আজ মৌলিক অধিকার বাসস্থান দিয়ে শুরু করি।
প্রত্যেক মানুষের জম্মগত অধিকার আছে নিজ বাসস্থানে থাকার তা ছোটই হোকনা কেন কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমাদের দেশের কয়েক কোটি মানুষ ঘর হারা কারণ তাদের প্রথম মৌলিক অধিকার অন্ন যোগাতে তারা দিশেহারা আর যাদের আছে তারাও এখন ভূমিদস্যু আক্রান্ত, যার যত জোর আছে সে ততোই বলিয়ান। ভাই ভাইয়ের, ভাই বোনের জমি দখল করছে জোর করে, গ্রামের মাতব্বর দখল করছে গরীবের জমি, ধনি দখল করছে গরীবের জমি, শহরেও চলছে একি ধরণের দখল কান্ড, মন্ত্রি এমপি, বড় ব্যবসায়ী, জমির ব্যবসায়ী ব্যবসায়ী যে যেভাবে পারছে দখল করছে দূর্বলের জমি, এদের কাছ থেকে মাঠ, ঘাট, খাল বিল, নদী নালা কিছুই বাঁচতে পারছেনা।
সরকারও এই জমির বিষয়ে খড়্গহস্ত, আপনি সারা জীবন কষ্ট করে কিছু টাকা জমিয়েছেন একটা মাথা গোঁজার ঠাই কেনার জন্য কিন্তু সেখানেও সরকারের চোখ, জায়গা কিনবেন গেইন ট্যাক্স ভ্যাট দিতে হবে মোটা অংকের, নিজ জায়গায় বিদ্যুত, পানি, গ্যাস আনবেন তা তো মহা যুদ্ধের কাজ, অনেকে তো ঘুষ দিয়েও এইসব আজ পর্যন্ত আনতে পারেনি আরো ঘুষ লাগবে, রেজিস্টারি খরচ তো আছেই।
ফ্ল্যাট কিনবেন ওখানেও প্রায় দেখা যায় বাঘের ঘরে গোগের বাসা, ফ্ল্যাটের জন্য টাকা পয়সা দিয়ে অপেক্ষা করছেন হস্তান্তরের দেখা গেল আপনার জন্য নির্ধারিত ফ্ল্যাট আরেকজনকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপনি প্রতিবাদ করেছেন কি মরেছেন, তারা গুন্ডা বাহিনী দিয়ে আপনাকে পিটিয়ে ঠান্ডা করে দিয়েছে সব ডেভেলপার যে খারাপ তা নয় এই জন্য ফ্ল্যাট কিনতে হতে হবে সাবধানে, বুঝে শুনে খবর নিয়ে।
নিজ জমিতে ঘর তুলবেন, এতো আরো বিপদজনক। লোকাল বড় ভাই, ছোট ভাইদের চাঁদা দিতে হবে না হলে কখন যে টুস হয়ে যাবেন তা আপনি নিজেও জানবেন না। শুধু একবার চাঁদা দেবেন তা নয়, একজনকে দিয়ে শান্ত করেছেন তো আরেকজন এসে হাজির হবে, এই দেশে কিন্তু চাঁদাবাজের অভাব নেই।
সুতরাং আমার মতামত হলো সরকারের উচিত এইসব ভূমিদস্যু, জবর দখলবাজ, অন্যায়কারী, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠিন আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা যেন তারা ভয় পায় এইসব অন্যায় আচরণ বন্ধ করতে। সরকারের উচিত জমি, ফ্ল্যাট ক্রেতাদের জন্য অল্প এবং একটি নির্ধারিত ট্যাক্স ধার্য করা বিশেষ করে মধ্যবিত্তরা যেন এই সুযোগ লাভ করতে পারে তার ব্যবস্থা করা। গরীব ভূমিহীন, বাস্তুচ্যুতদের জন্য সরকার নিজ খরচে ছোট ছোট ফ্ল্যাট করে তাদের অল্প ভাড়ায় থাকার ব্যবস্থা করতে পারে চাইলে আর এতে এই জনগণই সরকারকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করতে পারে, যেমন সরকারী কাজ সম্পন্নে যে মানুষের দরকার হয় সরকার চাইলে এদের ব্যবহার করতে পারে।
আমরা সাধারণ জনগণকেও এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে, ভূমিদস্যু, জবরদখল, চাঁদাবাজি রোধে যদি আমরা প্রতিবাদী হই আশা করি সমাজের এইসব কুলাঙ্গারদের সমূলে উৎপাটন করা যাবে।
_______ চলবে।
ছবিঃ Google
১৪টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
বাড়ী নির্মাণে সর্বত্রই চাদাবাজি হয়।সুন্দর লিখেছেন।
-{@ঈদ শুভেচ্ছা।
ইঞ্জা
প্রশ্ন রেখে যায়, এ কোন দেশে বাস করি আমরা?
ঈদ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
ছাইরাছ হেলাল
এই ভূমিখেকোরা খুবই মারাত্মক,
এদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া দরকার কিন্তু কাজটি বেশ কঠিন।
ইঞ্জা
বেশি কি কঠিন?
সরকার কঠোর হলে কি সমাধান হয়না?
লীলাবতী
বাসস্থান মানুষের একটি স্বপ্ন। কিন্তু এই স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পরে যায় বিভিন্ন অব্যবস্থার কারণে। ভাল লিখেছেন ভাইয়া।
ইঞ্জা
এ কোন দেশে বাস করি আমরা?
রিমি রুম্মান
বাড়ি নির্মাণে চাঁদাবাজি__ ভীষণ বাজে অভিজ্ঞতা আছে আমার পরিবারের। অথচ এইখানে আমরা বাড়ি কিনি ব্যাংকের কাছ হতে। বিক্রিও করি ব্যাংকের কাছে। বাড়ির যে কে মালিক, তাঁকে দেখা যায় না। কাউকে চাঁদাও দিতে হয় না।
ইঞ্জা
সেইটাই তো দুঃখ আপু, আমরা এ কোন দেশে বাস করি। 🙁
মৌনতা রিতু
সেই কথা আর বলেন না ! আমার দাদার পৈতৃক সূত্রে রামপাল এলাকায় ভাগা নামক এক যায়গা আছে, ওখানে দুই একর ছিয়াশি শতক ধানি জমি ভোগ দখল করে খাচ্ছে স্থানীয় মাতবর ও মাস্তান টাইপের লোক। যারা সব সরকারের আমলেই প্রভাবশালী। এই জমি তারা কিছুদিন আগে বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে বিক্রি করতে গেছিল, কিন্তু জমির পরচা, খাজনা সবই আমার দাদার বাবার নামে এখনো কেটে আসছে বলে বিক্রি করতে পারেনি। আব্বা এখন মামলা চালাচ্ছে, বাগেরহাট কোর্টে। জানি ফলাফল শূণ্য। আমার আব্বাই এখন একমাত্র ওয়ারিশ। সে সারাজীবন বাইরে থাকছে বলে জানেই না কোথায় কি আছে। এমন কি, মেট্রিক পরীক্ষার ফর্মফিলাপই করেছে অন্যের জমির ধান কেটে ! আব্বা যখন অনেক ছোট তখন দাদা মারা যাওয়াতে চাচারা তাকে কোনো পড়ার খরচ দিতে চায় নাই। সব থেকে বড় কথা, এইসব ভূমি দখলদাররা কোর্টে হাজিরাই দেয় না। এতো বেয়াদপ। আব্বা একই কোর্টে যায় আর আসে।
ভাই পিশছি আমরা সাধারন মানুষ। তাই স্পিকটি নট হয়ে থাকি। শুধু অভিশাপই দিয়ে যাচ্ছি।
ইঞ্জা
সরকারের উচিত এইসব ভুমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন করা যাতে এরা অন্যের জমিতে হাত দিতে না পারে।
নীলাঞ্জনা নীলা
বাড়ী নির্মাণে কি কি হয়, সেসবের অনেক কিছুই শুনেছি। কিন্তু নিজেদের জমি বিক্রীতে যে কি রাজনীতির খেলা চলে, তা এখনও দেখছি আমার বাবার জমির ব্যাপারে। আর এতোগুলো বছরে এও বুঝে গেছি এসব জমি একদিন দখল হবে। বিক্রী করতে যাওয়া সোনার হরিণের মতো দুষ্প্রাপ্য চিন্তা।
ইঞ্জা
এখন এই সমস্যা ঘরে ঘরে দিদিভাই।
আবু খায়ের আনিছ
সরকারের উচিৎ পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলা, যতত্র যেন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে না উঠে সেই দিকে খেয়াল রাখা। ভুমিদস্যু, চাদাবাঁজদের বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া।
ইঞ্জা
সহমত, একদম ঠিক বলেছেন ভাই