তারা আমাদের শেখায় গণতন্ত্র মানে ৫ বছর পর পর নতুন পোষাক পরে ভোটের লাইনে দাঁড়ানো।

তারা বলে,
না-ভোট মানে ভোট নষ্ট। তারা এই সাধারণ বিষয়টা বুঝতে পারে না যে, ব্যালট পেপারের প্রতিটি মতামত- চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার প্রকাশ।

গত নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর অনেককে বলতে শুনতাম, ভোট দেয়া দরকার দিসি, এদের একটাকেও ভাল লাগে না, তাও দিসি। কিন্তু যারা সচেতন ছিল তারা ঠিকই খুজে না-ভোটে সিল দিয়েছিল।

যাদের সংখ্যাটা ফেলে দেয়ার মত নয়। তিন লাখ ৮২ হাজার ৪৩৭টি ‘না ভোট’ দেওয়া হয়েছিল। আরও উল্লেখ্য যে, ওই নির্বাচনে ৩৮টি দল অংশগ্রহণ করলেও মাত্র ছয়টি দল ‘না ভোটের’ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল। তার মানে এই যে, ‘না ভোট’ সপ্তম স্থানে ছিল।

রাজনৈতিক ক্রাইসিস, রাজনৈতিক দল গুলোর প্রতি মানুষের অনাস্থা বা আস্থা সংকট এবার এটিকে কোথায় নিতে পারত তা সচেতন মানুষ মাত্রই বুঝতে পারবেন। তার আগেই নির্বাচন কমিশন অগণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত রেখে একটি মৌলিক অধিকার হরণ করে বসে আছে।

রাজনৈতিক দল থেকে মনোনিত প্রার্থী পছন্দ না হলেও শুধুমাত্র ভোটাধিকার প্রয়োগের অংশ হিসেবে সিল মারতে হবে কোন একজনকে। কিন্তু না-ভোট বা কাওকেই নয় বলে কোন অপশন রাখা হলে কতই না সহজ হয়ে যেত মত প্রকাশটা। এটির বন্ধ করা মৌলিক অধিকার হরণ, মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত।

 

যদি গণতান্ত্রিকভাবে সমাধান না করেন বা ফিরিয়ে না আনেন এই পদ্ধতি তাহলে কি হতে পারে জানেন?

গ্রামের অশিক্ষিত বা বৃদ্ধ মহিলারা ভোট দেয়ার বিষয়টা ঠিক বুঝে না, দেখা যায় ভোট দেয়ার সময় সব গুলো প্রতিকে সিল মেরে আসেন, ভাবেন সবাইকে সিল দিলে সবাইকে ভোট দেয়া হবে। কিন্তু গণণার সময় কাগজটি বাতিল ধরা হয়।

এখন মানুষ গণতন্ত্র, নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে। যদি আপনারা তার প্রয়োগের ব্যবস্থা না করেন তাহলে দেখা যাবে, পাবলিক এভাবে ব্যালট পেপার নষ্ট করে মজা পাচ্ছে আর হাসতে হাসতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে বলে বের হবে। সে মত জানিয়েছে।
যার ফলাফল বাতিল।

-না-ভোট ফেরত চাই।

0 Shares

১৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ