বিদগ্ধ পৃথিবীর এককোণে বসে নিজের অস্তিত্ব রক্ষার আদিমসত্ত্বায় মগ্ন সৃষ্টির প্রথম মানব আর আমাদের ভাবনার মাঝে খুব একটা তফাৎ নেই। প্রজন্মান্তরবাদের নিয়মে সভ্যতায় বসবাসকারী প্রত্যেকটি মানুষ নাটাইছাড়া ঘুরির মতন পতপত করে উড়ে চলেছে মুক্ত আকাশে।

মানুষ পাহাড়ের গুহা থেকে বেরিয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত যতগুলো সভ্যতা সৃষ্টি করেছে সবগুলোই একটির পর একটি বিলুপ্ত হয়েছে। পৃথিবীতে সেসবের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে রয়ে গিয়েছে শুধুমাত্র কিছু ধ্বংসাবশেষ।

সভ্যতার বিকাশে প্রস্তরযুগ থেকে আধুনিক সভ্যসমাজে পা রেখেছি আমরা। বেশভূষায় ফ্যাশনের ছোঁয়া লেগেছে। কখন কিভাবে সভ্যতার কাটাকুটি খেলার জালে নিজেরাই নিজেদের আবদ্ধ করেছি, বইয়ের প্রতিটি পাতায় লেখা ইতিহাস তার নীরব সাক্ষী।

তবে কি যুগেযুগে মানুষ আমরা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস ডেকে এনেছি? এই একটি প্রশ্নের উওর খুঁজতে গেলে প্রতিষ্ঠিত সভ্যতাগুলোর বিলুপ্তির কারনকেও অনুসন্ধান করতে হবে আমাদের।

খুব সহজ করে বললে এমনটা বলা যায়- সভ্যতাকে আমরা নিজেরাই বিলুপ্তপ্রায় ঘোষণা করেছি নিজেদের স্বার্থে, নতুনত্বের স্বাদ গ্রহণের তীব্র বাসনায়। তবুও সামাজিকীকরণ সূত্রের ভাগশেষে ভগ্নাংশের অবসান ঘটাতে পারিনি।

মানুষ হিসেবে এর দায় আমাদের উপরেই বর্তায় বৈকি!

(চলবে)

সভ্যতায় অস্তিত্বের লড়াইয়ে মানুষ (দ্বিতীয় পর্ব)

0 Shares

১৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ