মানুষ সামাজিক জীব; স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের সমাজে বাস করতে হয় ধর্মকে অবলম্বন করে। তার মানে এই নয় ধর্ম নিয়ে আমরা বাড়াবাড়ি করবো। যে সমাজে সৌহার্দ্য সম্প্রীতিকে সাথে নিয়ে অনেক ধর্মের মানুষ একসাথে বসবাস করে সেই সমাজেই শান্তি বজায় থাকে। এ নিয়মের ব্যতিক্রম যখনই হবে তখনই সমাজে নেমে আসে হিংসা, বিদ্বেষ, রাহাজানি। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে মুলতঃ এটাই শান্তির রাস্তা।

বিদায় হজ্বের ভাষণে হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলে গেছেন ‘হে মানবমন্ডলী! সাবধান, তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না। কেননা তোমাদের পূর্বের জাতিগুলো ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারণেই ধ্বংস হয়ে গেছে।

আপনি হিন্দু মুসলিম খ্রিস্টান বৌদ্ধ যে ধর্মরই অনুসারী হোন না কেন, অন্য ধর্মকে কটুক্তি করে কিছু বলতে বা লিখতে পারেন না। এ রাইট আপনার আমার নেই। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, কোন ধর্মই এ অধিকার কাউকে দেয়নি ।

আমি কট্টর ইসলামপন্থী নই। নরমালি নামাজ পড়ি, রোজা রাখি। ইসলাম ধর্মের নামে বাড়াবাড়িও করি না, আমাদের ধর্ম সে অনুমতি দেয়নি। আর এসব যারা করেন তারা অতিরঞ্জিত করেন। স্বাভাবিকভাবেই আমার নিজের ধর্মের প্রতি বিশেষ দূর্বলতা আছে, যেমনটা আছে অন্য ধর্মের অনুসারীদের তাদের নিজেদের ধর্মের প্রতি।

আমি সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করিনা। কিন্তু অন্য ধর্মের হয়ে আমার ধর্মকে নিয়ে যারা কটুক্তি করবেন, একজন সাধারন মুসলমান হয়ে আমি তার প্রতিবাদ করবো বৈকি। এতে আমাকে মৌলবাদী মনে করার কোনও কারণই নেই।

অন্য ধর্মের অনুসারীর কথা বাদই দিলাম, মুসলমানের শত্রু আসলে আমরা নিজেরাই। "মুক্তমনা" নামের শব্দটিকে নিজের নামের সাথে জড়িয়ে নিজেকে একজন মহান ব্যক্তি প্রমানে সদা ব্যস্ত আমরা। যেন সাত খুন মাফ; শুক্রবারের জুমআর নামাজটাও পড়তে যাইনা অনেকেই। যে নিজের ধর্মই ঠিকঠাক পালনে সচেষ্ট নয় সে অন্যের ধর্মের জ্ঞান কিভাবে অর্জন করতে পারে? বিষয়টা শুধু ধর্ম নিয়ে নয়, বাকী সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এর নাম মুক্তমনা নয়। মুক্তমনাতো সেই ব্যক্তি যিনি মুক্ত মন মানসিকতা নিয়ে সব বিচার বিবেচনা করার সামর্থ্য এবং যোগ্যতা রাখেন।

একজন সাধারন মুসলিম হয়ে এসব বলে আমি যদি মৌলবাদী হই তাহলে আপনি কি? মুসলমানের ঘরে জন্ম নেওয়া নাস্তিক? আপনার জন্য আমি সত্যিই লজ্জিত, ব্যথিত। আল্লাহ সবাইকে হেদায়াত দান করুন।(আমিন)

তৌহিদ, রংপুর
২৫/১১/২০১৮

0 Shares

৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ