মৃত্যুর আত্মহত্যা

ছাইরাছ হেলাল ১৭ মার্চ ২০১৪, সোমবার, ০৮:৫৭:৩১পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৪৬ মন্তব্য

সে নাকি তাকে শিখিয়েছিল -
কোন এক নির্নিমিখ নিরাল নিশীথে উজিয়ে উথলে উঠে ভালবাসতে হয় নবোঢ়ার নথের হিল্লোলে আর রণরণানো চিৎকার শীৎকারে । শিখিয়েছিল - কী করে অযুত সমুদ্র মন্থনে গরল এড়িয়ে অমৃত তুলে নিতে হয় । কালো চাঁদের বুকে মাথা রেখে ঘুমুতে হয় , জোনাকির পিঠে চড়ে হাওয়ায় ভাসতে হয় , শিশিরের গন্ধ নিয়ে স্বাচ্ছন্দে মরুর সমুদ্র গিরি-খাদ পেরোতে হয় জ্যোৎস্না চোখে শুধু মরূদ্যানের খোঁজে ।

শোনানোর ছিল কথা - নবীয়সী নিখুঁতার নিকানো নফসের নহবত ।

প্রজাপতির ডানার রং নিয়ে ছবি আঁকা শেখানোর ছিল কথা । ধরবে কালসাপ বীণ বাজিয়ে , শ্মশানে শেখাবে ডাকিনী মন্ত্র ভাদ্রের অমাবশ্যায় , শুক্তি কুড়িয়ে মুক্তোয় ভরাবে দু’হাত , সারাবে কোঁয়াজ্বর শুধু মন্ত্র ফুঁকে - এমন কথাও ছিল । কথা ছিল শেখাবে – লাম্পট্য সেবনে পাতাল সুখ ।

অচ্ছদ নির্বাণোন্মুখ নিঝুম নিতম্বের হেলদোলে নরান্তকের পিশাচ হাসি হেসে বলেছিল – নধরকান্তি নাকাল নস্তিত নন্দলাল হতে , বলেছিল - নাচদুয়ারের নাঙ হতে ।

একবার সে তাকে শাড়ির আচলে গুঁজে চুপিসারে দিয়েছিল নবান্নের নকুল , টুপ করে মুখে পুড়ে । কাছে বসে মুখে তুলে দিয়েছিল ধোয়া ওঠা ঘন গাঢ় বাঘের দুধের চা - পরম যত্নে সানুনয় সান্নিধ্যে ।

কথা রাখেনি , সে তাকে দীক্ষা দিয়েছিল নীরব আত্মহত্যা মন্ত্রের ।

0 Shares

৪৬টি মন্তব্য

  • নীহারিকা

    প্রিয় হেলাল ভাই,
    পর সমাচার এই যে আপনার শব্দ ভান্ডারের বিপুল পরিমান দাঁত ভাঙ্গা শব্দ দিয়ে রচিত একান্ত অনুভুতি পড়িতে যাইয়া আমার ৩ খানা সুস্থ্য সবল দাঁত পড়িয়া এবং একখানা নড়িয়া উঠিলেও রচনার একবর্ণও কিছু এই অধমের মাথায় প্রবেশ করিলো না। আমি বাংলায় নিতান্তই কাঁচা। আপাতত আমার ক্ষতিগ্রস্থ দাঁত সমূহের ক্ষতিপূরণ ও আমার মত অল্প জ্ঞ্যানসম্পন্ন বালিকার বোধগম্য রচনা রচিত করবার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাইতেছি।
    ইতি, আপনাদের অতি স্নেহের
    নীহারিকা 😀 

    • ছাইরাছ হেলাল

      প্রিয় বালিকা! নীহারিকা ,
      আপনার পত্র প্রাপ্তিতে যারপরনাই ব্যথিত ও আনন্দিত বোধ হইতেছে । দাঁত বড়ই ক্ষণস্থায়ী বস্তু । উহা হারাইয়া
      গেলে ক্ষতি নাই । ফোকলা দাঁতি দেখিতে বড়ই মনোহর । আপনাকে নিয়মিত দুই বেলা করিয়া হালকা গরম গরম
      এক কাপ গাঢ় ঘন (না সংগ্রহ করিতে পারিলে পাতলা হলেও চলিবে) বাঘের দুধের চা পান করিতে হইবেক । উহা বড়ই উপকারী মস্তিস্কের জন্য । আশা করি আপনি উপকৃত হইবেন , এমনকি আপনার নূতন দাঁত ও বিলক্ষণ গজিয়ে উঠিতে পারে , অবশ্য আপনাকে এই মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করা যাইতেছে যে নূতন দাঁত কোন প্রকারেই গজদন্তের ন্যায় হইবেক না ।( হি- হি ) । আপনার স্বাস্থ্য কামনা করছি ।

      ইতি,
      আপনার অগ্রজ ভ্রাতা ।

  • বনলতা সেন

    আপনার লেখা নিয়ে আসলে আমার বলার কিছু নেই ।
    অদ্ভুত সমন্বয়ের বিপুল সক্ষমতা আপনি দেখিয়েছেন । আত্মহননের যন্ত্রণার সাথে বাঘের দুধের মত মজার বিষয়
    তুলে ধরেছেন । আমার কাছে কঠিন মনে হয় । শব্দ ব্যবহারের পারঙ্গমতা সে আগেই দেখেছি । সব বুঝতে পারিনি ।
    শব্দের মারপ্যাঁচে ১৮+ চালিয়ে দিয়েছেন । ‘লাম্পট্য সেবনে পাতাল সুখ ‘ ‘নাচদুয়ারের নাঙ’ এই শব্দ গুলোর এমন নিপুন ব্যবহার কী করে করা সম্ভব জানিনা । আমি শুধু অনুমান করছি মাত্র ।

    সত্যি বলছি বলার কিছু নেই । শব্দার্থ লিখে দিলে উপকৃত হব ।

    • ছাইরাছ হেলাল

      এ লেখাটি নিয়ে আমি বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব । দেখি কতটা কী বলতে পারি ।
      প্রশংসা আপনি একটু বেশিই করছেন তা কিন্তু বুঝতে পারি ।
      শব্দার্থ লিখে দিলাম । ধন্যবাদ দিচ্ছি আপনাকে ।

      অচ্ছদ………………অনাবৃত
      নস্তিত………………যে বলদের নাকে দড়ি দেয়ার জন্য ফোঁড়ানো থাকে
      শুক্তি……………… যে ঝিনুকে মুক্তো থাকে
      নরান্তক……………নরঘাতক
      নাচদুয়ার………….পেছনের দরজা
      নাকাল……………ক্লান্ত, শ্রান্ত
      কোয়াজ্বর…………অণ্ডকোষ স্ফীত জনিত জ্বর ।
      নির্নিমিখ …………অপলক নেত্র ।

  • আমীন পরবাসী

    হেলাল ভাই শব্দ ব্যবহারের পারদর্শিতা আগেও দেখেছি আপনার। শব্দগুলো আমার কিছুটা বোধগম্য হলেও কথার মারপ্যাচ আমাকে আসলেই অনেকটা দ্বিধাতে ফেলে দিল। সত্যি বলতে আমার মাথায় তেমন ঢুকেনি কিছু কিছু জিনিস ছাড়া। তবে গরম বাঘের দুধের চা সম্পর্কে একটা কথা আর না বলে পারলাম না যে দিল্লিকা লাড্ডু খেলেও পস্তাতে হবে না খেলেও পস্তাতে হবে। এই গরম বাঘের দুধের চা কম বেশি আমরা সবাই খেয়ে থাকি তবে আমার মতে যখন বিশ্বাস ভরা কথার উপর বিশ্বাস করে যখন এই চা কাউকে খাওয়ানো হয় তখন তাকে আসলেই আত্মহনন করেই দীক্ষা দিতে হয়। আরে ভাই আমি আসলেই একটু কম বুঝি তবে একটা কথা কিন্তু বিশ্বাস করি যে দলিলে সাক্ষর করার আগে কেউ যদি এই চা খেয়েই ফেলে তাহলে তার অবস্থা কিন্তু এমনি হয়। কেই বা চায় না এই চা খেতে বলেন ?যদি দু’একটি মিষ্টি কথার চলে এই চা খাওয়া যায় তাহলে ক্ষতি ই বা কোথায়????

    • ছাইরাছ হেলাল

      আপনি হয়ত লক্ষ্য করে থাকবেন আমাদের মধ্য ইতি মধ্যেই এক ধরনের সখ্যতা গড়ে উঠেছে এই এখানে
      লেখালেখিকে কেন্দ্র করে , হতে পারে তা সাময়িক । আগেও যেমন বলেছি , আমার মূল লক্ষ্য পাঠক হওয়ার
      চেষ্টা করা । এই অতি দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় নিজের ভাব ব্যক্ত করার জন্য কিছু না কিছু লিখতেই হয় । যা অপ্রকাশিত থেকে যায় বা যাবে । খুব সামান্য এখানে প্রকাশিত হয় । যেহেতু আমি যা পড়ি বা সামান্য যা লিখি শুধুই নিজের জন্য। প্রকাশের হার এ কথা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট । এই প্রথম বার নিজের লেখা একজন পাঠক হিসেবে ক্ষাণিকটা নৈর্ব্যক্তিক ভাবে (যদিও দুরূহ) ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করব । কষ্ট করে পড়তে হবে কিন্তু ।
      ধন্যবাদ দিচ্ছি । (একটু সময় লাগবে কিন্তু ,তা এক বা দু’দিন ও হতে পারে )

      • আমীন পরবাসী

        ধন্যবাদ আপনাকে। এবং আমি এই আপনাদের সঙ্গ পেয়ে এক ধরনের অব্যক্ত উচ্ছলতার মাঝেই দিন কাটাচ্ছি। আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করব যেই সখ্যতা আমাদের মাঝে গড়ে উঠেছে সেটা যাতে সময়িকতার কোনো গহ্বরে হারিয়ে না যায়। আপনার ব্যাখ্যার অপেক্ষায় থাকব হোক সেটা ২-৩ মাস। শুভেচ্ছা জানবেন প্রিয় এবং শ্রদ্ধেয় হেলাল ভাই। শুভ কামনা রইল। শুভ রাত্রি। -{@

  • শুন্য শুন্যালয়

    বনলতা দি, আমার মনে আছে আপনারই কোন এক কবিতা পড়িতে গিয়া বাঙ্গলা ডিকশনারি খুঁজিয়া ফিরিয়াছি, আজ অনেক দিন পর তাহার অভাব আবার অনুভব করিলাম…তবে মন্তব্য পড়িয়া কিঞ্চিত বুঝিতে সক্ষম হইলাম…
    ছাইরাছ ভাইয়া আপনি লিখিতে থাকুন, একদিন বাংলা ২ বাংলা তর্জমা আমিই করিয়া দেব ইনশ আল্লাহ্‌ … 🙂

    • ছাইরাছ হেলাল

      আহারে, লিখতে পারিনা বলিয়া আর কতকাল এরূপ গঞ্জনা সহ্য করতে হইবেক ।
      তাহা একমাত্র বিধাতাই বলিতে পারে । আপনাদেরও বলিহারি আমাকে একটু শিখিয়ে পড়িয়ে দিলে
      আপনাদিগের কী এমন ক্ষতি-বৃদ্ধি হয় ?
      একটি আলুছানা প্রস্তুত করিতেছি , কাল বিলম্ব হইলেও আপনার মহা মূল্যবান পাঠের অপেক্ষায় থাকিব ।
      বিলম্বের ত্রুটি মার্জনা করিতে আজ্ঞা করুণ ।

      তর্জমার কাজটি যত দ্রুত অগ্রসর হইবে জাতি তত শীঘ্র উপকৃত হইতে শুরু করিবে ।
      বিধাতা আপনাকে কুটি কুটি কাল বাঁচাইয়া রাখিয়া এই সব অপাঠ্য পাঠ পাঠে বাধ্য করুক উহা দেখিয়া
      চিরশান্তি লাভ করিয়া অক্কা পাইতে চাই ।

      ধন্যবাদ । এত্ত দেরী কেন ?

      • শুন্য শুন্যালয়

        জগতের এই নিয়ম গো ভ্রাতা, কেউ ভালো কিছু করতে গেলেই গঞ্জনা সইতে হয়..
        কুটি কুটি কাল তো বাঁচিতে চাহি, কাওকে অশান্তি না দিলে যে ভালো লাগেনা ..
        দেরিতে হইলেও মিস্ হইবে না..
        আরো পড়িতে চাই, শিখিতে চাই..নেক্সট প্লিজ

  • আদিব আদ্‌নান

    শব্দার্থ পেয়ে মাথার উপ্রে দিয়ে না গিয়া মাথার কাছাকাছি দিয়ে গেছে ।
    তবে আশার আলো দেখতে পাচ্ছি আলোচনার কথা শুনে ।
    অপেক্ষা করতে আমার সামান্য আপত্তি নেই ।
    সবুরের মেওয়াটা এবার খেতেই হবে ।

  • ছাইরাছ হেলাল

    আলুছানা…………………………

    প্রথমেই লক্ষ্য করুণ ,
    এখানে তিনটি চরিত্র ‘সে’ প্রেমিকা ‘তার’ প্রেমিক ও অপ্রকাশ্যে প্রবল ভাবে লেখক । আবার লেখক নিজেই এই দুই চরিত্রের মধ্যে প্রবেশ করছেন সুকৌশলে । তাও বলব ক্রমান্বয়ে ।
    সম্পর্কটি প্রেমের , ধূলিধূসর ধূসরতায় নিষ্ঠুর – রুক্ষ একঘেয়ে নিঃশব্দ বৈরিতায় বর্তমানে অস্তিত্বহীন । এখানে দাঁড়িয়ে অতীতের প্রেমকালীন সময়ের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি চাওয়া-পাওয়া না পাওয়া ও রাগ অনুরাগের ঘটনা বর্ণনা দিচ্ছেন । প্রথমেই দেহজ প্রেমের বিষয় তুলে ধরেছেন । এখানে রাতের বর্ণনায় ‘নির্নিমিখ’ শব্দ ব্যবহার করে শেষহীন রাত্রি বুঝিয়ে ভালবাসার ব্যপ্তি চিরকালীনতায় নিয়ে গেছেন । এটি শব্দ ব্যবহারের মুন্সিয়ানা ।
    তারপরেই নরনারীর সম্পর্কটি গভীর থেকে গভীরতর হয়ে ভিন্ন মাত্রায় কল্প রাজ্যে নিয়ে গেছেন ।
    লক্ষ্য করুণ – প্রায় সমস্ত লেখায় মেয়েটির ছবি ভেসে বেড়াচ্ছে ছেলেটির কথকতায় অথচ ছেলেটি উপস্থিত থেকেও
    নেই । লেখক এখানে ছেলেটির পক্ষ নিয়েছে , ছেলেটি এত কিছু বলছে প্রায় অনুপস্থিত থেকে , মেয়েটি প্রকাশ্য কিন্তু ছেলেটি উহ্য । লেখক এক ধরনের ক্যামোফ্লেজ তৈরি করে প্রেমের মানবীয় সম্পর্কটি উচ্চমার্গে প্রবেশ করিয়েছেন ।
    আবার মেয়েটিকে কুচরিত্র দিয়ে মাটিতে নামিয়ে এনেছে , মেয়েটির নেতিবাচকতা তুলে ধরতে গিয়ে অপ্রচলিত কঠিন কঠিন শব্দ প্রয়োগ করে পুরো লেখাটিতে একধরনের কাঠিন্য তৈরি করে ফেলেছেন । সুকৌশলে জটিল সৃজনশীলতায় ‘বাঘের দুধ’ বিষয়টি এনে সামাল দিয়েছে । একই সাথে অসম্ভব ভালোবাসাও বুঝিয়েছেন । ভালবাসার নিবিড়তা বোঝাতে একেবারে শেকড়ের কাছে নিয়ে এসেছেন , বুকের গভীরতম স্থানে । এখানে লেখক কিন্তু মেয়েটির জায়গা নিয়েছেন । লেখক ইন্দ্রজাল বিস্তার করে ‘কোয়াজ্বর’ শব্দটি ব্যবহার করে নিজেকে নিয়ে ব্যঙ্গ করছেন ।
    ‘ লাম্পট্য সেবনে পাতাল সুখ ’ শব্দের উপর কতখানি নিয়ন্ত্রণ থাকলে ‘লাম্পট্য’ বোঝানোর জন্য এমন সুন্দর শব্দ সমূহ ব্যাবহার করা যায় । ‘নাচদুয়ারের নাঙ’ উপপতি (লাং)হিসাবে থাকার লোভ দেখাচ্ছে । লেখক এখানে লম্পটের সুখ নিচ্ছেন ।
    আবার – সমগ্র লেখায় একবারও মেয়েটি সুছাঁদ সুতনুকা কীনা তা বলা হয়নি , অর্থাৎ প্রকৃত ভালোবাসায়
    বাহ্যিক রূপায়তা অনুপস্থিত । প্রেমের স্বর্গীয় মাহাত্ম্য প্রকাশ করছেন লেখক ।

    অপ্রচলিত ভারী ভারী শব্দের ব্যবহার করা নিয়ে কথা হতে পারে অবশ্যই । এখানে অনেক প্রশ্নের মাঝে একটি কথা এভাবে ভাবা যায় – এই শব্দ সম্ভার যে লেখক ব্যবহার করতে পারেন সে নিশ্চয়ই সানন্দে অন্য শব্দও লিখতে
    পারতেন । তাহলে কেন এমন করে লেখা ? তোলা থাকল এ আলোচনাটিও।
    ও আচ্ছা একখানা লওয়াজিমার ভাগ আপনাকে না দিতে বাঁধো বাঁধো ঠেকছে । আমি একজন হোঁৎকা অশিক্ষিত আধ পাগলাকে ( পুরো পাগল হওয়ার চান্স শতভাগ ) সামান্য চিনি ( চিনি চিনি , গুড় না কিন্তু ) , সে ও শব্দপ্রেমী। সাধারণত আমরা লিখে ভাব প্রকাশ করি , লেখার মাধ্যম শব্দ । আর সেই উজবুক শব্দের জন্য লেখে । ভালোলাগার শব্দ জড়ো করে লেখা তৈরি করে । এটি কি কোন ভাবে সমর্থন যোগ্য ? আপনিই বলুন ।

    একটি লেখায় বিভিন্ন opening থাকে , common , soft , hard বা আরও আরও । পাঠক তার মেধানুযায়ী সেই সব দরজা দিয়ে প্রবেশ করে নিজের মত করে লেখাটি অনুভবে আনবেন । এখানে ‘বাঘের দুধ ’ একটি মজার opening । আবার এ শব্দটি ব্যবহার করে অসম্ভব নিবিড় এক ভালোবাসার সম্পর্ক বুঝিয়েছেন মজার ছলে । লেখায় লেখক যে অংশে তার পূর্ণ সক্ষমতার প্রকাশ ঘটান সে অংশটি সমজদার পাঠকের জন্য । এখানে সেটি কোন্‌ অংশে আমি সে আলোচনায় যাচ্ছি না ।

    প্রাসঙ্গিক হবে কীনা বুঝছি না , তবুও ‘লেখক’ ও ‘পাঠক’ এর বিষয়টি এসেই যাচ্ছে । একজন লেখক (এই লেখক না কিন্তু) যখন লেখেন তখন জীবন্ত রূপকল্প (ছবি) থাকে , সেটি প্রত্যক্ষ করে লেখক চরিত্রগুলো নিয়ে পথ চলেন । এখানে আবার কয়েকটি বিষয় থাকে –লেখক চরিত্রগুলোকে চালিত করবেন বা জীবন্ত চরিত্রগুলো লেখককে চালিত করবে । এখানে আরও কিছু বিষয় আছে , তা থাক এখন । পাঠকের কথা একটু না বলার লোভ সামলাতে পারছি না । একজন প্রকৃত পাঠক যখন পড়ে তখন সে ও একটি চিত্রকল্প দেখে । পাঠক তার নিজ মেধার মাত্রানুযায়ী তা দেখে সে সব লেখার স্বাদ আস্বাদন করেন । যদিও তা লেখকের দেখা চিত্রের অনুরূপ নয় । এই দেখাদেখি মাধ্যমেই পাঠক লেখকের মনোজগতের কোন কোন অংশে প্রবেশের অধিকার লাভ করেন। অবশ্যই ইহা প্রায় দুরূহ একটি বিষয় । (এটি এখানে আলোচ্য বিষয় নয় )

    আশ্চর্যের ব্যাপার সুফি বাদের শব্দ ‘নফস্‌’ ব্যবহার করে আরও বিশাল কোন দিকের দরজাও খুলে রেখেছেন । আমি আলোচনায় ও দিকটি নিচ্ছি না ।

    শেষ লাইনে লেখক নিজেকে প্রকাশ করেছেন নির্দয় ভাবে । জীবনের একমাত্র কঠিনতম সত্য ‘মৃত্যু’। হিড় হিড় করে তার মুখোমুখি দাড় করিয়ে নিজের পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা চালালেন । (গভীরতম আলোচনা
    তোলা থাকল) ।

    এ লেখাটির দুর্বল দিক হচ্ছে – না এটি কবিতা না এটি গদ্য । এক ধরনের জগাখিচুড়ী টাইপ । অতি জটিল ও কঠিন শব্দ ব্যবহারে সুন্দর লেখাটির কমনীয় আবেদন ক্ষুণ্ণ হয়েছে বহুলাংশে । মানব সম্পর্কের এই নির্দয় ব্যবচ্ছেদ রাখঢাক ছাড়া জনারণ্যে প্রকাশ এ ভাবে কি না করলেই হত না ?
    এখন কুটি কুটি টাকার প্রশ্ন –লেখাটির এই এত্ত এত্ত দুর্বলতার কথা কি লেখকের বোধের বাইরে ? সবিনয় প্রশ্ন রেখে দিলাম ।

    এখানের সমস্ত বিশ্লেষ দুর্বল উদ্ভট উৎকট মস্তিষ্কের প্রয়াস মাত্র । শাশ্বত হওয়ার প্রশ্ন অবান্তর ।
    ধৈর্যচ্যুতি ই স্বাভাবিক পরিণতি ও অজানা নয় । ঢেঁকি সর্বস্ব কাজ মাত্র । বালেস্য বাল সম হরিদাস পালের লেখা নিয়ে এত্ত এত্ত আলুছানার কিছু নেই জেনেও ভূমিহীনের জমিদার হওয়ার শখের কমতি কোনোকালেই ছিল না হবেও না । অনেকটা মাকুন্দার চাপ দাড়ির শখের মত ।
    অহেতুক পণ্ড শ্রম , এই বালছাল লেখা নিয়ে কস্তাকস্তি না করে অন্য কোথাও অন্য কোন আকাম-কুকামের কথা ভাবলেও বেশ আরাম পাওয়া যেত । হাকুসপাকুস জ্ঞ্যানী জ্ঞ্যানী ভাব নিয়ে লটরচটর করে বুড়ো আঙ্গুলে ভর দিয়ে ড্যাং ড্যাংয়ে ভাব নিয়ে হে রে রে করে চলার আনন্দজনক আনন্দ মাটি করলাম । ইনিয়ে-বিনিয়ে ফুলিয়-ফাপিয়ে বলারও শেষ আছে , পাতকী হয়ে অষ্টবক্র হওয়া কেউ ঠ্যাকাইতে পারবে না এ যাত্রায় ।[ {কয়েকটি শব্দ ব্যবহার করতে না পেরে হাল্কা কানতে মুঞ্চায় , মনে হয় শব্দদের এমন করে ভালোবাসা ও ঠিক না । তবে এখানেও একখান্‌ কথা থেকে যায় , শব্দের গালে যদি সশব্দে বা নিঃশব্দে চুমু/হামি দিতে না পারি তাহলে ভাব কী করে প্রকাশ হবে ? ও মোর জ্বালা } হরি বল… বল হরি (শশ্মানে লাশ বহনকারীরা এমন করেই তো বলে )]

    আখেরে আল্লাহ্‌ই একমাত্র শাস্তি দাতা ।
    কঠিন শাস্তি চাই ।
    তামামশুধ ।

    • বনলতা সেন

      এটি পড়তে এসে ভালই বিপদ দেখছি ।
      একটি লেখায় এত্ত সব ?
      ভাগ্যিস লেখক বা পাঠক কোনটি ই না । ইচ্ছে যা ছিল পড়ার পর অঙ্কুরেই বিনষ্ট ।
      দায় আপনার ই ।
      আমার তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে , এই সব মাথায় নিয়ে লিখতে পড়তে হয় ! আপনি এ লেখাটি না দিলেও
      পারতেন । ভাবলাম কী না কী জানি । অবশ্য আপনি একদম ঠিক বলেন নি ভাবাই নিরাপদ ।
      এ মুখো হচ্ছি না কিছু দিন তা বলে দিচ্ছি ।

      শব্দার্থ দিয়ে ভালই করেছেন , খুজে দেখা হত না ।
      সহজ কথা সহজে লিখতে শুরু করুন ।

      • ছাইরাছ হেলাল

        ফেনিয়ে বলা দুষ্ট লোকের এই সব কথায় কান দিতে নেই । আমার মাথা ভর্তি গোবর , আর
        গোবর মানে গুবরে পোকাদের কিলবিল ।
        আপনার কিছুই হতে হবে না , শুধু মাঝে মাঝে এখন যেমন লেখেন এমন লিখলেই হবে ।
        তবে সহজ করে লেখা আপনার কাছেই শিখতে শুরু করব ভাবছি ।
        ভাল করে আপনার লেখা পড়তে হবে ।

        অনেক ধন্যবাদ এই বাজে লেখা পড়ে সময় নষ্ট করার জন্য ।

    • শুন্য শুন্যালয়

      মনে কস্ট নিয়েন না ভাইয়া, না বুঝতে পারার দায়ভার পুরোটাই এই অধমের… আলুছানা আমার প্রিয়, আপনিও ছানা ভালোই বানিয়েছেন, ব্যাখ্যা পড়েই স্বীকার করতেই হয়, একজন লেখকের মাথায় কত কতো চিন্তা কাজ করে…
      ব্যাখ্যা পড়ে ভালো লেগেছে…
      লিখুন আরো অনেক, শিখতে যে চাই আরো অনেক…
      শুভ কামনা… -{@

      • ছাইরাছ হেলাল

        সত্যি বলছি – আপনারা সবাই পড়েন , হ্যাঁ মনোযোগ দিয়ে পড়েন বলেই
        এখানে লিখছি । সব সময় এত ব্যাপক বিষয় সব লেখায় থাকে না ।
        অনেক সাধারণ বিষয় নিয়ে ও আমরা লিখে থাকি ।
        লিখব অবশ্যই কিন্তু শেখানোর যোগ্যতা নিয়ে নয় কোনভাবেই ।
        আপনার জন্য ও অনেক অনেক শুভ কামনা ।

  • প্রহেলিকা

    apnake ami ki bolbo bojhtechi na vaia. bistarito rate bolbo ekhon sudhu etokoi bolte cai je bisleshon korar agei mone hoy valo chilo apon kolponay sajiye niyechilam likhatike kintu apnar likhar kothinotar ceye bishleshonta amar matha kharap to korloi sathe sathe nishachor amake dilen na ghumate.kivabe je paren amni eto kothin kore kotha bolte??? jai hok bakita pore rate bolbo…. tobe apatoto mathar majhe traffic jam lege geche jani na kivabe chotabo….

      • প্রহেলিকা

        জাহাপনা !!

        আমি আপনার বিশ্লেষণ পাবার আগেই ভালো ছিলাম আসলে শব্দ একটু কঠিন হলেও ঠিকই অর্থগুলো খোজে বের করে নিয়েছি এবং নিজের আপন কল্পনায় আমি লিখাটিকে সাজিয়ে নিয়েছিলাম। আপনার কথাটির সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত আপনি বলেছেন “”একজন প্রকৃত পাঠক যখন পড়ে তখন সে ও একটি চিত্রকল্প দেখে । পাঠক তার নিজ মেধার মাত্রানুযায়ী তা দেখে সে সব লেখার স্বাদ আস্বাদন করেন । যদিও তা লেখকের দেখা চিত্রের অনুরূপ নয়””কথাটা আসলেই সত্যি।

        কিন্তু জাহাপনা আপনার বিশ্লেষণ টা পরে কিছুইতো আমার মত অপদার্থের মাথায় ঢুকলোই না বরং আগে নিজে যেভাবে আপনার লিখাতিকে সাজিয়ে ছিলাম সেটা তাল বেতাল হয়ে গেল। যাইহোক আমি আপনাকে শ্রদ্ধেয় বনলতা সেনের কন্ঠে মিলিয়ে বলতে চাই যে সহজ কথা সহজে লিখতে শুরু করুন আর না হলে আমার মত অপদার্থ গুলো আছে সেগুলো ঠিকই ভো-দৌড় দিবে।

        ভাল থাকবেন জাহাপনা। :D)

      • ছাইরাছ হেলাল

        ‘জাহাঁপনা’
        এই অদ্ভুতদর্শন শব্দটি কোঁত্থেকে কীভাবে কীরূপে এই এখানে সোনেলার ধরাধামে আবির্ভুত হল তা চিক্কুর দিয়ে চিচিংফাঁক বলে উঁকি দিয়ে খুঁজতে পারলে ভাল হত বা ঊর্ধ্বমুখে সৃষ্টি কর্তার দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া বিকল্প কিছু খুঁজে পাচ্ছিনে ।
        সহজ কথা যায়না বলা সহজে ।’ সহজে লিখতে হলে জানতে হবে ‘ এই মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে
        টিকা টিপ্পনীর জন্য শুদ্ধাশুদ্ধ না ভেবে ন্যূনপক্ষে শুচিস্নিগ্ধ ধ্রুপদী একটি ইস্কুলের সুলুক সন্ধান করছি , নিজে শূন্যকুম্ভ জেনেও ।
        ক্ষীণ দৃষ্টি ও কমজোর হাঁটু নিয়ে তপ্ত ঊষার মরুভূমে যাওয়ার হিম্মত দেখানোর সুপ্ত ইচ্ছা থাকলেও সাহসের অপ্রতুলতা ভুলতে পারছি না ।
        সুখের করতলে থাকুন দিবানিশি অক্ষম অধমের এই ই প্রার্থনা ।

      • প্রহেলিকা

        না না চিক্কুর দিয়ে চিচিংফাঁক বলে উঁকি দিয়ে খুঁজতে হবে না আর আমি উহ্য করে নিছি বলার আগেই ভাইয়া। এখন আপনি যদি ধ্রুপদী স্কুলের সন্ধানে থাকেন আমার মনে হয় না সহজত আর আসবে।তবে আমার জন্য কিন্তু ভালই হলে নুতুন শব্দ শুনে কপি করে রাখতে পারি। শব্দটা অবস্য সিদ্ধ করে একটু নরম করে নিতে হয় নাহলে দন্ত ভঙ্গের সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি কঠিন ভাবেই লিখতে থাকুন আমার জন্য সহায়ক হবে। সব কিছুতেই নিজের ফায়দা খুজি বলে আবার কিছু মনে করবেন ভাইয়া। সালাম জানবেন। -{@

  • পেন্সিলে আঁকা পরী

    সুনীলের কেউ কথা রাখেনি পড়েছিলাম,আর এই আপনারটা পড়লাম।অসাধারন!শব্দ চয়নে বিমুগ্ধ!!

    “কথা রাখেনি , সে তাকে দীক্ষা দিয়েছিল নীরব আত্মহত্যা মন্ত্রের ।” …এই শেষ কথায় স্পীচলেস একদম।ভালো থাকুন।

  • হতভাগ্য কবি

    আমি বোকা মানুষ ৪ বার পড়লাম তারপর মনে হলো এইটা বিষাদের লেখা, আবার মনে হলো এইটা সূক্ষ্ম প্রেমের কবিতা কিন্তু আমি জানি এই গুলোর কিছুই হয়তো না, হয়তো লেখক খুব গোপনে ও ইচ্ছায় লুকিয়েছেন তার অতীত বর্তমান ভবিষ্যত । শুভ কামনা ছাইরাছ ভাইয়া, । \|/

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ