• আলস্যের তপ্ত দুপুরে, সূর্যবাবুর তপ্ততা ডিঙ্গিয়ে, নিদ্রাদেবীর কোমল ক্রোড় ছেড়ে
    চলে যাব ফেলে আসা পিছনের হাঁটা পথে।
    ফেলে আসা স্বচ্ছ ঝিলের জলে জাল ফেলে তুলে আনব জীবনের সব অস্বচ্ছতা, যা আমার জন্য কৌতুহল।
    সে সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার তাগিদে মধ্যাহ্নের নিদ্রার মধুর আমেজ আমার উড়ে যায়।
    নেমে পড়ি নগ্ন পায়ে ধুলোময় রুক্ষ পথে,
    যে পথে গ্রীষ্মের খরতাপ,
    পৃথিবীর বুক থেকে উঠে আসা যেনো সব হাহাকার।
    এ হাহাকার প্রকৃতির অত্যাচার নয়,
    এ যে ঋতুরই পরিবর্তন, যা কালেরই যাত্রাধ্বনি।
    চলতি পথে, জেনে না জেনে তুমি যা দিয়েছো প্রকৃতিকে
    ঋতুর ধারায় ফেরৎ দিবে প্রকৃতি তোমায় তার থেকেও হয়তো বেশি
    কারণ, প্রকৃতি দিতে কখনোই কার্পন্য করে না।
    বলতে পারো ঋতুরূপে প্রকৃতি তাই চরমপন্থী।
    পৃথিবীর বুকে যতো আঘাত দিয়েছো শ্রেষ্ঠ্য প্রাণী মানুষ হিসেবে, স্বাক্ষী থেকেছে শুধু নীল আকাশ আমার।
    তাইতো তপ্ত গ্রীষ্মের এ খরতাপ,
    যার নাম ঋতুর ধারা।
    এ খরতাপে নীল আকাশ পৃথিবীর বুকে লুকিয়ে থাকা গোপন সব অশ্রুধারা সবার অলক্ষ্যে চুষে নিয়েছে সময়ে সময়ে,
    সে সব হৃদয় নিংড়ানো দুর্বার কান্নার অবাধ্য সব অশ্রুফোটা গড়িয়ে পড়বে পৃথিবীর বুকে
    হেসে উঠবে মৃতপ্রায় কোনো নদী।
    এ অশ্রুফোটা বরষার ধারা,
    যাকে তোমরা ঋতু বলো।
    ,,,,,,,,,রিতু,,,,,,,,
    কুড়িগ্রাম 12:8.
    6/5/18.
0 Shares

১৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ