সাংবাদিক রোজিনা ইস্যুতে কে ভুল কে সঠিক সে বিতর্কে যেতে চাইনা। রোজিনা আপার পাস ছিলো সচিবালয়ে প্রবেশের। তাকে গোপনে এতকিছু করতে হবে কেন? সরকারি নথি পর্যন্ত পৌঁছানো চাট্টিখানি কথা নয়! এবং এটি অবশ্য অপরাধ।

আমরা সবাই রোজিনা আপার প্রতি মানবিকতা/অমানবিকতার প্রশ্নটিকে হাইলাইট করছি। কিন্তু যে সোর্সের সাহায্য তিনি পাচ্ছিলেন সেই সোর্সটি কে, তাকে কেন ফ্রন্টএন্ডে আনার কথা বলছিনা?

যুগে যুগে নিজেদের অস্তিত্ব সংকট নিরসনে যে নৌকার পাল বড় মানবিকতাকে সেই নৌকতেই ভাসতে দিয়েছি। প্রমাণ হচ্ছে- গাঁজায় রক্তক্ষরণে মৃত মুসলিমদের প্রশ্নে মানবিকতার মূর্ত প্রতীক এঙ্গেলা মার্কেল ইসরাইলকে সমর্থন দিয়েছেন। চীন উইঘুর মুসলিমদের বিষয়ে মানবিক নয়, অথচ যুক্তরাষ্ট্রকে বলছে প্যালেস্টাইন ইস্যুতে নিজেদের পক্ষ স্পষ্ট করতে!

আলজাজিরাকে পাথেয় করে কাতারের আইএস প্রীতি এবং বাংলাদেশের মতো অন্যান্য অনেক দেশের নামসর্বস্ব ইসলামী দলগুলোতে অর্থায়ন করে ধর্মীয় জঙ্গিবাদী উষ্কানী ছড়ানো এটি ওপেন সিক্রেট। অথচ কান্ড দেখুন, মানবিক কারনে সেই কাতারের প্রধানমন্ত্রী প্যালেস্টাইন ইস্যুতে এখন সৌদিআরবে।

এরদোয়ান, সৌদিআরব এসব ইস্যুতে কিছু বললে অনেকেই গোস্বা করবেন। বিশ্বের মানবিক নেতারাও নিজেদের মানবিকতাকে মজলুম, জুলুমবাজদের কাতারে স্থাপন করেছেন। বিশ্বে মানবিক নেতা একজনও আছেন কিনা সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।

মানবিকতার প্রশ্নে এসব ইস্যু রোজিনা আপার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কারন মানবিকতা এখানে ভিন্নরুপী। যদি প্রশ্ন তুলতেই হয় তাহলে প্রশ্ন করুন রোজিনা আপাকে নিয়ে কে কারা তার ভিডিও করেছে, ছবি তুলেছে? মানবিকতার একপাক্ষিকতা গ্রহণযোগ্য হয়না। আমরা বসুন্ধরা ইস্যুতেও সাংবাদিকদের ভূমিকা দেখেছি, রোজিনা ইস্যুতেও দেখলাম। আসমান জমিন ফারাক!

কাউকে ডিফেন্ড করছিনা, তবে কোন ক্ষোভ থেকে এই ঘটনা ঘটেছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা উচিত। রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের অন্যতম চালিকাশক্তি সাংবাদিক উভয়ের সমভাবাবেগই পারে আগত ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা প্রতিহত করতে। বিশ্বের দরবারে আমাদের মাথা হেট হোক তা কাম্য নয়।

রোজিনা আপার বিপক্ষে রিমান্ড আবেদন খারিজ করে মহামান্য আদালতই আজ সবচেয়ে বড় মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।

0 Shares

২০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ