শতাব্দি ধরে জড়ো হওয়া স্মৃতিরা ওড়ে
ওড়ে সদ্য ধুসর চুল মৃদু-মন্দ সাগর হাওয়ায়
মন-ঘরের ভেজানো জানালা-কপাটগুলো
খুলে যায় গাঙচিলের ছড়ানো ডানার মতো
মুখে সুনসান নীরবতা, মুখরিত অন্তরাল
ভাবনার পর্দায় ভেসে ওঠে অতীত নিপুণ
যে ছবি বোঝে না ব্যস্ত জনারণ্য-
শুধু অস্তগামী সূর্যের গা বেয়ে নামা গোধূলি আলো
দেখে নেয় সবটুকু তার।
স্মৃতিগ্রন্থের বুক থেকে কখন যে খসে গেছে
কষ্টের দিনলিপি, যেমন খসে যায়
শীতার্ত বৃক্ষের মুমূর্ষু সব পাতা।
কোনো অভিযোগ, কোনো অভিমান নেই জমা
কোনো গ্লানি নেই বিসর্জনের।
সুখ-অসুখ আর আনন্দ-বেদনার পথ বেয়ে
যতোটা নোনা জল দিয়েছিলো চোখের আঙিনা পাড়ি
যেন পদপ্রান্তে ঢেউ হয়ে ফিরে ফিরে আসে।
সমুদ্র সকাশে শেষ হলে শব্দহীন কথোপকথন
আত্মজের হাত ধরে ফেরেন নিরাপদ আশ্রয়ে
আমি সুখাদ্র চোখে দেখি
অন্তরে অনন্ত জলধি পোষা জননীর সমুদ্রদর্শন।
৪ অক্টোবর ২০০৯
৬টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
সমুদ্রের পাড়ে হেটে হেঁটে আপনার কবিতাটি পড়তে ইচ্ছে করছে, লাইনগুলো এমনই অসাধারণ..
একজন কবি
ধন্যবাদ
মশাই
কোনো অভিযোগ, কোনো অভিমান নেই জমা
কোনো গ্লানি নেই বিসর্জনের।
কৈশোর পেরিয়ে যুবক হয়েছিলাম আর যুবক পেরিয়ে আজ যখন বৃদ্ধ হয়েছি তখন আপনার এই চরণগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা জাগলো। আজ এই বৃদ্ধ বয়সে আমারও ঠিক একই কথা মনে হয়। মনে হচ্ছে নিজেরই কথা।
মুগ্ধ হলাম কবিতা পাঠে। কবিতার শব্দচয়ন অসাধারণ। শুভেচ্ছা জানবেন কবি।
একজন কবি
আপনাকেও শুভেচ্ছা…
জিসান শা ইকরাম
শব্দ চয়নে মুগ্ধ হয়েছি খুব।
শুভকামনা।
খসড়া
ভাল লাগলো।