ্পান্ন!!
ইঞ্জা
হা তা ঠিক বলেছেন ভাইজান, এরপরেও আমাদের উচিত প্রতিবাদ করা আর এতেই হয়তো সরকারের টনক নড়বে, ধন্যবাদ ভাইজান।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আহ! সুইমিং পুল। বিধাতা বড়ই সুপ্রসন্ন মেয়র মহোদয়ের উপর।
ইঞ্জা
হরে আপা, মেয়র সাপ এখন খুশিতে ধেই ধেই করে নাচছেন। :@
নীহারিকা
আমারতো সুইমিংপুলে ঝাপ মারতে ইচ্ছে করছে। আহা, কতদিন সাঁতার কাটি না 🙁
ইঞ্জা
দাদী অপেক্ষা করুন, কয়েকদিনের মধ্যে সাবমেরিন নাকি শহরে আসবে, তখন আপনাকে সাবমেরিনে নিয়ে পুরা চট্টগ্রাম শহর ঘুরিয়ে দেখাবো, কি যে মজা হবেনা…… \|/
নীহারিকা
ওয়াও, দারুন হবে। আমি কোনোদিনও সাবমেরিনে চড়ি নাই।
ইঞ্জা
অবশ্যই চড়বেন দাদীজান, সাবমেরিনে উঠার পর আমি আর আপনি গান ধরিবো, ওরে নীল ধরিয়া, আমায় দেরে দে ছাড়িয়া……….. :p
মোঃ মজিবর রহমান
প্রকৃতির আমাদের শেষ ভরসা।
তো এই সুইম্নগ পুলে মেয়র হাসলেও কাদছে জনগন।
ইঞ্জা
সহমত ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
(y)
ইঞ্জা
(3
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আমাদেশের কর্তারা কেবল ক্ষমতাবাজীতে মেতে আছেন।কোন উন্নয়ণের দিকে নজর নেই।ভাল লিখেছেন -{@
ইঞ্জা
একদম ঠিক বলেছেন মমি ভাই। (y)
জিসান শা ইকরাম
বাহ বাহ বাহ,
কি চমৎকার দেখা গেলো 🙂
ইঞ্জা
এইটা আর কি দেখলেন ভাইজান, দেশের নতুন দুই সাবমেরিন তো শহরের ভিতরেই চালানর জন্য আনা হয়েছে, যখন সাবমেরিন চালু হবে, তখন আপনাকে নিয়ে গিয়ে সাবমেরিনে করে চট্টগ্রাম শহর দেখাবো। :p
জিসান শা ইকরাম
ভাই ছবি গুলো দিয়ে আপনি সবার মন্তব্যের জবাবে যা লিখলেন, তা আর একটু বিস্তৃত করে লিখলে অনেক শক্তিশালী একটি ব্লগ পোষ্ট হতো এটি। বর্তমানে যেভাবে দিয়েছেন, তা কিছুটা ফান পোষ্ট হয়ে গিয়েছে।
শুভ কামনা
শুভ ব্লগিং।
প্রহেলিকা
জিসান শা ইকরাম বলেছেনঃ
বাহ বাহ বাহ,
কি চমৎকার দেখা গেলো
ইঞ্জা
আমিও বলেছি, সাবমেরিনে করে উনাকে চট্টগ্রাম শহর ঘুরিয়ে দেখাবো। :p
মেহেরী তাজ
ভাইজান কি অবস্থার মধ্যে আছ মানুষ ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে….
ইঞ্জা
অবশ্যই কষ্টের কথা, আমরা যারা নিরাপদ আছি, তাদের কাছে এই কষ্ট উপলব্ধি ভিন্ন ধরণের।
ধন্যবাদ আপু।
লীলাবতী
এটি একটি মেট্রোপলিটান শহর! আর এই শহরের একজন মেয়র আছেন! লজ্জাও করেনা ওনার এই পদে এখনো বসে আছেন।
ইঞ্জা
আপু উনার লজ্জা থাকলে তো ওই পানিতে ডুবে মরতেন, উনি আছেন নতুন নতুন দোকান ঘর বানিয়ে ব্যবসা ফাঁদতে, পারলে নালার ভরাট করে হলেও ব্যবসা চালাবেন।
শুন্য শুন্যালয়
ছেলে খুব আবদার করতেছে, তার সুইমিংপুল ওয়ালা বাড়ি চাই। দেশে নিয়ে যাই কী আর করার। 🙁
পোস্ট পড়ে হাসবো না কাঁদবো আপনিই বলে দেন ভাইয়া কারন দুইটাই আসতেছে। একসাথে তো দুইটা সম্ভব না। তাই উপরওয়ালা মেয়রদের কথা শোনে, আপনার আমার না।
ইঞ্জা
আপু এই ঘটনা বেশ অনেক বছর ধরেই চট্টগ্রাম শহরে চলছে, এই সব ছবিই বলে দেয় এই পানি চট্টগ্রামের দুঃখ হয়ে উঠেছে কিন্তু দেখার কেউ নেই, সরকার উঠে পড়ে লেগেছে চট্টগ্রামে দীর্ঘ ফ্লাইওভার বানাতে, কিন্তু দুঃখজনক ভাবে এই আবদ্ধ পানি নিষ্কাশনে তাদের চিন্তা নেই।
আবু খায়ের আনিছ
কিছুদিন আগে ঢাকায় এমন এক দৃশ্য দেখেছিলাম আমি।
যাইহোক, আমাদের দেশের একটা বিরাট অসঙ্গতি তুলে এনেছেন রম্যের ভাষায়। ঠিক রম্য বলব না, ব্যাঙ্গাত্মক প্রতিবাধ বলাই শ্রেয়।
শুধু চট্টগ্রাম নয়, ঢাকায় অনেক জায়গায় এই রকম অবস্থার সৃষ্টি হয়।
বর্ষাকালে যাতে রাস্তায় সমস্যা না হয় সেই জন্য শীত কালে রাস্তার সংস্কার করা হয় কিন্তু আমাদের এই শহরে হয়েছে তার উল্টোটা। ভালো রাস্তাও খুড়েঁ এখন সংস্কার কাজ করছে, যা পরিবেশ ভালো করবে কি, উল্টো বিড়ম্বনা আরো বাড়িয়ে তুলছে। লোক দেখানো উন্নয়ন করলেও আমাদের কিছু করার নেই ধরে নিয়েই আমরা নিরবতা ধারণ করে নিয়েছি।
মাঝে মাঝে আমি একটা বিষয় খেয়াল করি আসাদ গেইট, মানিক মিয়া এভিনিউ, ধানমন্ডি সাতাশ নাম্বারে যাতায়াত করার সময়। এই রোডের ম্যানহোলগুলো দিয়ে পানি না গিয়ে বরং পানি উপচে পড়ে। অথাৎ এরা জলাবদ্ধতা কমাচ্ছে না বরং বৃদ্ধি করছে। হাস্যকর লাগে তখন বিষয়টা।
ইঞ্জা
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, শতভাগ সহমত পোষণ করছি আপনার সাথে।