অসীম মানসলোকে একলা এ আমার বসে থাকা
নিগূঢ় এক স্বপ্নলোকে আমার আমি,
আমার সে এক দেহহীন তুমি
তাকে এক অবয়ব দিতে
মস্তিষ্ক নামক কারিগর বুনে চলে হাজার হাজার স্বপ্ন জাল
সে যেনো এক রূপকার রূপশিল্পী।
চাঁদের লাবনীতে যে বৈচিত্রময় রূপশিখা
তা থেকে চেয়ে নিয়েছি রুপার আলো,
নির্মল সব স্নিগ্ধতা
আরো স্পষ্ট করতে মসৃণ এক রূপ আনতে তাতে যদি,
ইট-বালি-পাথর-চুনের এক মিশ্রণ দিয়ে
রেঁদার টান মারি
সর্বকালের মানসমনের সে সর্বশিল্প আমার থর থর করে কেঁপে উঠবে
কারণ, চাঁদের কোমতলতায় সে বড় স্নিগ্ধ নির্মল।
কঠিন সব বাহ্যিক বস্তুতে সে রূপে কঠোর আর নির্মমতা আসবে।
নিজ বাহ্যিকমাপে এক নির্বাসিতার রূপসজ্জার আবশ্যকতা নেই,
তাই কোনো মাপে আর স্পষ্ট হয়না দেহহীন সে অবয়বে
শুধু বেঁধে রাখে আমায় এক স্বপ্ন আলিঙ্গনে
সে স্বপ্ন ডানা মেলে উড়ে যায়
দুর্গম সব বাঁধা পেরিয়ে তার নীলিমায়
পিছনে পড়ে থাকে উত্তরকালের আর্তনাদ।
,,,,,,রিতু,,,,,,,
২২/০৫/১৮.কুড়িগ্রাম।
১১টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
পৃথিবীর সব কিছুই বিদায় নিতে হয় তবে কিছু প্রশ্ন কিছু আফসোস থেকে যার উত্তর কারো জানা নেই।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন ভাই সব সময়।
জিসান শা ইকরাম
দেহহীন — শব্দটিই অনেক অর্থবোধক,
আমরা নিজেদের দিকে তাকিয়ে কেবল মুখ দেখি, মুখটিই সব নয় আমাদের,
নিজকে নিজে এমন দেহহীন ভাবে ফুটিয়ে তোলা বেশ অভিনব।
ভাল হয়েছে লেখা।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাইয়া। সত্যিই নিজের মতো করে এক অবায়ব দেওয়া এটা বড় কঠিন আবার সহজ।
ভাল থাকবেন ভাইয়া।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমাদের অবয়ব কোনো কথা বলতে জানেনা। তাইতো নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া দেহ’র কোনো অবয়বও থাকেনা।
এমনই নিখুঁত এক পেইন্টিং এঁকেছো শব্দগুলো দিয়ে, অনুভব করা যায় কোনো অনুযোগ ছাড়াই।
শান্তসুন্দরী আপু দিনে দিনে উন্নত হচ্ছে তোমার ভাবনা। -{@ (3
মৌনতা রিতু
ভালবাসা রইলো আপু। অনেক ভাল থেকো। তোমার লেখার পাশে আমার লেখা একেবারে বেমানান। তুমি অনেক বেশি ভালো লেখো আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু তুমি তোমার মতো করে অনেক ভালো লেখো। তুমি আলাদা, স্বতন্ত্র্য। বুঝেছো?
আগুন রঙের শিমুল
অবয়ব *
আর্তনাদ *
মৌনতা রিতু
ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
খসড়া
কায়া ছায়ায় দ্বন্দ। ভাল লাগল।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ। অনেক ভালবাসা রইলো।