দুপুর হলে মধুমতি গান ধরে।
পাড়ায় পাড়ায় ফুটে টগর, জুঁই আর চামেলি।
নির্জন দুপুরের ভ্যাপসা উষ্ণতায় এসবের গন্ধে মম করে।
সে গন্ধে প্রেমের কবিতা লিখে, নীলু।
মধুমতি এসে কবিতার ছন্দ মিলায়।

রাতের তুমুল ঝড় হাওয়ায় গাছের পাতা ঝরে পড়ে আছে লালমাটির বুকে।
ঝরে গেছে বসন্তের শিমুল, পলাশ।
একে একে নৈশব্দের মতো পাহাড়ের বুক চিরে ঝর্ণা নামে।

মনু মাঝি বাঁশির সুরে ভাটিয়ালি গান গেয়ে বেড়ায়।
গাছের ডালে ডালে নব পল্লবের সমাহার।
নববধূর চোখেমুখে লেগে আছে দোল পঞ্চমীর আবির।
ফুলের গায়ে প্রজাপতি আর ভ্রমরের আলিঙ্গন।
একে একে নেমে আসে চোখের পাতায় নেশা।

রোদেলা দুপুর।
মাদকীয় ঘ্রাণে,
শতবর্ষের পুরনো ইমারতের কারুকার্যে আলতো রাঙা পায়ের পদচিহ্ন রেখে উদাসী বালিকা ছুটে চলে।

মাঠভর্তি বোরো ধান।
কাব্যপাঠের মন্ত্রমুগ্ধ উচ্চারণে ধেয়ে আসে জলকেলি হাঁসের উষ্ণ ডানার স্পৃহনীয় সুগন্ধি।

রংতুলির ক্যানভাসে অপেক্ষার প্রহর শেষে
সূর্য ডুবে।
একে একে পাখিরা ঘরে ফেরে।
সেজে উঠে কবিতার পাণ্ডুলিপি।

ধূপের গন্ধে জেগে উঠে সন্ধ্যা।
আরতিতে সুধা মাখে রাই।
দিনশেষে আমি কেবল তোমায় হারাই।

.

ছবিঃ সংগৃহীত।

0 Shares

১৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ