সাইবার বুলিং ও বডি শেমিং

সুপর্ণা ফাল্গুনী ৯ জুলাই ২০২১, শুক্রবার, ১২:০০:০৩পূর্বাহ্ন সমসাময়িক ২৪ মন্তব্য

শিক্ষক আমাদের জ্ঞানের আলো দেয়, সঠিক পথ প্রদর্শক, ন্যায়/অন্যায় শেখায় তাদের থেকে কি শিক্ষা পেল সামিন?

আজ আর নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না কে আমাদের সঠিক পথ প্রদর্শক!! আচ্ছা আমরা কি অসভ্য , ইতরের জাতিতে পরিণত হয়ে গেছি? সোস্যাল মিডিয়ার কল্যাণে সামাজিক হবার পরিবর্তে অসামাজিক, সাম্প্রদায়িক হয়ে পড়েছি। ফেসবুকে যত ধরনের সংবাদ প্রকাশিত হোক না কেন তার মন্তব্যের ঘরে গেলে নিজেকে ধিক্কার জানাই -কেন আমি এখানে এলাম সেইজন্য। সবাই যেন এখানে একেকজন বিশেষজ্ঞ, ধার্মিক, পরকালের জজ সাব। এসব মন্তব্যে আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই একাকার; কেউ কারো চেয়ে কম নয়। মন্তব্যকারী বাদে আর সবাই নষ্ট, খারাপ, নরকের বাসিন্দা। অথচ এখানে সুস্থ, সুন্দর একটা প্লাটফর্ম হবার কথা সামাজিক বন্ধনের। সোস্যাল মিডিয়া কি শুধু গালিগালাজ এর জন্য , সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর জন্য ? আর কত প্রাণ গেলে এসবের অপব্যবহার বন্ধ হবে?

 

বডি শেমিং আগেও ছিল, এখনো আছে । সংজ্ঞা অনুযায়ী আপনি যদি কারও দেহের আকার, আয়তন বা ওজন নিয়ে প্রকাশ্যে এমন কোনো সমালোচনা বা মন্তব্য করেন যাতে সেই মানুষটি লজ্জাবোধ করেন বা অপমানিত হন, তবে তা বডি শেমিং। সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকে যারা কটাক্ষ করে, উঠতে-বসতে কথা শোনায় তাদের জন্য সত্যিই ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই দেবার নেই। শিশু ও নারীরা এর শিকার হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। নতুন করে যুক্ত হয়েছে সোস্যাল মিডিয়ার বুলিং। বাংলাদেশে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশ সাইবার বুলিংয়ের শিকার। তথ্য বলছে দেশের ৪৯ শতাংশ স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থী সাইবার বুলিংয়ের নিয়মিত শিকার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, দেশের তিন-চতুর্থাংশ নারীই সাইবার বুলিংয়ের শিকার।

 

তবে এ বিষয়টি অপ্রকাশিতই থেকে যায়। মাত্র ২৬ শতাংশ অনলাইনে নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ করে অভিযোগ দায়ের করেন। বাকিরা ভয়ে থাকেন অভিযোগ করলেই তাদের সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হতে হবে। সাইবার বুলিং ছাড়াও মোবাইল ফোন বা ই-মেইলেও এ ধরনের নির্যাতনের ঘটনা অহরহ ঘটছে। এসবের ফলে নারীদের মধ্যে প্রচণ্ড হতাশা, পড়াশোনায় অমনোযোগিতা, অনিদ্রা ইত্যাদি নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। এমনকি আত্মহননের ঘটনাও ঘটতে পারে।

 

ভালো কাজ করলে ও তাকে কটাক্ষ করে কথা বলবে। যেমন আমাদের ক্যাপ্টেন, এমপি মাশরাফি। তিনি অনেক অনেক ভালো কাজ করছেন যা আমাদের দেশের নেতাদের সার্বজনীন চরিত্রের সঙ্গে যায় না তবুও তিনি অসভ্য, ইতরদের বুলিং এর শিকার প্রতিনিয়ত হচ্ছে ।আর মিডিয়ার লোকরা তো সবচেয়ে নিকৃষ্ট এদের কাছে। অথচ দেশে যত ডিভোর্স হচ্ছে, অন্যায়, অপকর্ম হচ্ছে তার বেশীরভাগই মিডিয়ার বাইরের লোকজনের দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে। তবুও একমাত্র মুসলিম ধর্মাবলম্বী (মিডিয়ার লোকজন ছাড়া) বাদে আর সবাই নরকে যাবে এটা তারাই ঠিক করে দিচ্ছেন।

 

একজন মানুষ মরে গেলে তার জন্য কষ্ট না পেয়ে তার বিচার করতে বসে যান। এখানে সবার চারিত্রিক সার্টিফিকেট দেয়া হয়, স্বর্গ/নরকের টিকিট দেয়া হয়। অথচ যে ভাষা তারা ব্যবহার করে তা কোন আইনে বিশুদ্ধ, সর্বজন স্বীকৃত, স্বর্গে যাবার টিকিট? অসভ্য, ইতরের দল এখানে সবসময় ওৎ পেতে থাকে বাজে মন্তব্যের জন্য। এদের মন্তব্য/কটাক্ষ কতোটা ক্ষতের সৃষ্টি করে তা শুধু ভুক্তভোগীরাই বুঝে, জানে‌। কেউ দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে আর কেউ প্রতিবাদ করতে গেলেই উল্টো আরো বেশি উগ্রতার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।

 

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে এখন নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন নেটিজেনরা। ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, টুইটার, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদির মাধ্যমে তারা সাইবার অপরাধীদের শিকারে পরিণত হচ্ছেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সাইবার বুলিং। নারীরা ও শিশুরা এর প্রধান শিকার। মানুষের মন ভালো করার কাজ যদি অনেক শ্রমসাপেক্ষ ও কষ্টকর মনে হয়, তাহলে সহজ কাজটিই করুন—দয়া করে কারও মন খারাপ করে দিবেন না। Please Stop Body Shaming and Cyber Bullying.

কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি, সোস্যাল মিডিয়ার দিকে প্রশাসনের কড়া তদারকি ই পারে এসব অসভ্য, জানোয়ারদের সঠিক পথে আনতে। দশম শ্রেণীর ছাত্র সামিন শেষপর্যন্ত ওপাড়েই চলে গেল এ দায়ভার কার- আমার? আপনার?

 

ছবি-গুগল

0 Shares

২৪টি মন্তব্য

  • হালিমা আক্তার

    ওপারে ভালো থাক সামিন। সামিন সম্পর্কে লেখাটা পড়ে আছে খুব মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ভেবে ছিলাম এ সম্পর্কে কিছু লিখবো কিন্তু সময় করে উঠতে পারলাম না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বুলিং নিয়ে চমৎকার লেখার জন্য। শুভ কামনা অবিরাম।

  • সুরাইয়া পারভীন

    মানুষের অবয়বে গড়া না-মানুষদের মধ্যে থেকে মনুষ্যত্ব মানবিকতা উঠে গেছে। তাই তারা এটা বুঝতেও পারে না এইসব নেক্কারজনক কথা বার্তা তাকেও হেয় করে। তার জন্ম নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব না হয়ে শ্রেষ্ঠ নিকৃষ্ট জীবে পরিণত হয়ে। চমৎকার একটি পোস্ট পড়লাম। ভালো লাগলো

  • প্রদীপ চক্রবর্তী

    লেখাটা পড়লাম!
    কিন্তু মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব বলে জাহির করে।
    আর এ শ্রেষ্ঠ জীব দিনদিন নিকৃষ্টের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
    বাড়ছে অন্যায়, অত্যাচার, ধর্ষণ, খুন, রাহাজানি ইত্যাদি কতকিছু। পৃথিবী ধ্বংসের দিকে হাঁটছে মানুষ মৃত্যু পুরিতে সামিল হচ্ছে তবুও মানুষ সচেতন হচ্ছে না।
    দশম শ্রেণীর ছাত্র সামিনের ঘটনা পড়েছি খুবি কষ্ট লাগলো।
    এভাবে যেন আর না যায় প্রাণ।
    .
    আমাদের সকলের সচেতন হওয়া উচি।

  • রোকসানা খন্দকার রুকু

    অসাধারণ হয়েছে দিদি ভাই।
    মনুষত্ব শুধু মানুষের মাঝেই নেই। আমরা ইতর শ্রেণীতে পরিণত হচ্ছি দিনদিন। মানুষকে কটাক্ষ করা। তার দোষ খুঁজে বের করাই যেন কাজ আমাদের। এসব মানুষদের জন্য ঘৃনা ও শাস্তি দাবী করছি!!!
    ভালো থাকবেন দিদিভাই!!!

  • ছাইরাছ হেলাল

    দিনকে দিন আমরা অসম্ভব জাজমেন্টাল হয়ে যাচ্ছি, সেখানে শিক্ষক ও আছে একই কাতারে।
    বডি শেমিং এর শিকার হন-নি এমন কেউ আছে কী না জানিনা, তাতে মোটা-চিকন সুন্দর-অসুন্দর কোন ব্যাপার না।
    শিশুটির ঘটনা দেখে মর্মাহত হয়েছি।

  • তৌহিদুল ইসলাম

    চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে বিশ্লেষনমূলক লেখায় মুগ্ধ হলাম। আমরা অনেকেই এই বুলিং এর শিকার হই কিন্তু প্রকাশ করতে কুণ্ঠাবোধ করি। নারীদের ক্ষেত্রে এটি বেশী হয়। পুলিশিকেও জানাইনা সামাজিক হেয় প্রতিপন্ন হবার ভয়ে। অথচ সাহস করে বললে আজ পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারতো। দোষীরা সাহস পেতোনা।

    যে শিশুটিকে নিয়ে লিখলেন তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই বলার ভাষা পাচ্ছিনা। সব ধরনের বুলিং বন্ধ হোক এটাই কাম্য।

    শুভকামনা আপু।

  • জিসান শা ইকরাম

    অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয় লেখায় প্রকাশ পেয়েছে।

    সোস্যাল সাইট ফেসবুকে গেলে মনে হয়, আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে বর্বর, অসভ্য, অশিক্ষিত এক জাতি। বিভিন্ন পোস্ট পড়ে এবং মন্তব্য দেখে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যাই। কুকুড়ের পেটে ঘি সহ্য হয় না – এই প্রবাদ মনে পরে যায় ফেসবুকে গেলে। আমি আন্তরিক ভাবে চাই যে দেশে ফেসবুক বন্ধ করে দিক সরকার।
    যতদিন ফেসবুক থাকবে, সাইবার বুলিং বন্ধ হবে না।

    বডি শেমিং যে অপরাধ তা এই বর্বর জাতির ধারনাই নেই।

    এমন পোস্ট আরো চাই।
    শুভ কামনা।

  • সাবিনা ইয়াসমিন

    সামিনের সাথে যা হয়েছে এটা সুস্থ মানসিকতার মানুষের পক্ষে সহ্য করা সম্ভব না। শুধু একজন সামিনের ক্ষেত্রে এমন ঘটেছে তা নয়, এমন বহু কিশোর কিশোরী, প্রাপ্তবয়স্ক, সম্মানিত ব্যক্তিদের মধ্যেও কেউই বাদ যাচ্ছে না সাইবার বুলিং এর প্রকোপ থেকে। সাইবার আইন কঠোর থেকে কঠোরতর হচ্ছে কিন্তু অসুস্থ বিকারগস্ত মানুষদের থামানো যাচ্ছে না। সোস্যাল মিডিয়া না এলে কখনো হয়তো বুঝতেই পারতাম না মানুষের অবয়বে ইতর প্রানীর সংখ্যা শিক্ষিত/অশিক্ষিতের লিমিট রাখে না।
    সব ধরনের বাজে মানসিকতা ছেড়ে সোস্যাল মিডিয়ায় মানুষের মনুষ্যত্ব সুস্থ ভাবে প্রকাশ হোক এটাই কাম্য।

    বর্তমানে বহুল আলোচিত এই সামাজিক সমস্যাটি নিয়ে আপনার বিশ্লেষণ মুলক লেখাটি প্রশংসার দাবী রাখে। আরও লিখুন, কলম হোক সকল অস্বাভাবিক ঘটনার প্রতিবাদের হাতিয়ার।

    ভালো থাকুন, শুভ কামনা 🌹🌹

  • মনির হোসেন মমি

    কিছু কিছু সাইট আছে যেখানে মন্তব্যগুলো দেখলে ঘৃণা আসে।সাইবার বুলিং এর কথা আর কী বলব এটা এখন ওপেন সবায় জানে তবুও যেন অহরহ এসব ঘটছেই ।।আমাদের ব্লগেরই একজন ব্লগে আসার পূর্বে ফেবুকে তার বিভিন্ন পোষ্টে বাজে বাজে মন্তব্যে বিব্রত হতেন এবং ইগনোর করে যেতেন কিন্তু এ ভাবে আর কতকাল নারীরা অপমানিত হবেন সাইবার বুলিংএ শিকার হয়ে সামিনরা পরপারে যাবেন।উত্তর জানা নেই।সবার বোধদয় ঘটুক এই প্রত্যাশা।
    সাইবারবুলিং ঘটলে বা ঘটতে দেখলে কি করবেন

    সাইবার বুলিং একধরণের বুলিং। একে গুরুত্ব দিয়ে দেখুন। আপনি যদি একজন অবিভাবক হয়ে থাকেন তাহলে আপনার আপনার সন্তানের ডিজিটাল বিহেভিয়ার লক্ষ্য করুন। অস্বাভাবিক আচরণ প্রত্যক্ষ করলে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করুন –

    খেয়াল রাখুনঃ আপনার সন্তানের বা পরিবারের কোন ছোট সদস্যের মেজাজ খুব দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে কিনা খেয়াল রাখুন। একই সাথে এই মেজাজ খারাপের সাথে তার ডিজিটাল ডিভাইসের কোন সম্পর্ক আছে কিনা বোঝার চেষ্টা করুন।

    কথা বলুনঃ কথা বলে জানার চেষ্টা করুন কি ঘটেছে, কিভাবে এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটলো, কে বা কারা এর সাথে জড়িত জানার চেষ্টা করুন।

    প্রমাণ রাখুনঃ কোথায় কি ঘটছে তার রেকর্ড রাখুন। সম্ভব হলে ক্ষতিকর পোস্ট বা কমেন্টের স্ক্রিনশট নিয়ে রাখুন। বিভিন্ন আইন ও নীতিমালা বলে যে বুলিং পুনঃ পুনঃ সংঘটিত হয় এমন একটি অপরাধ; সুতরাং আপনি রেকর্ড রাখার সুযোগ নিশ্চয়ই পাবেন।

    রিপোর্ট করুনঃ অধিকাংশ সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের নিজস্ব রিপোর্টিং পদ্ধতি আছে। সেগুলো অনুসরণ করুন। প্রয়োজনে সেই সাইটে যোগাযোগ করে অফেনসিভ কন্টেন্টটি রিমুভ করার জন্য বলুন।

    সাপোর্টঃ সাইবার বুলিং এর শিকার কোন ভিকটিমের জন্য সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে সাপোর্ট। আপনার পরিবারের জুনিয়র সদস্যটির অস্বভাবিক আচরণে ক্ষুব্ধ না হয়ে তার সমস্যাটি বোঝার চেষ্টা করুন। কিভাবে সে এ সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে পারবে সে ব্যাপারে তাকে সাহায্য করুন। সাহস যোগান, মনোবল অটুট রাখতে উৎসাহিত করুন। আপনার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট থাকলে সেখানে ভিক্টিমের ব্যাপারে পজিটিভ কথা বলুন, এত দেখে তার ভালো লাগবে। এছাড়া এটি তার খারাপ অভিজ্ঞতা ভুলতে সহায়তা করবে। (তথ্য অনলাইন হতে)

  • মোঃ মজিবর রহমান

    আমি গতকাল ফেবু আপ ডিসএবল করেছি। জানিনা কতদিন দূরে থাকব।
    নিজেকে শুধরাতে না পারলে বা নিজের মন পচন থেকে দূরে না থাকলে কিভাবে ভালো হবে।
    স্রষ্টায় জানে কে কোথায় স্থান পাবে। তাঁর গ্যারান্টি কোন ব্যাক্তি দিতে পারবে না। আপনার লিখা পড়ে খুব মর্মাহত ও হতাশ হওয়া ছাড়া কোন উপায় নায়। দেশের আইনও রক্ষাকারীরা আরও বেশি ক্রাইম করে ফেলছে অন্যায়কারীদের সঙ্গে মিশে। এখান থেকে বাচার উপায় জানিনা বোন।
    এক বিচার স্রষ্টার কছেই দিলামবা দিই আমরা কারণ আমাদের বাহু ও আইনি ক্ষমতা নায়।
    একজন একজনের প্রতিপক্ষ হতেই পারে তাই বলে কুকাজের বা মারাত্বক কোন ক্রাইম করে প্রতিশোধ নেয়া থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।
    আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোষ্টের জন্য।

    • সুপর্ণা ফাল্গুনী

      সত্যি এখান থেকে দূরে সরে থাকা কঠিন, এখানে আপনাদের পেয়েছি, বন্ধুবান্ধব এর সাথে যোগাযোগ হয় , অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারছি, সোনেলাকে পেয়েছি। তাইতো ছেড়ে থাকা সত্যিই কঠিন। কিন্তু এসব কুলাঙ্গার দের জন্য সোস্যাল মিডিয়ার ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে গেছে, সৌন্দর্য হানি হয়েছে, এর উপকারিতা বিপন্ন হয়ে পড়েছে। ভালো থাকুন নিরাপদে থাকুন শুভকামনা অবিরাম

  • নাসির সারওয়ার

    খুবই দুঃখজনক।
    তবে কোনভাবেই প্রযুক্তিকে দায়ী করা ঠিক হবেনা। এর সঠিত ভাবে ব্যবহার করার মানসিকতা আমাদের অনেকেরই নাই। কষ্ট হয় যখন একজন শিক্ষক এর অপব্যবহার করেন। ঊনারাতো আমাদের দ্বিতীয় বাবা-মা হবেন।

    অনেক সুন্দর করে সামাজিক অবক্ষয় তুলে ধরেছেন। ভালো থাকুন।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ