দেশে একটা আন্দোলন আজ চলমান। আন্দোলন অনেক দাবী আদায় করেছে এ জাতী। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে, ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধ। এবং অবশেষে আমরা একটা স্বাধীন দেশ পেয়েছি।
একটা দেশে অনেকরকম মানুষ থাকে। অনেক তার সমস্যা। একেজনের একেক চিন্তা একেক চাহিদা।
আমি ব্যাক্তিগতভাবে কোনো দল করি না। তবে বঙ্গবন্ধুকে আজীবন আদর্শ মানি মানব। প্রত্যোক দেশের প্রত্যোক জাতীর একজন জাতীর পিতা থাকে তাকে সে সব দেশের দলমত নির্বিশেষে সবাই শ্রদ্ধা করে। কিন্তু বাঙ্গালী এমন জাতী যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেও তারা ক্ষ্যান্ত হলো না আজও তাকে গালিটা দিতে ছাড়ছে না। বঙ্গকন্যাকে চাঁদা দিয়ে তারা তার শোক কম করতে চায়। এদের লজ্জা বলতে আসলে কিছু নেই। অকৃতজ্ঞ জাতী। আসলে এসব কামলাখাটাগুলোর জন্য দেশটা স্বাধীন করাই ভুল হয়ে গেছে বঙ্গবন্ধুর।
যাইহোক কামলাখাটাগুলোর জন্য আমার একরাশ সমবেদনা।

চলমান আন্দোলনের কথা বলি। পরিবহন ব্যবস্থায় আমরা সবাই প্রচন্ড বিরক্ত। আমরা অনেকেই আমাদের স্বজন হারিয়েছি সড়ক দুর্ঘটনায়। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুজন শিক্ষার্থীর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমরা হতভম্ব হয়ে গেছি সবাই। আমারও দুই সন্তান আছে। এর আগে এক সন্তানকে আমি হারিয়েছি। সন্তান হারানোর ব্যাথা আমি জানি। তাই এসব এ্যাডাল্ট বাচ্চারা প্রথম যেভাবে রাস্তায় নেমেছিলো তাতে আমিও খুব আশাবাদী হয়েছিলাম যে হুম, এরা পারবে কিছু করতে। আমাদের সড়ক আমরা নিরাপদ চাই। বাচ্চাদের সাথে যদি তাদের শিক্ষকরা থাকতো তবে তারা এমন শব্দ ব্যাবহার করতে পারতো না। বাংলাদেশের সব আন্দোলন ঘুরেফিরে পুলিশের দিকে চলে আসে। একসিডেন্ট করলো বাস, আন্দোলন করলো ছাত্ররা,তাদের মাঝে ঢুকলো একদল জঙ্গি তাদের প্রতিহত করতে পুলিশ তাড়া দিলো, সব দোষ হলো এবার পুলিশের। মার্কেট মালিকরা পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলো তাদের দোকানপাট যেনো সুরক্ষা থাকে। তা রক্ষা করতে তাড়া দিলেও পুলিশের দোষ। বাংলাদেশে তাই পুলিশই সব সময় ভিকটিম হয়। এই গালি দেয়া ছেলেরাই এক সময় পুলিশে চাকরির জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়বে। বিসিএসএ এদের প্রথম চয়েজই থাকে পুলিশ। বাংলাদেশের একজন সেকেন্ড ক্লাস পুলিশ অফিসার রেশনসহ সব মিলায়ে পঞ্চাশ হাজারের মতো বেতন তোলে। আর টিএ বিল বিভিন্ন বিল তো আছেই। হুম, সব পুলিশ যে ভালো তা কিন্তু বলছি না। সব পুলিশও যে খারাপ তাও তো না। বাংলাদেশের সব সেক্টরের খবর আমরা সবাই জানি।

এ আন্দোলনে আমিও হতাশ হচ্ছিলাম, পোস্টও দিছিলাম পুলিশ কেনো বাচ্চাগুলোকে এরকম এ্যারেস্ট করছে? কিন্তু, পরে দেখলাম আমাদের সে সব বাচ্চাদের হাতে কিছু শব্দের প্লাকার্ড ঝুলছে যা দেখে লজ্জায় মুখ লুকানোর যায়গা নেই। তাদের সাথে মিশে গেছে জঙ্গী টাইপের কিছু ছেলে। আন্তার্জাতিক গণমাধ্যমগুলো সে সব সংবাদ তাদের চ্যানেল ও সংবাদ পত্রে তা প্রকাশ করেছে। আজ পুলিশ ওরকম না করতো আরো খারাপ অবস্থা হতো। দোকান পাট লুট হতো। কেউ ঠ্যাকাতে পারতেন না। যাইহোক, আমরা এ ক'দিনে অনেকের অনেক মতামত দেখলাম। বাচ্চাদের ভাষা দেখলাম। আমি দেখলাম অনেক আদর্শবান মুখ। একবার ভেবে দেখুন যে বাচ্চার হাতে আপনি ওরকম শব্দ দেখে মজা নিলেন আপনার সেই বাচ্চা এখন প্রতিমুহুর্তেই বেকায়দায় পড়বে। বাড়ির বাইরে বের হলেই আজেবাজে কথা শোনাবে ওরই বয়সী ওরই সহপাঠিরা। তখন তার তো বাড়ি থেকে বের হওয়াই মুশকিল হয়ে যাবে। একসময় ঐ মেয়েটিকেই কিন্তু সবাই খারাপ বলবে। কারণ, এ সমাজটা যতো সহজ ততো সহজও কিন্তু না। ঝড় থেমে যাবার পরে বোঝা যায় কতোটা ক্ষতি হয়ে গেলো।

ভালো থাকুক আপনার সন্তান আমার সন্তান। এ প্রজন্ম।

0 Shares

১১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ