ব

২৫ মার্চ,১৯৭১ এর কালরাত্রিতে যেসব অকুতোভয় বাঙালি বুকের কয়েকটি পাঁজর আর একটি করে লাল টুকটুকে হৃদপিন্ড নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন ইতিহাসের নিকৃষ্টতম পশুদের বিরুদ্ধে,তাদের সেই ছেলেমানুষি দুঃসাহসকে উৎসর্গ করছি এই সিরিজটি

এধরণের প্রমান আরো অসংখ্য হাজির করা সম্ভব।গণহত্যা হয়নি - এধরণের বক্তব্যকে মিথ্যা প্রমাণ করতে অবশ্য এরকম অল্প কয়েকটি ডকুমেন্টই যথেষ্ট।এখানে খেয়াল রাখা প্রয়োজন,উপরের বক্তব্য গুলোর একটিও কোন বাঙালির কাছ থেকে আসেনি,এসেছে খোদ পাকিস্তানি সেনাসদস্যদের কাছ থেকেই।গণহত্যা যে ঘটেছে তার প্রমাণ মেলে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন কনসাল জেনারেল আর্চার কে ব্লাডের ২৮ মার্চ,১৯৭১ এর টেলিগ্রামে,যার শিরোনাম ছিল সিলেক্টিভ জেনোসাইড
EVIDENCE CONTINUES TO MOUNT THAT THE MLA AUTHORITIES HAVE A LIST OF AWAMILEAGUE SUPPORTERS WHOM THEY ARE SYSTEMATICALLY ELIMINATING BY SEEKING THEM OUT IN THEIR HOMES AND SHOOTING THEM DOWN

... WITH SUPPORT OF PAK MILITARY,NON-BENGALI MUSLIMS ARE SYSTEMATICALLY ATTACKING POOR PEOPLE'S QUARTERS AND MURDERING BENGALIS AND HINDUS.
১৩ জুলাই ১৯৭১ দি সানডে টাইমসে প্রকাশিত এন্থনি ম্যাসকারেনহাসের সাড়া জাগানো প্রতিবেদন Genocide শুরু হয়েছে নিচের বাক্যটি দিয়ে
West Pakistan's Army has been systematically massacring thousands of civilians in East Pakistan since the end of March.
সব শেষে আর একটি কথা যোগ করি,গণহত্যা অস্বীকার করাকে পাশ্চাত্য রাষ্ট্রগুলোতে আধুনিক কালে একটি অপরাধ হিসেবে ধরা হয়।ইউরোপের চৌদ্দটি রাষ্ট্রে Genocide Denial একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।দ্বিতীয়ত,এই গনহত্যার দায় কার উপরে বর্তায়?এইসব অপরাধে অপরাধী কারা?এখানে মনে রাখতে হবে, জেনোসাইড কনভেনশন অনুসারে,গনহত্যার অপরাধে শাস্তিযোগ্য তারাই,যারা এর পরিকল্পনা,বাস্তবায়ন,সহায়তার সাথে জড়িত তাদের প্রত্যেকেই।এমনকী,গণহত্যা সংঘটিত যদি নাও হয়,এর উদ্যোগ নেয়াও একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।১৯৭১ এর গণহত্যার পিছনে প্রধান উস্কানিদাতা হিসেবে কাজ করেছিল জুলফিকার আলী ভুট্টো,ইয়াহিয়া খান।মন্ত্রণাদাতা হিসেবে ছিল পাকিস্তানের কিছু রাজনৈতিক নেতা,শিল্পপতি,সামরিক বেসামরিক ও তথাকথিত এলিট শ্রেণি।এ ব্যাপারে ভুট্টোর সাথে সমঝোতাও হয় ইয়াহিয়ার।গণহত্যার মূল পরিকল্পনা তৈরির কাজটি সম্পন্ন করে জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা,জেনারেল রাও ফরমান আলী খান।সমান ভাবে দায়ী জেনারেল হামিদ,জেনারেল মিটঠা,জেনারেল ইফতেখার জানজুয়া,জেনারেল পীরজাদা।সেই সময় বাংলাদেশ ভূখন্ডে অবস্থানকারী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রায় প্রত্যেকটি সদস্য গণহত্যা,যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল।যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধী এবং তাদের বাঙালি সহযোগীদের বিচারের উদ্যোগ নেয়া হয়,১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমান সংগ্রহ করা হয়।এর মধ্যে ১৯১ জনের তালিকা এখানে সংযুক্ত করা হললে. জে. টিক্কা খান,জে. নিয়াজি,মে. জে . রাও ফরমান আলী,ব্রিগেডিয়ার জাহানজেব আরবাব,ব্রিগেডিয়ার বশির,ব্রিগেডিয়ার রাজা,ব্রিগেডিয়ার আব্দুল কাদের,ব্রিগেডিয়ার আসলাম,ব্রিগেডিয়ার শরীফ,ব্রিগেডিয়ার শফি,ব্রিগেডিয়ার বেগ,ব্রিগেডিয়ার আনসারী,ব্রিগেডিয়ার সাদুল্লাহ খান,ব্রিগেডিয়ার সফি,ব্রিগেডিয়ার ইফতেখার রানা,ব্রিগেডিয়ার আল ফালা,ব্রিগেডিয়ার সলিমুল্লাহ,লে. কোরবান,লে. রফিক,লে. আতাউল্লাহ,লে. নেওয়াজ রিজভি,লে. কর্নেল ইয়াকুব মালিক,লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ খান,লে. কর্নেল সাফায়েত,লে. কর্নেল টিক্কা খান,কর্নেল আকবর জং,কর্নেল সরফরাজ মালিক,কর্নেল তাজ,কর্নেল জানজুয়া,কর্নেল ভাদী,কর্নেল সরফরাজ মালিক,কর্নেল খটক,কর্নেল আতিক,কর্নেল বাদশা,কর্নেল হান্নান,কমান্ডার গুলজারিন,মেজর ইসতিয়াক,মেজর বেলায়েত খান,মেজর একরাম,মেজর জাফর,মেজর বানোরি,মেজর আসলাম,মেজর আইয়ুব,মেজর সিদ্দিক,মেজর সুলতান,মেজর রিয়াজ,মেজর ইফতেখার,মেজর আনসারী,মেজর ইফতেখার,মেজর আকরাম কোরেশী,মেজর চীমা খান,মেজর সেলিম,মেজর খটক,মেজর মঞ্জু,মেজর বোখারী,মেজর জেড খান,মেজর আসলাম,মেজর হাদি,মেজর জামান,মেজর আব্দুল্লাহ,মেজর সুলতান,মেজর মোহাম্মদ ইয়াসিন খন্দকার,মেজর গার্দিজী,মেজর আজিজ খটক,মেজর আজিজ,মেজর আব্বাসী,মেজর ইকবাল বাহার,ক্যাপ্টেন আকরাম,ক্যাপ্টেন গণি,মেজর আব্দুল্লাহ,মেজর জুবলি,মেজর আলতাফ করিম,মেজর রাজ্জাক,মেজর শাকিল খান,মেজর রিয়াজ খান,মেজর রিয়াজ,মেজর শোয়েব,মেজর নাদের পারভেজ,মেজর ইয়ামিন,মেজর রাজা,মেজর শেরওয়ানী,মেজর আখতার শাহ,মেজর হাজী আব্দুল মজিদ,মেজর আসলাম,মেজর আবুল কালাম মেলাল,মেজর শাহেদ,মেজর নিসার আহমেদ খান শেরওয়ানি,মেজর উইলিয়াম,মেজর আখতার,মেজর গুল,মেজর ফতেখান,মেজর মাহমুদ,মেজর আফজাল,মেজর তাহসিন মির্জা,মেজর শের খান,মেজর খোককার,মেজর জাকি,মেজর আজমল।মেজর আফজাল হোসেন,মেজর মোস্তফা,মেজর কামরুজ্জামান,ক্যাপ্টেন মোখতার,ক্যাপ্টেন আজিজ,ক্যাপ্টেন রাজা ইসহাক,ক্যাপ্টেন ইলিয়াস,ক্যাপ্টেন এজাজ,ক্যাপ্টেন কাদরি,ক্যাপ্টেন এরশাদ,ক্যাপ্টেন আতাউল্লাহ শাহ,ক্যাপ্টেন খালেক,ক্যাপ্টেন আবদুর রহিম,ক্যাপ্টেন সাঈদ,ক্যাপ্টেন তারেক,ক্যাপ্টেন আমানুল্লাহ,ক্যাপ্টেন ইয়াসিন,ক্যাপ্টেন আঞ্জু,ক্যাপ্টেন ফয়েজ,ক্যাপ্টেন সেলিম,ক্যাপ্টেন বোখারী,ক্যাপ্টেন জাহিদ কামাল,ক্যাপ্টেন ইফিতেখার হায়দার শাহ,ক্যাপ্টেন নাহিম মালিক,ক্যাপ্টেন আগা বোখারী,ক্যাপ্টেন নুরুউদ্দিন খান,ক্যাপ্টেন ইউসুফ,ক্যাপ্টেন গোলাম রসুল,ক্যাপ্টেন রফিক,ক্যাপ্টেন গোলাম রসুল,ক্যাপ্টেন আজমল,ক্যাপ্টেন মুনির,ক্যাপ্টেন মুনির হোসেন,ক্যাপ্টেন শাফায়াত,ক্যাপ্টেন মুনির,ক্যাপ্টেন আজমত,ক্যাপ্টেন আজমল খান,ক্যাপ্টেন কার্নি,ক্যাপ্টেন নাসের,ক্যাপ্টেন ইকবাল,ক্যাপ্টেন উলফাত,ক্যাপ্টেন নিয়াজি,কর্নেল এস এম ইকবাল,গুল বাদশা,সুবেদার মেজর ফয়েজ সুলতান,সুবেদার মেজর হানিফ,সুবেদার সিদ্দিক,সুবেদার মুশতাক,সুবেদার শের শাহ খান,সুবেদার লাল খান,সুবেদার সেলিম,সুবেদার সেলিম,সুবেদার সেলিম,হাবিলদার গফফার খান,হাবিলদার ইমরান খান,হাবিলদার আলাউদ্দিন,হাবিলদার সুফি,হাবিলদার শাহনেওয়াজ,হাবিলদার শাহাদত হোসেন,হাবিলদার ইকবাল,হাবিলদার খালেক,সিপাহী সিদ্দিকুর রহমান,সিপাহী ইউসুফ খান,সিপাহী রাশিদ খান,সিপাহী আব্দুর রহিম,মো: আলী খান( সাধারণ সৈনিক),রমজান ( র‍্যাঙ্ক অজানা ),সাদেক ( র‍্যাঙ্ক অজানা ),আকবর ( র‍্যাঙ্ক অজানা ),সরফরাজ খান ( র‍্যাঙ্ক অজানা ),রাশেদ খান ( র‍্যাঙ্ক অজানা ),মালেক ( র‍্যাঙ্ক অজানা ),খান মোশাররফ ( র‍্যাঙ্ক অজানা ),আব্দুস সালাম খান ( র‍্যাঙ্ক অজানা ),মোসলেম খান ( র‍্যাঙ্ক অজানা ),হাবিলদার ওহিদ মিয়া ( র‍্যাঙ্ক অজানা ),নায়েব লতিফ খান( র‍্যাঙ্ক অজানা ),নাসির খান( র‍্যাঙ্ক অজানা ),ইউনুস( র‍্যাঙ্ক অজানা )ইয়ামিন( র‍্যাঙ্ক অজানা ),হানিফ( র‍্যাঙ্ক অজানা ),ইউসুফ( র‍্যাঙ্ক অজানা ),আসলাম( র‍্যাঙ্ক অজানা ),সমুন্দর খান( র‍্যাঙ্ক অজানা ),সরফরাজ খান ( র‍্যাঙ্ক অজানা )।

*প্রিতমের লেখা থেকে সংগ্রহীত

0 Shares

২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ