চলিতেছে সার্কাস, দেখিতেছি সার্কাস আমরা মধ্যবিত্ত। সবজির বাজার চড়া, লাগামহীনভাবে বাড়ছে মূল্য। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। একেতো বেতন-ভাতা বন্ধ তার উপর জেঁকে বসেছে অতিরিক্ত বাজার মূল্য। সরকার যেন চোখে, কানে ঠুসি পড়ে আছে। এসব তদারকি করার জন্য মনে হয় কোনো লোক নেই বানিজ্য মন্ত্রনালয়ে! অদ্ভুত এক দেশে বাস করি, যে যার মতো করে সবগুলো সেক্টর কে মুষ্ঠিবদ্ধ করে রেখেছে। শাসন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, বানিজ্য ব্যবস্থা সবখানেই নাকাল জনগণ। মধ্যবিত্তরা নিম্নবিত্তে পরিণত হয়েছে আর নিম্নবিত্তরা যাহোক কিছু একটা করে খেতে পারছে। সরকারী কর্মচারীদের সমস্ত সুযোগ সুবিধা বহাল রেখে বেসরকারীদের পথে বসিয়ে দিয়েছে সরকার। কেন সরকারীদের বেতন ভাতা কিছু টা কমতি করে বেসরকারীদের জন্য কিছুটা সাহায্যের হাত বাড়াতে পারতোনা প্রধানমন্ত্রী? 

 গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে যত মধ্যবিত্ত রয়েছে, এর ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ বা প্রায় অর্ধেকই বেসরকারি চাকরি করে। আর ২০ শতাংশের বেশি সরকারি চাকরি করে। মধ্যবিত্তদের মাত্র প্রায় ২২ শতাংশ ব্যবসা করে। নিম্নমধ্যবিত্তের মধ্যে ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ বেসরকারি চাকরি করে। আর ব্যবসায় সম্পৃক্ত মাত্র ১৭ শতাংশ। তাহলে এই হিসাব মতে বেসরকারি কর্মজীবীদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। অথচ সরকারের তা নিয়ে কোনো মাথা ব্যাথা আছে বলে মনে হয় না। করোনা মহামারী কবে পুরোপুরি নির্মূল হবে জানা নেই আর অর্থনীতির এই মন্দাভাব দূর হতে কয়েক বছর লেগে যাবে । 

 কোনো সব্জি আশি টাকার নিচে নেই। চালের বাজার ও উর্ধ্বমুখী। ডিম, পেঁয়াজ, তেল সব বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। কিন্তু বাজারে কোনোকিছুর ই ঘাটতি নেই তবুও ঘাটতির কথা বলে চড়াদামে বাজার ধরে রেখেছে সিন্ডিকেট করে।  অথচ এদেশের জনগণ চুপচাপ সহ্য করে যাচ্ছে, কিন্তু কেন? এ নিয়ে কখনোই আন্দোলন করতে দেখিনি বিরোধীদলকে এমনকি সাধারণ মানুষ ও এখানে নিশ্চুপ। সরকার যদি মনে করে শুধুমাত্র সরকারী লোকজন ভালো থাকবে, তাহলে দেশটার বাকী লোকদের মেরে ফেলুক একবারে ক্রসফায়ার দিয়ে এভাবে তিলে তিলে শেষ করার চেয়ে এমন মৃত্যু ই ভালো । প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এ বিষয়ে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

ছবি-গুগল

0 Shares

৩০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ